সিএনএম প্রতিনিধিঃ
আবাসিক হোটেলের অর্ন্তরালে পতিতালয় সেখানে ধর্ষিতা নারীদের পতিতা বানাতে রয়েছে টর্চার সেল হিউম্যান রিসোর্স এক মানবাধিকার সংস্থার অনুসন্ধানে জানা গেছে মিরপুর শাহ আলী থানাধীন মাজার রোড এলাকায় তিনটি আবাসিক হোটেলে নারী পুরুষ শতাধিক মানব পাচারকারী দালারের মাধ্যমে নারীদের সংগ্রহ করিয়া কিং প্যালেস, কর্ণফুলী, বাগদাদ আবাসিক হোটেলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে পাঁচারকারীদের মাধ্যমে প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত, বয়স্ক মেয়েদের সংগ্রহ করিয়া হোটেল গুলোতে এনে নানাভাবে নির্যাতনের ফলে সংগ্রহ করা মেয়েদের ঐ হোটেলগুলোতে রাখিয়া পতিতা সাজাইয়া বিভিন্ন নারী লোভী পুরুষের মনোরঞ্জনের জন্য প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।

মানব পাঁচারকারী নারী ঘটিত ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারী সহ নানাবিধ অপরাধীরা ডি এম পি শাহ আলী থানা এলাকা সহ দেশের থানা সমূহের বিভিন্ন জায়গায় ভবন ভাড়া নিয়ে আবাসিক হোটেলের সাইন বোর্ডের অর্ন্তরালে সরকারি অনুমতি ব্যতিরেকে অপ-ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় থানা পুলিশের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে গোপন সু-সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের মোটা অংকের ঘুষ প্রদান করে উক্ত ভবনে ভাড়াটিয়া মালিকগণ সরকারি অনুমতি ছাড়া বে-আইনীভাবে রাষ্ট্রীয় আইনের বিধান না মানিয়া অবৈধ পতিতালয় প্রতিষ্ঠা করে।এতে হোল্ডিং মালিকরা এ্যাডভান্সের মাত্রা অতিরিক্ত অর্থ পাওয়ায় যেনে শোনেই ভবন বা (বাড়ির) মালিকরা ঐ সকল পতিতালয় প্রতিষ্ঠা করতে দালালদের সুযোগ করে দেন ও নানাভাবে সহায়তা করেন। এবং হোটেল নামের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান কারী কর্মকর্তাদের তথ্য গোপন করে লাইসেন্স সংগ্রহ করে। তবে সিটি কর্পোরেশনের স্থানীয় তদারকি কর্মকর্তাদের ও গোপনে ম্যানেজ রেখে বৈধ সাইন বোর্ডের অন্তর্রালে অবৈধ কারবার করে আসছে পাচারকারী দালালরা। সরকারি ভাবে অপরাধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকলেও আবাসিক হোটেলের অর্ন্তরালে নানাবিধ চলা অপরাধ কর্ম বন্ধের বিষয়ে কেউ নিরপেক্ষ পদক্ষেপ নেয় না। এর ফলে ডিএমপি সহ সারা দেশব্যাপী বেশিরভাগ আবাসিক হোটেলগুলোকে পতিতালয় স্থাপন করিয়া সেখানে জুয়া, মাদক কারবার সহ অপরাধ আখড়া স্থলের নিরাপদ কেন্দ্রস্থল গড়ে তুলেছে নারী ঘটিত ব্যবসায়ীরা।
আর নারী ঘটিত ব্যবসায়ী পাচারকারী ও অর্থের যোগান দাতা দালালরা নানা কৌশলে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ রেখে আবাসিক হোটেলের অর্ন্তরালে পতিতালয় স্থাপন করিয়া নারীদের দিয়ে অনেকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জিম্মি করে দালালদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা মেয়েদের আটক করে দেহ ব্যবসা করানো হয়।
মানবাধিকার কর্মীরা পর্যবেক্ষণ শেষে যে সকল বিষয় জানতে পারে
