বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ১২:৩০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

দেড় মাসে ও ধর্ষিতার মামলা নেয় নি যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশ ন্যায় বিচার পেতে বিভিন্ন দপ্তরে শিশু সন্তান নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ১১.২৯ পিএম
  • ২৭২ বার পড়া হয়েছে
 দেড় মাসে ও ধর্ষিতার মামলা নেয় নি যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশ
ন্যায় বিচার পেতে বিভিন্ন দপ্তরে শিশু সন্তান নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
 নিজস্ব প্রতিবেদক
বিয়ের পর স্বামী আর সন্তান নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল এক নারীর
ইংরেজি ২০১৪ সনে তাহার স্বামীর মুসলিম শরা-শরীয়তের বিধান মতে উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের উপস্থিতিতে দেন মোহরানা ধার্য্য করিয়া রেজিষ্ট্রিকৃত কাবিনমূলে বিবাহ কার্য সু-সম্পন্ন হয়। অত্র বাদিনীর স্বামী একজন মাছ ব্যবসায়ী হিসাবে যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তে ব্যবসা করেন। বিবাহের পর বাদিনী তাহার স্বামীর সহিত ঢাকা শহরে আসিয়া যাত্রাবাড়ী থানাধীন বিভিন্ন ভাড়া বাড়ীতে স্বামী-স্ত্রী রূপে ঘর সংসার করিতে থাকে।
অতঃপর বিগত ইংরেজী ২০১৬ সনে বাদিনীর গর্ভে ও তাহার স্বামীর ঔরষে তাহাদের এক পুত্র সন্তান আকাশ জন্ম গ্রহণ করে এবং ইংরেজী ২০১৯ সনে বাদিনীর গর্ভে ও তাহার স্বামীর ঔরসে তাহাদের অপর এক পুত্র সন্তান শান্ত জন্ম গ্রহণ করে। দাম্পত্য জীবনে অভাব অনটনের কারণে তাহার বড় পুত্রকে প্রতিপালনের জন্য তাহার পিতা-মাতার নিকট গ্রামে রাখিয়া আসে এবং ছোট ছেলে শান্তকে লইয়া অভাব অনটনে কষ্টে শিষ্টে স্বামীর সংসার করিতে থাকেন।
এমতাবস্থায় বিগত ইংরেজী ২০২৪ সনের নভেম্বর মাসে অত্র বাদিনীর স্বামী যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা এলাকায় বাসা ভাড়া লইয়া তথায় অত্র বাদিনীকে তাহার নাবালক পুত্র সন্তান শান্ত সহ তাহাতে বসবাস করিতে থাকেন।
পরবর্তীতে বিগত ২০/১২/২০২৪ইং তারিখে বাদিনীর স্বামী কোন প্রকার কথাবার্তা  ছাড়াই উক্ত বাড়িতে আসা এবং বাদিনীর সহিত সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করিয়া দেয়। বিভিন্ন লোক মারফত বাদিনী জানিতে পারে যে তাহার স্বামী অন্যত্র বিবাহ করিয়াছে এবং বাদিনীর সহিত আর সংসার করিবে না। উক্ত সংবাদ পাইয়া বাদিনীর মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পরে। ঢাকা শহরে সন্তান ভরন পোষণ করা  এবং ভাড়া দিবার কোন প্রকার ব্যবস্থা বা উপায়ন্ত না থাকায়
স্বামীর অপেক্ষায় থেকে যেভাবে বিপাকে পরে নির্যাতিতা
স্বামীর সহিত যোগাযোগ করিবার আশায় উক্ত ভাড়া বাড়ীতে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেন এবং কোন রকমে পুত্র সন্তান শান্তকে লইয়া দিনানিপাত করিতে থাকেন।
