শশী
মোহাম্মদ মনির হোসেন
বুকেরি পাঁজর কাটিয়া মোর
গড়ি আছো শশী খানি মোর
ফুলেরি পরাগ দিয়াছো সাথে
দেখিয়াছি যে শিশুকালে।
খেলেছি দুজন সেই পরবাসে
খেয়েছি মাখন দুজনে মিলে
হারাইছি ক্ষুধা দুজনে মিলে
যথাযায়ী মোরা দরজা খুলে।
বাধা যথা নাই কোন কারণে
মনের মাঝে তারা জলে
একদা পথে কান্না শুনে।
বুকের মাঝে মায়া আসে
দুজনে মিলে সেই কান্নার রোলে
আসিয়া পরি দুজনে ভুলে।
সে ভুলে মোরে বৃন্দাবনে
একলা ছাড়ি দিল রবে।
বৃন্দার কাটা ফেলে আসি
নিকুঞ্জ বনে শশীরে দেখি।
দেখিয়া শশী ধরিতে চাহি
সে শশী বলে আমি নিশি।
নিকুঞ্জ বনে ভুল হলে
একেলা আমি সাঁতারও কাটি।
অবশেষে চুলের বরণ
একটি নিশি আছে বাকি।
ফ্রি অবেলা নিশি কাটি
ঘাটের মাঝি গলা ফাটি।
বিদায় বেলায় নিশিরে ডাকি
হাতে ধরি কথা বলি।
এই চিঠি খানি রাখো নিশি
যদি আসে মোর শশী খানি,
দিওগো মোর পত্রখানি।
বলিতে মাঝি দুহাত ধরি
তবু তুলে নেয় ওপারে পাড়ি।