1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
যাত্রাবাড়িতে পপুলার ও বলাকা আবাসিক হোটেলে মাদক বেচা-কেনা ও সেবনের মেলা মিলেছে বসেছে নারী বেচা-কেনার হাট বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না তাকে আরআরএফের সভাপতি হাবিবুল্লাহ মিজান, সম্পাদক নিশাত বিজয় দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

দপ্তরে দপ্তরে দুদকের সাড়ে ১০ হাজার চিঠি, প্রতিকার হয় কি?

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২২, ২.০৩ পিএম
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে

সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। প্রতিনিয়ত সেবাগ্রহীতাদের দুর্নীতি নামক ভাইরাসের মুখোমুখি হতে হয়। যে কারণে প্রতিকার পেতে দুর্নীতির ফিরিস্তি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দ্বারস্থ হতে হয় ভুক্তভোগীদের।

জনগণেরও প্রত্যাশা থাকে আইন অনুযায়ী দুদক অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্ত করে অপরাধীর সাজা নিশ্চিত করবে। আর যদি দুদকের তফসিলের বাইরের কোনো দুর্নীতির অভিযোগ থাকে তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। দুদক সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে গঠিত সংস্থাটি অভিযোগ অনুসন্ধানের চেয়ে সরকারি দপ্তরে চিঠি দেওয়ার প্রবণতা বাড়িয়েছে। বিপরীতে কমেছে অভিযোগ অনুসন্ধানের সংখ্যাও।

দুদকেরই পরিসংখ্যান বলছে, গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ১০ হাজার ৭৬৬টি চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। বিপরীতে এসব অভিযোগের বিষয়ে আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না— জানা নেই দুদক কর্তৃপক্ষের।

গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ১০ হাজার ৭৬৬টি চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। বিপরীতে এসব অভিযোগের বিষয়ে আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না— জানা নেই দুদক কর্তৃপক্ষের

এমনও নজির রয়েছে, যে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার কাছেই আইনি ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ফলে অভিযোগের অধিকাংশই ফাইলবন্দি হয়ে পড়ছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানোর পর পরবর্তীতে ফলো-আপ হয় না, এমনকি সরকারি ওই দপ্তর থেকেও দুদককে কিছু জানানো হয় না।

dhakapost
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয় / ফাইল ছবি 

দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন। যে কারণে কৌশল পরিবর্তন করছে সংস্থাটি। দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান এমনটি জানালেন। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, ‘নীতিগতভাবে আমি এ ধরনের চিঠি দেওয়ার পক্ষে নই। আমরা যাদেরকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলি, তার ১০ শতাংশ ব্যবস্থা নিয়েছে কি না— আমাদের কাছে এর কোনো খবর নাই। সবাই বলেন, তদন্ত করে দেখেছেন। কিন্তু এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। এটা (ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি) বেশি পাঠানো যে লাভজনক নয়, আমারও তা মনে হয়।’

এ কারণে অভিযোগ নিষ্পত্তিতে দুদক কৌশল পরিবর্তন করেছে— এমন মন্তব্য করে মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছি। অভিযোগের বিষয়ে তারা (সংশ্লিষ্ট দপ্তর) কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে বিষয়ে এখন দুদককে অবহিত করার কথা বলছি। ফলে তাদের মধ্যেও কাজ করবে যে সত্যি সত্যি যদি ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, পরবর্তীতে দুদক ধরতে পারে। আশা করি তারা এখন থেকে আন্তরিক হবে।’

এমনও নজির রয়েছে, যে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার কাছেই আইনি ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ফলে অভিযোগের অধিকাংশই ফাইলবন্দি হয়ে পড়ছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানোর পর পরবর্তীতে ফলো-আপ হয় না, এমনকি সরকারি ওই দপ্তর থেকেও দুদককে কিছু জানানো হয় না

‘অনেক সময় এমনও অভিযোগ আসে, সেখানে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকে না। অনেক সময় ওয়াসা, বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাসের লাইনের ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ থাকে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকে না। ওই সব অভিযোগ যদি সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাহলে অন্তত তারা সতর্ক হবে যে দুদকের কাছে অভিযোগ যাচ্ছে। এমন কাজ আর করা যাবে না। অনেক সময় যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকেও ডেকে সতর্ক করা হয়।’

dhakapost
দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ১০ হাজার ৭৬৬টি চিঠি দিয়েছে দুদক / প্রতীকী ছবি

দুদকের চিঠি কি আদৌ কার্যকর, কী বলছে পরিসংখ্যান

দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে দুদকের পাঠানো চিঠি সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না— এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা মেলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) পাঠানো চিঠির পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিলে। গত তিন বছরে ১৮৪টি অভিযোগ নিষ্পত্তিতে মাউশিকে চিঠি পাঠায় দুদক। কিন্তু সে বিষয়ে বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২৯ ডিসেম্বর মাউশি মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুককে তলব করে দুদক। তলবের পর পেন্ডিং অভিযোগের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেয় সংস্থাটি। একই সঙ্গে দুদকের পাঠানো অভিযোগগুলোর বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে একজন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চিঠি দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াটা ‘দায়সারা’

