সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩০, সম্মেলন স্থগিত

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫, ৮.১৭ পিএম
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে
সিএনএমঃ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে দুই সভাপাতি প্রার্থীর খলিলুর রহমান শিকদার ও আব্দুস ছত্তার হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

রোববার (১৫ জুন) দুপুরে উপজেলার চরপুটিখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত বিএনপির নেতাকর্মীদের মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল ও বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে দুই গ্রুপের গুরুতর আহত ৫ জনের নাম পাওয়া গেছে।

তারা হলেন– বিএনপির কর্মী শিহাব শিকদার, এমদাদুল হাওলাদার, সাইফুল হাওলাদার, অহিদুল ইসলাম ও মো. হালিম। সংঘর্ষের পর সম্মেলন স্থগিত করে বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সম্মেলনের প্রধান অতিথি খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বেলা ১১টায় মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেনের প্রথম পর্ব চলাকালে নেতারা মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার এক পর্যায়ে দুপুরে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হালিম খোকনের বক্তব্য চলাকালে দুই সভাপতি প্রার্থী খলিলুর রহমান শিকদার ও আব্দুস ছত্তার হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীকে ঘটনাস্থলে আসতে হয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সংঘর্ষে জড়ানো দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

আহতরা মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল ও বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তাৎক্ষনিক ভাবে দুই গ্রুপের গুরুতর আহত ৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন– বিএনপির কর্মী শিহাব শিকদার, এমদাদুল হাওলাদার, সাইফুল হাওলাদার, অহিদুল ইসলাম ও মো. হালিম।

পুটিখালী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী আব্দুস ছত্তার হাওলাদার জানান, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আব্দুল হালিম খোকন মূলত আমার প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী খলিলুর রহমান শিকদারের বোন জামাই।

আব্দুল হালিম খোকনের বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, এই ইউনিয়নের কমিটি নিয়ে আগে একটি সমঝোতা হয়েছিল। এখন আবার নির্বাচনের কোনো প্রয়োজন নেই। বিষয়টি আমি জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে বিবেচনার দাবি জানাই। এসব বক্তব্যের সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা একে অপরের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে খলিলুর রহমান শিকদারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে আমার পক্ষের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

অপর সভাপতি প্রার্থী খলিলুর রহমান শিকদার জানান, আমি যাতে সভাপতি না হতে পারি তার জন্য আমার যারা ভোটার (কাউন্সিলর) ছিল, তাদেরকে বাদ দিয়ে ভোটার করা হয়েছে। কৌশলে আমাকে হারানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছিল। এসব কারণে আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। সম্মেলনে একজন নেতা বক্তব্যকে আমাদের কর্মীরা সমর্থন করেছিলেন, তখনই আব্দুস ছত্তার হাওলাদারের লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। এতে আমাদের ২০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সম্মেলনের প্রধান অতিথি খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপকে ফোন করা হলেও, তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে ঘটনাস্থলের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি নেতাকর্মীদের বলেছেন, আপনারা শান্ত থাকুন। আমরা সম্মেলন এখানে স্থগিত করছি, আপনার যার যার বাড়িতে যান। পরবর্তীতে সম্মেলনের সময় অনলাইনে জানিয়ে দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com