সিএনএম প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নে ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার লাউতা ইউনিয়নে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। নির্যাতিন শিশু স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী।
এ ঘটনার পর এলাকাবাসী ধাওয়া করে দুই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আটককৃতরা হলেন লাউতা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠিকরপাড়া গ্রামের মৃত ছাইদ আলীর পুত্র ফয়ছল আহমদ ( ২৮) ও উত্তর গাং পার এলাকার মুত আব্দুর খালিকের পুত্র মিশুক আহমদ (৩০)।
পুলিশ ও ওই শিশুর পরিবারের সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ঘরের বাইরে টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে বের হয় ১২ বছর বয়সী ঐ শিশু। এসময় পূর্বে থেকে ওৎ পেতে বসে ছিল ফয়ছল ও মিশু। এসময় তারা ওই শিশুকে তুলে নিয়ে পাশের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করে। অজ্ঞান অবস্থায় শিশুটিকে রেখে পালিয়ে যায় দুই বখাটে। এসময় শিশুটির পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর অজ্ঞান অবস্থায় তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা ধর্ষকদের ধাওয়া করে আটক করে রাখেন এবং পুলিশে খবর দেন ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক করে। বুধবার দুপুরে দুই বখাটের বিরুদ্ধে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা( নং ০৩) দায়ের করেছেন ভিকটিমের বাবা।
বিয়ানীবাজার থানা অফির্সাস ইনচার্জ (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুটিকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে।