সিএনএমঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মায়ের পরকীয়ার বলি হতে হয়েছে দেড় বছরের শিশু নূসরাতকে। ঘটনার পর শিশুটির মা আয়েশাকে আটক করে থানায় নেয়া হলে জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (৮ জুন) ভৈরব থানায় এ স্বীকারোক্তি দেন নূসরাতের মা। এর আগে শনিবার রাতে গলাটিপে হত্যার পর পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় নিহত শিশুর দাদা আবুল কালাম বাদী হয়ে আয়েশা, আলমগীর এবং ভাড়াটিয়া বাড়ির মালিক শাহরিয়ার কবিরকে আসামি করে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আয়েশাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য।
নিহত নূসরাতের দাদা আবুল কালাম জানান, চার বছর আগে তার ছেলে উমর ফারুকের সঙ্গে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা গ্রামের মন্নান মিয়ার মেয়ে আয়েশার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই সন্তান। চার বছরের ছেলে আলিফ ও দেড় বছরের মেয়ে নূসরাত।
তিনি জানান, দেড় মাস আগে আয়েশা তার ছেলে আলিফকে ফেলে মেয়েকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক আলমগীরের সঙ্গে পালিয়ে যান এবং ভৈরবের লক্ষীপুর এলাকার শাহরিয়ার কবিরের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। সেখানেই শনিবার রাত ৯টার দিকে আয়েশা গলাটিপে হত্যা করে নিজের শিশু সন্তান নূসরাতকে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফোয়াদ রুহানী বলেন, ‘রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা গলাটিপে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য। আলমগীরকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’