সাংবাদিক মেহেদী হাসান হত্যাকান্ড কে কেন্দ্র করে তার পিতা মোশারফের মামলা বাণিজ্য
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
সাংবাদিক মেহেদী হাসান হত্যাকান্ড কে কেন্দ্র করে তার পিতা মোশারফের মামলা বাণিজ্য। এ বিষয়ে রিজিয়া নামক এক মহিলা পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি জানানআমি ” হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন” নামক সংগঠনে মানবাধিকার স্বেচ্ছাসেবী কর্মী হিসেবে নিয়োজিত রয়েছি ঐ সংস্থায় সাংবাদিক মেহেদী হাসান ও তার পিতা মোশারফ হোসেন ও দীর্ঘদিন যাবত উক্ত সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী সদস্য। সেই সুবাদে তাদের ও তাদের পরিবারের সাথে আমার গভীর সু-সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বিধায় মেহেদী প্রায় বেশ কয়েক আমার কাছে থেকে লেখাপড়া ও সাংবাদিকতার চাকুরী করেছেন এবং আমাকে মেহেদী মামি বলে ডাকত সেই কারনে মেহেদী আমার সম্পর্কে ভাগিনা হয়। আমি তাকে আমার সন্তানের জায়গায় স্থান দিয়েছিলাম।
গত ইংরেজি ১৮/০৭/২০২৪ইং তারিখ ঢাকা টাইমস এর সাংবাদিক মেহেদী হাসান, পিতা-মোঃ মোশারফ হোসেন, সাং-হোসনাবাদ, থানা-বাউফল, জেলা-পটুয়াখালী। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ির কাজলা এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের জন্য মেহেদী হাসান আন্দোলন অবস্থায় কাজলা এলাকায় গেলে আচমকা তার শরীরে গুলি বিদ্ধ হলে ঘঠনাস্থলে মেহেদী মারা যায়। এক পর্যায়ে মেহেদীর বাবা মোশারফের সাথে যাত্রাবাড়ির থানা পুলিশ মোবাইল ফোনে ঢাকা মেডিকেল হতে মেহেদীর মরা দেহ তার ভাই আশিক ও স্ত্রীর কাছে লাশ হস্তান্তর করার পর যাত্রাবাড়ি থানা হতে মেহেদীর পিতা মোশারফের সাথে ফোনে ও ওসি সহ পুলিশ যোগাযোগ করে হত্যার ঘটনার বিষয়ে মামলা করার জন্য থানায় আসতে বললে মোবাইল ফোনে মোশারফ মামলা করার জন্য থানায় না যাওয়য় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যাত্রাবাড়ি থানার মামলা নং-৭৮, তারিখ-২৭/০৭/২০২৪ইং।
গত ইংরেজি ১৪/০৮/২০২৪ইং তারিখ মেহেদীর পিতা মোশারফ ও তার ভাই আশিক গাজীপুর হতে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে যাত্রাবাড়ি কাজী টাওয়ারে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের শাখায় মেহেদীর শরীরে গুলিবিদ্ধ ছবি ও সুরতহাল রিপোর্ট এবং মেহেদীর মোবাইল নাম্বারের কললিস্ট এর কাগজপত্র সহ বেশ কিছু কাগজ পত্র পার্সেল করে আমাকে পাঠায়। সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস পার্সেল কোড নং-জঊখ-০১৭১০০০০৪৬২৬৩৪/১ আমার অফিসিয়াল মোবাইল নংঃ ……………. এর পর আমি পার্সেল সংগ্রহ করিয়া আমি মোশারফ ও মেহেদীর স্ত্রীর সাথে আলাপ আলোচনা করিয়া
গত ২৫/০৮/২০২৪ইং তারিখে বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট এর ২৬নং আদালতে ঢাকায় একটি পিটিশন হত্যা মামলা দায়ের করি। যাহার পিটিশন মামলা নং-৫৫৯/২০২৪/ যাত্রাবাড়ি আমলী। উক্ত মামলায় ভিকটিমের পরিবারের ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের তথ্য মতে মামলায় উল্লেখিত আসামীদের নাম যুক্ত করা হয়। ঐ মামলায় ভিকটিম মেহেদীর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম পপি, ছোট ভাই মোঃ জাহিদ হাসান আশিক, পিতা মোশারফ, সহ প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজনকে সাক্ষী করে মামলা টি আদালতে দায়ের করা হয়।
মামলা হওয়ার পর ভিকটিমের পিতা মোশারফ গোপনে বিভিন্ন আসামীদের সাথে যোগাযোগ করে আর্থিক লাভবান হওয়ার লালসায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মামলার সাক্ষী মোশারফ হঠাৎ উল্টো দিকে মোড় নেয়। এমতাবস্থায় বিচারকের ৫ কার্য দিবস আদেশের সময় শেষে ২৬নং আদালতে পুনরায় আদেশের শুনানি হয়। ঐ শুনানির সময় ভিকটিমের পিতা মোশারফ হোসেন আসামী পাপন, মিঠু, সাজ্জাদ সহ আরো কয়েকজনকে নিয়ে শুনানির সময় আসামী পক্ষের আইনজীবীকে সাথে করে ২৬ নং আদালতে উপস্থিত হয়ে শুনানি কালে বিচারকের শুনানির সময় বিপক্ষের আইনজীবী দ্বারা ও মোশারফ নিজে সাজানো কথা বলে আওয়ামীলীগের যুবলীগ নেতা সহ মূল আসামীদের বাঁচানোর লক্ষ্যে মামলার বিরুদ্ধিতা করেন। তখন বিচারক আমার দায়ের করা ৫৫৯নং পিটিশন মামলাটি স্থগিত রাখার আদেশ দেন। যেহেতু মেহেদী হত্যা ঘটনায় স্থানীয় যাত্রাবাড়ী থানায় ৭৮নং একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