ও পর্যবেক্ষণ শেষে অভিযোগ আকারে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি মহোদয়, ডিএমপির পুলিশ কমিশনার এবং মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার কে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেন তারা বলেন, গত ইংরেজি ১১/০৬/২০২৫ তারিখ বেলা আনুমানিক ১ ঘটিকার সময় মিরপুর শাহআলী থানাধীন লালকুঠি বাজার এলাকায় যাই। সেখানে গিয়ে রাস্তায় পরে থাকা কয়েকটি ভিজিটিং কার্ড তুলে নেই। (১) ফারুক ভাই (০১৩৩৭-৯৯০৫১৭) (২) রকি ভাই- (০১৪০১-০০৪৫৫১) (৩) মিজান ভাই (০১৯১৪৭-৫০০২৯, ০১৩৩৯-৫২০৭৭৩) (৪) চাদ ভাই (০১৭৮৬-১২৯১৭২) ভিজিটিং কার্ডের এপিঠ ওপিঠে মোবাইল নাম্বার দেওয়া থাকলেও সঠিক ঠিকানা লেখা নাই। এক পর্যায় ঐ ভিজিটিং কার্ডের নাম্বারগুলোতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ফোন করে কথা বলি। তখন তারা প্রথমে শাহআলী রোডে ১১/এ/ডি হোল্ডিং এর সংলগ্ন একটি আকাশ চুম্বি ভবন ঐ ভবনে সুনাম ধন্য একটি হাসপাতালা। হাসপাতালের উপর কিং প্যালেস আবাসিক হোটেল ঐ হোটেলে আমাদের খদ্দের ভেবে ভিজিটিং কার্ড বিলিকারী দালালরা নিয়ে যায়। হোটেলে যাওয়ার পর বিলাস বহুল রুমগুলোর এক রুমে যেটাকে বলে হল রুম ঐ রুমে সাজুগুজো করে ২০-৩০ জন মেয়েকে দেখতে পাই। একেক জন মেয়ের একেক রেট। ঐ মুহুর্তে সেখানে থাকা ইমরান, মোবাইলঃ- ০১৭১১-১০৫৭৯৮, নামক ম্যানেজারের সাথে কথা বলি। ম্যানেজার কথা বলার এক পর্যায় ম্যানেজারের কাছে জানতে চাই এখানে কোন নতুন মেয়ে আছে কিনা? যাদেরকে দুই এক দিনের মধ্যে আনা হয়েছে তখন ম্যানেজার ইমরান বলে আমাদের এখানে নতুন মেয়ে আছে।
দেখতে হলে আমার সাথে আসেন। ইমরান একটি রুম খুলে ৩ জন মেয়েকে দেখায় মেয়েদের সাথে কথা বলে তাদের নাম জানতে পারি ১) সাথী ২) লিমা ৩) বৃষ্টি তবে,এগুলো মেয়েদের ডাক নাম হলেও আসল নাম আর ঠিকানা জানতে পারি নি। এরি মধ্যে অন্য এক দালাল দুই জন মেয়েকে খদ্দেরদের সাথে সময় কাটানোর জন্য ডাকলে ঐ মেয়ে দুইজন যেতে না চাওয়ায় তাদেরকে বেধরক মারধর করে। এক পর্যায় হোটেলে থাকা অন্যান্য মেয়েদের কাছ থেকে জানতে পারি নতুন সংগ্রহ করা মেয়েদের এনে ঐ হোটেলে প্রায় ১০-১২ জন মেয়েকে বিভিন্ন রুমে আটক করে রাখা হয়েছে রুমের তালা খুলে খদ্দেরদের পছন্দ করান এরপর ঐ মেয়েদের সাথে যৌন মেলামেশা করতে দেন। কোন মেয়ে ইমরানদের কথায় রাজি না হলে
তাদের উপর নেমে আসে নির্যাতনের ঝড়। আমরা খদ্দের বেশে দালালদের সাথে হোটেলটি ঘুরে ঘুরে প্রায় ২০-৩০ জন মেয়েকে দেখতে পাই। অনেক মেয়ের কাছ হতে লোম হর্ষক বর্ণনা ও জানতে পারি। যাদের দীর্ঘদিন যাবত সেখানে আটক করে দেহ ব্যবসা করাচ্ছে। মায়া (১২) নামে এক মেয়ে জানায় তিনি বৃহস্পতিবার দিন মিরপুর মাজার জিয়ারত করার জন্য আসেন সেখানে তার সাথে লিজা নামে এক নারীর সাথে পরিচয় হয় পরিচয় সুবাধে ঐ নারী কথা বার্তার এক পর্যায় ইউটিউবে অভিনয়ের কাজ করিয়ে বিনোদন প্রোগ্রাম বানিয়ে তাহা ইন্টারনেটে ছেড়ে ইউটিউবার নায়িকা বানানোর লোভ দেখিয়ে তাকে ঐ হোটেলে নিয়ে এসে আটক করে প্রথমে হোটেল মালিক, ম্যানেজার, পরবর্তীতে বিভিন্ন দালালরা এরপর পয়সা ওয়ালা খদ্দেরের হাতে তুলে দিয়ে তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাচ্ছেন। এরকম আরোও বেশ কিছু নারী সেখানে আটক রয়েছে।