অতঃপর বাদিনীর স্বামী নূর উদ্দিন বাদিনীর সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না করায় এবং বাদিনী তাহার স্বামীর সন্ধান করিতে না পারায় ০২ (দুই) মাসের বাড়ি ভাড়া পাওয়া হইলে বিগত ০৫/০৩/২০২৫ইং তারিখে আনুমানিক দুপুর ৩ ঘটিকার সময় বর্ণিত বাড়ির মালিক অত্র বাদিনীর ঘরে রক্ষিত প্রায় ৪,০০,০০০/-(চার লক্ষ) টাকার মালামাল ও আসবাবপত্র আটক রাখিয়া অত্র ছদ্দনাম (রুমা) কে তাহার পুত্রসহ বাসা হতে এক কাপড়ে বের করে দিয়ে ঘরে তালা মারিয়া দেয়।
এরপর উক্ত ছদ্দনাম (রুমার) যাওয়ার কোন জায়গা না থাকায় উক্ত বাড়ির সামনে দাড়িয়ে কান্নাকাটি করতে থাকিলে উক্ত বাড়ির মালিকের ছেলে ছদ্দনাম রুমাকে প্রস্তাব দেয় যে, যেহেতু ছদ্দনাম রুমার যাওয়ার কোন জায়গা নাই বিধায় সে রুমাকে অত্র এলাকার শেফালী নামক এক ভাড়াটিয়া মহিলার বাসায় রুমাকে তার ছেলে সহ থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারে। উক্ত ছদ্দনাম রুমা বাসার গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করিবে এবং তার বিনিময়ে উক্ত বাসায় গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করিবে এবং তার বিনিময়ে উক্ত গৃহকর্তা ছদ্দনাম রুমাকে ও তাহার সন্তানকে থাকা খাওয়া সহ ও মাসিক ৩,০০০/-(তিন হাজার) টাকা বেতন প্রদান করিবে।
৬ বছরের শিশু সন্তানকে আটক করে মাকে যেভাবে ধর্ষণ করল পাষন্ডরা
ছদ্দনাম রুমা এর উক্ত প্রস্তাবে রাজী হয় কারণ তাহার আশা ছিল ঢাকায় থাকিলে তাহার স্বামীকে খোঁজ-খবর করিয়া বের করিতে পারিবে এবং উক্ত কাজের ফলে তাহার ও তাহার সন্তানের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থাও হইবে।
এক পর্যায়ে ছদ্দনাম রুমা বিগত ০৫/০৩/২০২৫ ইং তারিখ হইতে শনিআখড়া ডিশগলি, বাবু হাজীর বাড়ি, হোল্ডিং-অজ্ঞাত, থানা-যাত্রাবাড়ি ঠিকানাস্থ ছয়তলা ভাড়াটিয়া উক্ত শেফালী
এর বাসায় গৃহকর্মী হিসাবে কাজে যোগদান করেন। ছদ্দনাম রুমা উক্ত বাড়িতে কয়েকদিন থাকা অবস্থায় দেখতে পায় যে, উক্ত ফ্ল্যাটে চারটি রুমে প্রায় সময়ই বহিরাগত লোকজন এসে রুমে বসে মাদক সেবন করে। গৃহকর্তা উক্ত বহিরাগত লোকজনের নিকট ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করে এবং তাদের মাদক সেবনের ব্যবস্থা করিয়া দেয়।
এরপর ছদ্দনাম রুমা উপলদ্ধি করেন যে গৃহকর্তা ও তার স্ত্রী মাদক বিক্রেতা। উক্ত বাড়িতে অবস্থান করিলে ছদ্দনাম রুমা এবং তার সন্তান বিপদে পরিতে পারেন বিবেচনা করিয়া ছদ্দনাম রুমা বিগত ইংরেজি ০৯/০৩/২০২৫ইং তারিখে গৃহকর্তাকে জানায় যে, সে আর এ বাড়িতে কাজ করবে না, সন্তানকে লইয়া গ্রামে চলিয়া যাইবে। গৃহকর্তী উক্ত কথা শুনিয়া ছদ্দনাম রুমা ও তাহার সন্তানকে চলিয়া যাইতে বাধা প্রদান করেন। তাদের মনে আশঙ্কা ছিল যে ছদ্দনাম রুমা চলিয়া যাইয়া বাহিরের লোকের কাছে তাহাদের অবৈধ কারবারে কথা বলিয়া দিলে তাহাদের ক্ষতি হতে পারে,
বিধায় ছদ্দনাম রুমা ও তাহার সন্তানকে উক্ত ফ্ল্যাটে আটক করিয়া রাখে। এক পর্যায়ে দুপুর আনুমানিক ২ ঘটিকার সময় ছদ্দনাম রুমাকে তাহার কক্ষে ডেকে নিয়ে কক্ষের দরজা বন্ধ করে এবং ভিকটিক রুমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সম্মতি ব্যতিরেকে জোর পূর্বক ধর্ষন করিবার জন্য ভিকটিম রুমাকে বিবস্ত্র করিতে শুরু করিলে ছদ্দনাম রুমা তাহাকে প্রাণপন বাধা প্রদানের চেষ্টা করিলে ছদ্দনাম রুমাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করিয়া বলে যে তাহাকে বাধা প্রদান করিলে ছদ্দনাম রুমার নাবালক সন্তানকে হত্যা করিবে।