শুধুমাত্র চিঠি দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি অনেকটা ‘দায়সারা’ হিসেবে দেখছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, ‘দুদক অবশ্যই তার অবস্থান থেকে বিভাগীয় ব্যবস্থা হিসেবে চিঠি দিতেই পারে। তবে শুধুমাত্র এর ওপর নির্ভর করে থাকাটা সঠিক বলে মনে করি না। যদি এমন অভিযোগ থাকে, যেখানে দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে সেখানে শুধুমাত্র বিভাগীয় ব্যবস্থাই যথেষ্ট নয়।’

dhakapost
এমনও নজির রয়েছে, যে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার কাছেই আইনি ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে / প্রতীকী ছবি

‘দুর্নীতি হয়ে থাকলে শাস্তিমূলক বদলি ও সাময়িক বরখাস্ত; ইত্যাদির মতো ছোটখাটো সাজা যথেষ্ট নয়। এর দ্বারা দুদকের মৌলিক দায়িত্ব দুর্নীতি দমনের কাজ সম্পূর্ণ হয় না। পাশাপাশি দুদকের উচিত হবে, যে সব অভিযোগে সত্যিকারের দুর্নীতি হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। কেননা, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সেটা সরকারি কর্মকর্তা হোক কিংবা অন্য যে-ই হোক; সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এটাই দুদকের অর্পিত দায়িত্ব। এর ঘাটতি হলে প্রশ্ন উঠাই স্বাভাবিক। দুদক এক্ষেত্রে দায় এড়াতে পারে না।’

আমি মনে করি, দুদকের উচিত হবে দুটোই যুক্তিযুক্তভাবে চালানো। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, একা দুদকের পক্ষে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। যদি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন না করে তাহলে মুশকিল— যোগ করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।

দুদকের পরিসংখ্যান যা বলছে

দুদক থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে দুদক মোট ১৭ হাজার ৯৮৩টি অভিযোগ পায়। এর মধ্যে ৯৩৭টি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৩৭৭টি অভিযোগ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে পাঠিয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে চিঠি দেওয়া হয়।

একইভাবে ২০১৮ সালে ১৬ হাজার ৬০৬টি অভিযোগের মধ্যে এক হাজার ২৬৫টি অনুসন্ধান এবং এক হাজার ৪০৪টি অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়। ২০১৯ সালে ২১ হাজার ৩৭১টি অভিযোগ থেকে এক হাজার ৭১০টি অনুসন্ধান এবং তিন হাজার ৬২৭ অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়।

২০২০ সালে ১৮ হাজার ৪৮৯টি অভিযোগ থেকে ৮২২টি অনুসন্ধান এবং দুই হাজার ৪৬৯টি অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেয় দুদক। সর্বশেষ ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮৪৯টি অভিযোগ থেকে মাত্র ৫৩৩টির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়। বাকি দুই হাজার ৮৮৯টি অভিযোগ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয় দুদক

২০২০ সালে ১৮ হাজার ৪৮৯টি অভিযোগ থেকে ৮২২টি অনুসন্ধান এবং দুই হাজার ৪৬৯টি অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেয় দুদক। সর্বশেষ ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮৪৯টি অভিযোগ থেকে মাত্র ৫৩৩টির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়। বাকি দুই হাজার ৮৮৯টি অভিযোগ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয় দুদক।

কমেছে অনুসন্ধানের হারও

দুদক সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বছর অর্থাৎ ২০২০ ও ২০২১ সালে দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রমও কমে অর্ধেকে নামে। সংক্রমণ শুরুর আগের দুই বছর অর্থাৎ ২০১৮ ও ২০১৯ সালে মোট দুই হাজার ৯৭৫টি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য সিদ্ধান্ত নিলেও পরের দুই বছর এ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় এক হাজার ৩৫৫টিতে।

যদিও আগের দুই বছরের তুলনায় পরের দুই বছর দুদকে দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ কিছুটা কম জমা পড়ে। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে মোট ৩৭ হাজার ৯৭৭টি অভিযোগ জমা পড়ে, এর মধ্যে প্রায় আট শতাংশ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করে দুদক।

পরের দুই বছর অর্থাৎ ২০২০ ও ২০২১ সালে অভিযোগ জমা পড়ে ৩৩ হাজার ৩৩৮টি। এর মধ্যে ৪ শতাংশ অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

অনুসন্ধান কমে যাওয়া প্রসঙ্গে দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘অতীতে যে ধরনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে কোনো ফল পাওয়া যায়নি, ওই ধরনের অভিযোগ কমিশন এখন আর আমলে নিচ্ছে না। ফলে অনুসন্ধানের সংখ্যা কমেছে। এছাড়া গত দুই বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিভিন্ন সময় নানা বিধিনিষেধ ছিল। এ কারণেও অভিযোগ ও অনুসন্ধানের সংখ্যা কম।’

দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৫ সালে ১০ হাজার ৪১৫টি অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে এক হাজার ২৪০টির অনুসন্ধান করা হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে ১২ হাজার ৯৯০টি অভিযোগ পেয়ে এক হাজার সাতটির অনুসন্ধান করে দুদক।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com