এরি মধ্যেই কোন ভাবে হোটেলের চারিপাশে লাগানো সিসি ক্যামেরায় আমাদের চলাফেরা পর্যবেক্ষণ করে ৪-৫ জন দালাল সহ মালিক পরিচয়ে নান্নু, মোবাইলঃ ০১৭১৮-৯৫৭৩৮৭, ব্যক্তি এসে আমাদের নানা বিধ হুমকির সুরে বলে আমার এ কিং প্যালেস আবাসিক হোটেলে যা কিছু চলে তাহা স্থানীয় থানাপুলিশ, সমন্বয়করী ডিলার, সাংবাদিক, বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মী, এলাকার মাস্তান সবাই অবগত আছেন। আপনারা চুনোপুটি সাংবাদিক আমাদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে আপনারা নিজেরাই বিপদে পরবেন এখান থেকে চলে যান নয়ত স্থানীয় শাহ আলী থানার পুলিশকে ফোন দিয়ে আপনাদেরকে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে দিবো। এরিমধ্যে কয়েকটি রুমে মাদক সেবন ও জুয়া খেলা হচ্ছে দেখতে পেয়ে মালিক নান্নু ও ম্যানেজার ইমরানকে জিজ্ঞাসা করি ভাই এগুলোর কি আবাসিক হোটেলের অনুমতি আছে তখন তারা বলে এখানে সব কিছুর অনুমতি আছে। আপনি আমাদের বিরুদ্ধে যত পারেন লিখেন।
অনুসন্ধান-ক
কিং প্যালেস হতে নামার পর ভিজিটিং কার্ডে নাম্বার দেওয়া আরেক দালালের সাথে যোগাযোগ করি। ঐ দালাল আমাদের নিয়ে যায় মিরপুর শাহ আলী মাজার গেইট। শাহ আলী মাজারের গেইটের পাশেই ২৩/২, হাজী সেলিম মার্কেট, ঐ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায়, কর্ণফুলী আবাসিক হোটেল, ঐ হোটেলে যাওয়ার পর দালাল রিপন, বজলু, রমজান, কালু, সাইদুল, মালেক, সবুজ, দুলাল সোহাগী, মারুফ, ডিপজল সহ আরো অনেকে আমাদের বিভিন্ন রুমে নিয়ে যায়। ঐ রুম গুলোতে দালালদের সংগ্রহ করা মেয়েদের আটক থাকতে দেখতে পাই একেক দালাল রুমের দরজার তালা খুলে গেইট খুলতেই ২ জন করে মেয়ে দেখতে পাই। সেখানে নোয়াখালীর পুতুল নামে এক মেয়ে জানায় সে শাহ আলীর মাজারে ঘুরতে এসে লিজা নামের এক নারীর সাথে পরিচয় হয় তখন লিজা তাকে ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও কনটেনার নায়িকা বানাবে বলে তাকে কর্ণফুলী হোটেলে নিয়ে আসে।
সেখানে আনার পর ঐ মেয়েটিকে একটি রুমে আটক করে প্রথমে হোটেলে থাকা দালালরা গণধর্ষণ করে এরপর তাকে ২-৩ দিন বিসস্ত্র করে একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখে। ঐ মেয়ে পাচারকারী দালালদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে হোটেলে থাকা দালালদের হোটেল ম্যানেজার ও মালিকের নির্দেশে সেখানকার দালালরা বিভিন্ন পুরুষ খদ্দের এনে ঐ মেয়েকে দিয়ে একের পর এক যৌন মেলামেশা দালালদের ভাষায় ধর্ষকরা খদ্দের আর নারীরা পতিতা এভাবেই প্রায় ১ মাস যাবত চলছে পুতুলের বন্দি জীবনের নির্যাতন। এরপর কর্ণফুলী হোটেল থেকে আমরা নেমে আসি।
রাস্তা দিয়ে টল ডিউটিরত একটি পুলিশের গাড়ি দেখতে পাই। পুলিশের গাড়ির সামনে একজন এস আই কে দেখতে পাই অজ্ঞাতনামা ঐ এস আই কে হোটেলগুলোর ঘটনার বিষয়গুলো বলি। তখন ঐ এস আই আমাদের কাছে জানতে চায় হোটেলে যে সকল মেয়েরা আটক আছে আপনারা কি তাদের কোন গার্ডিয়ান তখন আমরা পুলিশকে না বলি এবং বলি ঘটনাস্থলের মেয়েদের উদ্বার করেন এবং তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করে উদ্ধারকৃত নারীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের পরিবারদের খবর দেন। আমরা আপনাদের সাথে থাকব। আইনগত বিষয় তো পুলিশেই দেখার কথা। তখন ঐ এস আই আমাদের বলে ভাই হোটেলের বিষয় আমি কোন ব্যবস্থা নিতে গেলে শেষে আমার চাকুরী থাকবে না। এসব বিষয় শাহ আলী থানায় গিয়ে অফিসার ইনচার্জ, ওসি তদন্তকে বলেন তারা যদি আমাকে ব্যবস্থা নিতে বলে তাহলে আমি হোটেলে যেতে পারব। এরি মধ্যে হোটেলের থাকা মারুফ নামে এক দালাল এসে আমাদের বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে কোন লাভ হইব না। পুলিশি-ই তো আমাদের চালায়।
অনুসন্ধান-খ
