গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
নির অপরাধ তিন মাস বয়সি নিজের শিশু সন্তান কে হত্যাপর নিজেদের ব্যবহৃত টয়লেটে ফেলে দিলো গর্ভধারিনী মা। যে মা ১০ মাস দশ দিন কষ্ট করে পেটে আগলে রাখলো সেই মা সেই সন্তানকে দুনিয়া এনে নিঃকৃষ্টভাবে হত্যা করলো লাশ ফেললো পায়খানার ভাগারে।
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জের ধুমাইটারীতে নিখোঁজের একদিন পর নিজ বাড়ির টয়লেট থেকে সাড়ে তিন মাসের এ শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর সন্দেহতিত ভাবে হত্যার অভিযোগে শিশুটির মা তানজিলা বেগমকে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সুন্দরগঞ্জে মাত্র সাড়ে তিন মাস বয়সের শিশু নুর হাওয়াকে হত্যা করেছে আপন গর্ভধারিনী মা তানজিলা বেগম।
পরে নিজ বাড়ির টয়লেট থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ৩১ জানুয়ারী রবিবার বিকালে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভাধীন উত্তর ধুমাইটারী গ্রামে এ নৃশংস ঘটনার চিত্র দেখা মিলে।
নিহত শিশু নুর হাওয়া পৌরসভাধীন উত্তর ধুমাইটারী গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে। এ ঘটনায় শিশুটির মা তানজিলা বেগমকে আটক করে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা বলেন, এতোটা অমানুবিক সমাজ আমাদের ধবংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। আজ এটা প্রমানিত হলো মায়ের বুকে সন্তান অনিরাপদ মায়ের হাতে। এটাকে শুধু পারিবারিক সমস্যায় নয় এরপিছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে।
যা তদন্ত করে দেখে হত্যাকারীসহ জড়িতদের শাস্তির দাবী জানান।
শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, ‘গতকাল শিশুটি হারিয়ে যায় মর্মে থানায় একটি অভিযোগ দেন শিশুটির বাবা। একই সময়ে তার স্ত্রী অসুস্থ হলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করেন। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তের বাড়ির টয়লেট থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহত শিশুর মাকে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি সন্তান হত্যার দায় স্বীকার করেন’।