এরপর বন্ধ কক্ষে ছদ্দনাম রুমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সম্মতি ব্যতিরেকে জোর পূর্বক গৃহকর্তা স্বপন ছদ্দনাম রুমাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের উক্ত ঘৃণ্য কার্যের কথা তাহার স্ত্রী শেফালীকে জানাইলে সে ছদ্দনাম রুমাকে বলে
‘ তুই যে আর এ বাড়ি থেকে বের হতে না পারিস এবং তোর মুখ কাউকে দেখাতে না পারিস তার জন্য তোর সাথে এমন কাজ করা হয়েছে। যদি কখনো এখান থেকে চলে যেতে চাস তোকে সহ তোর ছেলে কে মেরে ফেলবো।
এক পর্যায়ে ঐ দিনের পর হইতে প্রায় সময়ই ভিকটিমকে গৃহকর্তা ও গৃহকর্তী নানা ধরনের শারীরিক নির্যাতন করে এবং বিভিন্ন সময়ে লোকজন আনিয়া অর্থ্যাৎ ছদ্দনাম রুমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সম্মতি ব্যতিরেকে, ভীতি প্রদর্শন করিয়া জোর পূর্বক সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করায়। নিজের ও নাবালক পুত্র সন্তানের প্রাণ ভয়ে অত্র ভিকটিম রুমা উক্ত নির্যাতন সহ্য করিয়া আসে।
অতঃপর বিগত ০৮/০৫/২০২৫ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় অত্র ছদ্দনাম রুমা গৃহকর্তী শেফালীর কাছে অনুরোধ করে একজন নারীর প্রতি অপর একজন নারী হিসাবে দয়া করে তাকে ও তার সন্তানকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য গৃহকর্তা ও গৃহকর্তীকে বিভিন্ন ভাবে অনুরোধ জানাইলে। ছদ্দনাম রুমার উক্ত কথা শুনিয়া ছদ্দনাম রুমাকে উক্ত ফ্ল্যাটের একটি রুমে আটক করিয়া পরদিন বিকাল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত ৯-১০ জন পুরুষ িিদয়ে ছদ্দনাম রুমা সংঘবদ্ধভাবে গণধর্ষন করায় এবং উক্ত ধর্ষণের ভিডিও এবং স্থির চিত্র দ্বারা ছদ্দনাম রুমাকে সামাজিকভাবে মর্যাদাহানী করিয়া এবং সুবিধা আদায় করিবার উদ্দেশ্যে
ধর্ষক ও সহযোগিরা তাদের মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ ও গ্রহণ করে এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা বিভিন্ন জনকে ধর্ষণের ভিডিও পাঠায় এবং দেখায়।
যেভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয় নির্যাতিতাকে
এক পর্যায়ে ভিকটিম গুরুতর অসুস্থ হইয়া গেলে এবং তাহার সহ্যের সীমা অতিক্রম করায় ধর্ষকদের বাধা প্রদান করিলে তাহারা ক্ষিপ্ত হইয়া ওড়না দ্বারা ছদ্দনাম রুমা গলায় পেচিয়ে ছদ্দনাম রুমাকে ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে তখন ভিকটিম প্রাণ বাঁচাইবার চেষ্টায় জোরে জোরে চিৎকার করিলে
সিগারেটের আগুনে ঝলসে দেওয়া হলো যেভাবে