এরপর সেখান থেকে সরে গিয়ে তার পাশেই প্লট নং-৯/১, বাগদাদ আবাসিক হোটেল, দালালের মাধ্যমে ঐ হোটেলে গিয়ে একই ধরনের কর্মকান্ড দেখতে পাই। পেশাদার পতিতা নারীরা খদ্দেরের অপেক্ষায় একটি কক্ষে বসে আছে আর অপেশাদার নবাগত সংগ্রহ করা নারীদের ভিন্ন ভিন্ন রুমে আটক রেখে রুমের দরজায় তালা মেরে রেখেছে। খদ্দের গেলে রুমের তালা খুলে
তাদের মনোরঞ্জনের জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এরি মধ্যে এক রুম থেকে অনেক জোরে একজন নারী চিৎকার করছে এক পর্যায়ে আমরা ঐ রুমে সামনে গিয়ে আমাদের নিয়ে যাওয়া দালালদের সহযোগীতার দরজা খুলে রুমে প্রবেশ করে ঐ মেয়ের সাথে কথা বার্তার এক পর্যায় জানতে পারি তার নাম নাসিমা। তাকে তার প্রেমিক শফিকুল তাকে মাজার ঘুরার কথা বলে এই মিরপুরে এনে তাকে মাজার শপথ করে পীরওলীদের মাজার স্বাক্ষী রেখে মাজার স্পর্শ করে বিয়ে করে। এরপর তাকে এই হোটেলে এনে রুমে আটকিয়ে বিভিন্ন পুরুষের সাথে থাকতে বলে তিনি পুরুষদের সাথে না থাকায় দালালরা কয়েকজন মিলে একের পর এক ৬-৭ জনে গণধর্ষণ করে করে ।
এরপর তাকে প্রস্তুত করা হয় হোটেলে আসা বিভিন্ন খদ্দেরের সাথে যৌন মেলা মেশা করাতে। ঐ মেয়ে বিভিন্ন পুরুষের সাথে থাকতে রাজি না হওয়ায় তাকে শফিকুল ও আরো কয়েকজনে মিলে ব্যাপক মারধর করে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে বাচার তাগিদে ডাক চিৎকার করে এরি মধ্যেই হোটেলে থাকা অজ্ঞাতনামা দালালরা আমাদের কথা বার্তার ভঙ্গি শুনে তারা বুঝতে পারে আমরা কোন খদ্দের না তখন আমাদের জিজ্ঞাসা করে আপনাদের পরিচয় কি? আমরা আমাদের মানবাধিকার কর্মী বললে অজ্ঞাতনামা দালালরা বলে আপনারা এখান থেকে সোজা নেমে যান নেমে গিয়ে যত পারেন আমাদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেন তাতে কোন লাভ হবে না স্থানীয় শাহ আলী থানা আমাদের ম্যানেজ করা আছে।
পেশাদার দেহজীবীর কাছ হতে যে বক্তব্য পাওয়া গেল
আবাসিক হোটেল তিনটি ঘুরে কয়েকজন পেশাদার দেহজীবীর কাছ হতে জানা যায় আবাসিক হোটেলে যে সকল মেয়েদের এনে পতিতা বানানো হয় তারা পাচারকারীদের নির্যাতন কেমন হয় নির্যাতিতারাই হাড়ে হাড়ে টের পায় নবাগত মেয়েরা। যখন কোন পুরুষের সাথে সময় কাটাতে না চায় তখন অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের গোপন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে আগুনের ছ্যাকা দেওয়া হয়ে থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে বিদ্যুতের তার দিয়ে শক দেওয়া হয়। নির্যাতনের ফলে মেয়েরা এক সময় দালালদের কথা মতো পর পুরুষের সাথে থাকতে বাধ্য হয়। তাছাড়া অনেক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন ও আসে। মেয়েদের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা অসামাজিক কার্যকলাপ করে অনেক কর্মকর্তারা নিজেরাও মাদক সেবন করে মেয়েদেরকেও করায়। তাছাড়া আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অনেক সদস্যদের কাছে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আকুল আকুতি করে ও বিচার পাওয়া যায় খুব কম। অনেক মেয়ে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চেয়ে উল্টো নিজেরাই মানব পাচার মামলায় আসামী হয়েছে। তাই অনেক মেয়ে স্বেচ্ছায় মুখ খুলতে চায় না।
