লক্ষ্মীপুরে একটি মামলায় শিক্ষকসহ ২ জনকে জামিন দেওয়ায় আইনজীবীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়। এ ঘটনা নিয়েই আদালতের কর্মচারীদের সঙ্গে আইনজীবীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় আদালতের স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান জখম হয়। এতে এজলাসে উত্তেজনা দেখা দিলে ভীত হয়ে পড়ে ভেতর থাকা বিচারপ্রার্থীরা।
রোববার (১৫ জুন) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গত ৬ জুন সদর মডেল থানায় লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী আবু তৈয়ব চুরির মামলা দায়ের করেন। এতে রায়পুর প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আহমেদ কাউসার উদ্দিন জামান ও রুবেল হোসেন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। ৯ জুন তারা আদালতে জামিন প্রার্থনা করেন।
সেখানে উল্লেখ করা হয়- মামলার বাদি আইনজীবী, এজন্য আদালতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী জামিন শুনানিতে অংশ নেয়নি। আইনজীবী না পেয়ে জামিন শুনানির জন্য আসামিরা লক্ষ্মীপুর লিগ্যাল এইড অফিসে আইনি সহায়তা চায়। সেখান থেকে দুইজন আইনজীবীকে শুনানি করতে বলা হলেও তারা হেনস্তার ভয়ে জামিন শুনানিতে অংশ নেননি। ১০ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক এম সাইফুল ইসলাম আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বিচারপ্রার্থী জানান, আদালতের বিচারক এজলাসে বসা ছিলেন। এসময় ৭-৮ জন আইনজীবী কক্ষে ঢুকে আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক হট্টগোল দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিচারক কর্মচারীদের দরজা বন্ধ করে দিতে বলেন। তখনই আইনজীবী ও কর্মচারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আহত হয় স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান। এতে বিচারকার্য সম্পন্ন না করেই বিচারক এম সাইফুল ইসলাম এজলাস থেকে নেমে যান।