ছদ্দনাম রুমাকে সম্পূর্ণ বিবস্থ করিয়া দুই হাত ও দুই পা চাপিয়া ধরে গণ ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ধর্ষক ও সহযোগীদের হাতে থাকা জলন্ত সিগারেটের আগুন দ্বারা ছদ্দনাম রুমা যৌনাঙ্গ সহ দুই রানের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাকা দিয়া মারাত্মক জখম করে। অতঃপর ছদ্দনাম রুমা আগুনে পুড়ে যাওয়ার যন্ত্রনায় জোরে জোরে ডাক চিৎকার দিলে উক্ত বাড়িসহ আশে পাশের লোকজন রুমার চিৎকার ও কান্নার আওয়াজ শুনতে পাইয়া ঘটনাস্থলের ফ্ল্যাটের দরজায় ধাক্কা প্রদান ও ডাকাডাকি করিলে বাধ্য হইয়া ধর্ষকগণ দরজা খুলিয়া দেয় এবং ঘটনাস্থল হইতে ধর্ষকরা পালাইয়া যায়।

এরপর উপস্থিত ব্যক্তিগণ ছদ্দনাম রুমাকে ঘটনাস্থল হইতে উদ্বার করে এবং চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিক্সা যোগে পাঠাইয়া দেয়। ভিকটিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌছাইয়া কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটার সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনা জানতে চাইলে ভিকটিম তাহাদের ঘটনার কথা বলিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভিকটিমকে ঘটনাস্থল এলাকার থানার পুলিশ লইয়া আসিয়া চিকিৎসা নিতে বলে।
এরপর ভিকটিম উক্ত ঘটনাস্থল অর্থ্যাৎ যাত্রাবাড়ি এলাকায় গেলে আসামীগণ কর্তৃক আক্রমনের শিকার হইবার ভয়ে রাতে অর্থ্যাৎ তখনকার মত যাত্রাবাড়ি থানায় না যাইয়া সন্তানকে লইয়া মাথা গুজিবার যায়গা না থাকা কমলাপুর রেল ষ্টেশনে রাতের মতো অবস্থান করিয়া পরদিন অর্থ্যাৎ ১০/০৫/২২৫ইং তারিখে একটি অভিযোগ লিখিয়া আইজিপি, পুলিশ কমিশনার, উপ পুলিশ কমিশনার ওয়ারী বিভাগ, সহ যাত্রাবাড়ি থানায় একটি এজাহারে তার ঘটনা বিষয়াদী উল্লেখ করে যাত্রাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে দেন।
আসামীগণ আর্থিক, রাজনৈতকিভাবে প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান হওয়ায় বাদিনী তাহার ও তাহার সন্তানের নিরাপত্তার স্বার্থে যাত্রাবাড়ী থানায় যাইবার পূর্বে উল্লেখিত ঘটনাসমূহ অভিযোগ আকারে লিখিয়া আইজিপি মহোদয়, পুলিশ কমিশনার ডিএমপি এবং উপ-পুলিশ কমিশনার ওয়ারী বিভাগ গণের নিকট প্রদান করিয়া, রিসিভ কপিসহ এজাহার দায়ের করিবার জন্য যাত্রাবাড়ি থানায় যান। যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ভিকটিমের অভিযোগ শ্রবণ করিয়া মামলা গ্রহণরে জন্য ইন্সেপেক্টর অপারেশন, ইন্সেপেক্টর তদন্তকে সহ এক এসআইকে দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব প্রাপ্তরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগে উল্লেখিত কয়েকজন আসামীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
ন্যায় বিচার হতে বঞ্চিত হলো যেভাবে নির্যাতিতা নারী
থানায় আনার পর আসামীদের সাথে টাকা পয়সার লেনদেন ও মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ করার পর যাত্রাবাড়ি থানায় বাদিনীকে বিনা কারণে এবং কোন প্রকার ধর্ষণের চিকিৎসা প্রদান না করিয়া আসামী ধরার কথা বলিয়া ভিকটিমকে বিনা কারণে এবং কোন প্রকার চিকিৎসা প্রদান না করিয়া আসামী ধরার কথা বলিয়া ছদ্দনাম রুমাকে যাত্রাবাড়ি থানায় দুই দিন আটকে রাখিয়া
বিগত ১২/০৫/২০২৫ইং তারিখ একজন পুলিশ একখানা টাইপ করা কাগজ আনিয়া অত্র ছদ্দনাম রুমাকে স্বাক্ষর করিতে বলে। ভিকটিম রুমা লেখাপড়া না জানায় এবং তাহার মামলা হইতেছে মনে করিয়া
