সিএনএম ডেস্কঃ
আগরতলা (ত্রিপুরা): গত বছরের ১ আগস্ট থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আগরতলা রেলস্টেশন থেকে ৯৭ জন অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়েছে। এসব অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে রয়েছে ৮৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ১০ জন রোহিঙ্গা।
একই সময়ে ২৮ জন ভারতীয় মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।
এসব মানব পাচারকারীরা সীমান্তের ওপার থেকে অনুপ্রবেশকারীদের অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছে। এসব অনুপ্রবেশকারী এবং মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে এ সময়ে প্রায় ২৫টি মামলা করা হয়েছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) আগরতলা রেল স্টেশনের গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন দাস জানান, আটকরা সবাই বর্তমানে আদালতের নির্দেশে কারাগারে রয়েছে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে অনেকগুলো মামলার চার্জশিট হয়ে গেছে। যেসব মামলার চার্জশিট এখনও হয়নি তার তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসছে মূলত কাজের সন্ধানে তারা ভারতে আসছেন।
তিনি আরও জানান, যেসব বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে প্রবেশ করেছে তার হিসেব নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য জায়গা দিয়ে প্রতিনিয়ত অনুপ্রবেশকারীদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। এ হিসেব ধরলে গত পাঁচ মাসে কয়েক শতাধিক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী রাজ্যে অনুপ্রবেশ করেছে।
এ পরিস্থিতিতে সীমান্তের দায়িত্বে থাকা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ত্রিপুরা রাজ্যের সচেতন মানুষ, তাদের প্রশ্ন সীমান্তে বিএসএফ যদি সঠিক দায়িত্ব পালন করে থাকে তাহলে কীভাবে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে অনুপ্রবেশ করছে।
রোববার সকালে আগরতলা রেল স্টেশনের জিআরপি থানার তৎপরতায় দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া থানার অন্তর্গত পাইকলা বাজারে অভিযান চালিয়ে এক মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। তার নাম রাজীব দাস (৩৩)। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক ছিলেন। বিলোনিয়া থানা, গোয়েন্দা বাহিনী এবং বিএসএফ এ অভিযানে সহযোগিতা করেছে।