নবাগত মেয়েদের এক সময় হোটেলের টর্চার সেল হতে এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নানা কৌশলে ঢাকা সহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসা, রিসোর্ট পতিতালয়ে দালালদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য পাঠানো হয়ে থাকে। সেখানে নিয়ে পাচারকারীদের ইচ্ছে মতো ঐ সকল নারীদের চালায় এছাড়া পাচারকারীরা যখন মেয়েদের প্রথমে বিভিন্ন পুরুষ দিয়ে গণধর্ষণ করায় ঐ সকল ধর্ষণের ভিডিও চিত্র পাচারকারীদের গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা থাকে। কোন মেয়ে পাচারকারী দালালদের কথামতো না চললে বা পালানোর চেষ্টা করলে মাঝে মধ্যে তাদের কাছে সংগ্রহ করা ভিডিও চিত্র দেখিয়ে ভয় দেখায় তাদের কথার অবাধ্য হলে এ সকল ভিডিও ইন্টারনেটে বা বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে তাদের পরিবারের বা তাদের সম্মান হানী করা হবে। এছাড়া এ সকল ভিডিও চিত্র বিদেশে পাঠিয়ে বিভিন্ন নেকেট ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশকারী এজেন্টদের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে তাহা ইউটিউবে ছেড়ে দেওয়া হবে এই ভয়ে মেয়েরা সহজে মুখ খুলে না। এরপর ও যদি কোন মেয়ে মুখ খোলার বেশি চেষ্টা করে তাহলে স্থানীয় থানা পুলিশের মাধ্যমে দালালরা তাদের নিজের আবাসিক হোটেলে আকর্ষিক অভিযান চালিয়ে ঐ সকল মেয়েদের গ্রেফতার করিয়ে সাথে কিছু খদ্দের দিয়ে তাদেরকে দালাল বানিয়ে এবং পাচারকারী বানিয়ে মানবপাচার আইনে মামলা দেওয়ানো হয়। খোজ করলে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানা এলাকায় এ রকম ঘটনা হর হামেষায় ঘটছে। আর এই হোটেল গুলোতে বেশির ভাগ নারীদের আনা হয় শাহ আলী মাজারে ঘুরতে আসা ভক্ত নারীদের। দালালরা বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে তাদের নিয়ে হোটেল গুলোতে এনে আটক করে দেহজীবী বানানো হয়।
এক পর্যায়ে হোটেল হতে নেমে বুঝতে পারি এসব হোটেল গুলোর বিষয় স্থানীয় পুলিশকে বলার পর তারা তেমন কোন আইনানুগ পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে সেখানে চলা অপকর্মের বিষয় অবগত করেছি।
কিং প্যালেস, কর্ণফুলী, বাগদাদ সহ ডিএমপির বিভিন্ন থানা এলাকার আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসায় নারী সংগ্রহ ও সরবরাহকারী বেশ কিছু পাচারকারী বাঘিনী নারীদের ছবি তুলে ধরা হলো। তাদের কাজ হচ্ছে পুরুষ পাচারকারী দালালদের সাথে মিশে মেয়েদের সংগ্রহ ও বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও পতিতালয়ে সরবরাহের সহযোগিতা করে। এরা ভয়ংকর নারী পাচারকারীনী এদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তার আর রক্ষা নেই। প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা সহ নানাবিধ হয়রানি করে থাকে। এদের ফাঁদে যে সকল নারীরা পরে তাদের নির্যাতন হয়রানি সহ দেশ বিদেশের পতিতালয়গুলোতে পাচার হয়ে থাকে। ঐ সকল দালাল নারীরা তাদের নিজের ফেইস ছবি তুলে তাহা খদ্দের আকৃষ্ট করতে ফেইসবুকের বিভিন্ন ষ্ট্যাটাসে তাদের ছবি দিয়ে থাকে খদ্দের দের আকৃষ্ট করতে। ছবিগুলো নেওয়া হয়েছে খদ্দের আকৃষ্ট করা বিভিন্ন ষ্ট্যাটাস হতে এ সকল মানব পাচারকারী দালাল নারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মানব পাচার আইনের মামলা রয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে বিস্তারিত …….।