উক্ত কাগজে নিজ নাম স্বাক্ষর করিয়া দেন। এরপর যাত্রবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাহার কক্ষে উক্ত ভিকটিমকে ডাকিয়া আনিয়া ১,০০০/- (এক হাজার) টাকার একটি নোট দিয়া বলেন, আপনার মামলা হয়েছে, আমরা আসামী ধরেছি আরো ধরার চেষ্টা করিতেছি, আপনি গ্রামের বাড়িতে চলে যান।
বাদিনীকে পতিতা বানিয়ে যে ভাবে মানব পাচার আইনে মামলা নিল
ভিকটিম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উক্ত কথায় আস্বস্ত হইয়া মামলার কপি চাহিলে ইন্সেপেক্টর তদন্ত রমজানুল হক ছদ্দনাম রুমাকে দুই পাতার একটি কাগজ দিয়া বাড়িতে চলিয়া যাইতে বলেন। ভিকটিম থানা হইতে বাহির হইয়া এক পথচারী এক ব্যক্তিকে উক্ত মামলার কাগজ পড়িতে দিলে ঐ ব্যক্তি পড়িয়া জানায় যে, তাহার মামলায় এজাহারকারী ০৩ (তিন) জন আসামীর নামে মানব পাচার মামলা দিয়েছে। উক্ত মামলার ধর্ষিতা ভিকটিমকে পতিতা দেখানো হইয়াছে। যার মামলা নং-৩৬, তারিখ-১২/০৫/২০২৫ইং, ধারা-১২/১৩ মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইন-২০১২।

এরপর অত্র মামলার বাদিনী উক্ত এজাহারের বিষয়ে অবগত হইয়া হতভম্ব হইয়া যায়। যাত্রাবাড়ী থানা বাদিনীকে দুই দিন আটক রাখিয়া শারীরিক ক্ষত এবং ধষর্নের কোন চিকিৎসা না করিয়া এবং বর্নিত ঘটনায় ধর্ষন মামলা নিয়া আসামীগণকে রক্ষ করিবার উদ্দেশ্যে বাদিনীর ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করিয়া আসামীদের দন্ড লঘু করিবার জন্য মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনে মামলা গ্রহণ করিয়াছে। উক্ত বিষয়ে জানিবার জন্য অত্র বাদিনী পুনরায় যাত্রাবাড়ী থানায় গিয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করিলে অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার এবং ইনেস্পেক্টর তদন্ত কাজী রমজানুল হক বাদিনীকে বলে যে, ‘তুই সোজা গ্রামের বাড়ি চলে যাবি আর এই ধর্ষনের বিষয় কোথাও গিয়ে বলা বলি করবি না চুপ থাকবি। না হলে তোর ও তোর সন্তানের ক্ষতি হয়ে যাবে। উক্ত হুমকি প্রদান করিয়া অত্র বাদিনীকে থানা থেকে বের করে দেয়া হয়।

যেকারণে ডিএমপি কমিশনার সহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার
বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন
পরবর্তীতে থানায় বিচার পাইবে না বুঝিতে পারিয়া অত্র বাদিনী বিগত ১৩/০৫/২০২৫ইং তারিখে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, এবং আইজিপি মহোদয় বরাবরে উল্লেখিত ঘটনা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার ওয়ারি বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার ও যাত্রাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,ইন্সেপেক্ট তদন্ত, ইন্সেপেক্টর অপারেশন এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এবং উক্ত অভিযোগপত্র দেখাইয়া বিগত ১৪/০৫/২০২৫ইং তারিখে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ১১৭১৭/৭৭ সং রেজিঃ মূল ওটিসি ওয়ার্ডে ভর্তি হইয়া ১৮/০৫/২০২৫ইং তারিখ পর্যন্ত চিকিৎসা গ্রহণ শেষে ছাড়পত্র গ্রহণ করেন। ঘটনাস্থলের