তাই পরবর্তীতে ১৫/০৯/২০২৪ইং তারিখে মোশারফ পাপনগংদের নিয়োজিত আইনজীবী দ্বারা পুনরায় তৃতীয় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত তৃতীয় নং মামলায় পাপন, মিঠু, সাজ্জাদ গংদের কাছ হতে গোপনে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসামীদের কাছে ম্যানেজ হয়ে ঐ মামলায় আসামী মিঠু ও পাপন গংদের বাদ দিয়ে এবং তাদের রক্ষার্থে আসামীদের পরামর্শ মোতাবেক আসামীদের প্রতিপক্ষ যাত্রাবাড়ি থানা এলাকার সাবেক ও বর্তমান একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি পূর্বক মেহেদী হত্যাকান্ডের সময় ঘটনাস্থলে না থাকা বেশ কিছু পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করে নিরপরাধী পুলিশ সদস্যদের কে অপরাধী সাজানোর লক্ষ্যে ৩নং মামলাটি মোশারফ বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৯নং আদালত, ঢাকায় একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যাহার পিটিশন মামলা নং-৬৫২ তারিখঃ ১৫/০৯/২০২৪ইং। এরপর আবারো মামলার আসামীদের কাছ থেকে অর্থ হাতানোর লালসায় যাত্রাবাড়ি এলাকায় কিছু লোকজন দালাল নিয়োগ করেন। এই মামলা থেকে ও আসামীদের কাছ হতে গোপনে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে ছেলে হত্যার মামলাটি গোপনে অর্থ পেলে ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করবে।
অন্যদিকে তার মামলায় উল্লেখিত সাক্ষীগণ ১। মোঃ আলমগীর সেলিম ২। সাংবাদিক সাগর মোশারফের সাথে প্রতিবাদ করেন সাক্ষীদের না জানিয়ে তথ্য গোপন করে সেলিমগংদের কে তার ৩নং মামলায় সাক্ষী রাখেন। এতে আলমগীর সেলিমকে মোশারফ বিভিন্ন ভয়-ভীতি হুমকি প্রদর্শন করেন তারা যদি মোশারফের শিখিয়ে দেওয়া বিভিন্ন মিথ্যা বক্তব্য সাক্ষীর সময় তার মামলায় সাক্ষ্য না দেন তাহলে মোশারফ উক্ত সাক্ষীদেরকে নানা ধরনের ক্ষতি সাধন করবে বলে হুমকি দেন।
রিজিয়া আরো জানান আমিও যেন মামলা নিয়ে কোন রকম প্রতিবাদ না করি। যদি করি তাহলে মোশারফ আমারও ক্ষতি সাধন করবে বলে জানায়। অভিযোগে রিজিয়া উল্লেখ করেন সে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রহিয়াছে বলে ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে জানায়। এদিকে মৃত মেহেদীর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম পপি ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে বলেন, আমার স্বামী মেহেদী হাসান সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু বরণ করেন। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আমার শ^শুড় মোশারফ হোসেন তিনি এবং আমরা মেহেদীর যাবতীয় কাগজপত্র মামী রিজিয়ার কাছে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠায়। মামীকে মামলা করার জন্যও অনুমতি দেই এবং ঐ মামলায় আমরা সবাই স্বাক্ষী। মামলা হওয়ার কিছুদিন পর জানতে পারি আমার শ^শুড় আসামীদের বশিভূত হয়ে তাদের বাঁচানোর লক্ষ্যে তিনি বাদী হয়ে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন এবং মামীর বিরোধীতা করেন। অন্যদিকে আমার স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় বিভিন্ন জায়গা থেকে যে দান অনুদান আসছে তাহা আমার শ^শুড় বিভিন্ন কায়দায় আমাকে আড়াল করে আত্মসাৎ করে যাচ্ছে। মেহেদীর মৃত্যুর পর আমার শিশু কন্যা সন্তান দুই মেয়েকে নিয়ে আমি চরম অসহায়ত্বের মধ্য থেকে জীবন যাপন করছি। আমার শ^শুড় আমার তেমন খোঁজ খবর ও নেন না। উল্টো তিনি আমার স্বামীর হত্যাকে কেন্দ্র করে আমাকে না জানিয়ে তথ্য গোপন করে বিভিন্ন জায়গা হতে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা করছে। এ বিষয়ে মোশারফ মিয়ার সাথে মুঠোফোনে আলাপ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায় নি।