স্থানীয় থানায় ঘটনার বিষয়ে মামলা করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না গ্রহণ করায় এবং আত্মীয় স্বজনের পরামর্শে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করিতে বাদিনীর সামান্য বিলম্ব হয় বলিয়া অভিযোগে উল্লেখ করে যাত্রাবাড়ি থানায় একটি এজাহার দেন উক্ত এজাহার অফিসার ইনচার্জ কোন রকম ব্যবস্থা না নেওয়ায় একই এজাহার ওয়ারী উপ পুলিশ কমিশনার বরাবরে একটি অভিযোগ আকারে জমা দেন। ঐ দিনই থানা পুলিশের ধারে ধারে ঘুরে কোন রকম আইনগত সহায়তা না পাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল ৩নং আদালতে গিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে যাত্রাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, ও ইন্সেপেক্টর তদন্ত কাজী রমজানুল হক সহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে গণ ধর্ষণ আইনে পিটিশন মামলা দায়েরের জন্য অভিযোগ জমা দেন।
যে কারণে যে ধারায় আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন
আসামীগণের সহযোগিতায় অত্র ছদ্দনাম রুমাকে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে, সম্মতি ব্যতিরেকে, ভীতি প্রদর্শন করিয়া জোর পূর্বক সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করিয়া এবং ধর্ষণের উদ্দেশ্যে জলন্ত সিগারেটের আগুন ব্যবহার করিয়া ছদ্দনাম রুমার যৌনাঙ্গ মারাত্মক জখম করিয়া আসামীগণ ২০০০ (সংশোধিত ২০২৫) সনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩)/৯(৪) (গ) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছে এবং ছদ্দনাম রুমার ধর্ষণের ভিডিও এবং স্থির চিত্র দ্বারা ছদ্দনাম রুমার সামাজিকভাবে মর্যাদাহানী করিবার এবং সুবিধা আদায় করিবার উদ্দেশ্যে মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ ও গ্রহণ করিয়া এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা বিভিন্ন জনকে ধর্ষণের ভিডিও পাঠাইয়া এবং দেখাইয়া অত্র মামলার ২৫নং হইতে ২৯ নং আসামীগণ ২০১২ সনের পর্নোগ্রাফি আইনে ৮(১)/৮(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াচে এবং ছদ্দনাম রুমার ঘটনাকে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করিয়া আর্থিকভাবে লাভবান হইবার উদ্দেশ্যে সরকারী কর্তব্য কার্যে অবহেলা ও অসদাচরণ করায় অত্র মামলায় যাত্রাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, ও ইন্সেপেক্টর তদন্ত কাজী রমজানুল হক কে ১৮৬০ সনের দন্ডবিধি এর ১৬৬/১৬৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছে বিধায় উক্ত ধারায় ভিকটিম তার অভিযোগ ফিরিস্তিতে প্রার্থনা করেন যে, হুজুর আদালত ন্যায় বিচারের স্বার্থে সকল আসামীগণের বিরুদ্ধে ২০০০ (সংশোধিত ২০২৫) সনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩)/৯(৪) (গ) ধারা মোতাবেক এবং ২৫নং হইতে ২৯নং আসামীগণের বিরুদ্ধে ২০১২ সনের পর্নোগ্রাফি আইনের ৮(১)/৮(২) ধারা মোতাবেক এবং ৩০নং এবং ৩১নং আসামীগণের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সনের দন্ডবিধি এর ১৬৬/১৬৭ ধারা মোতাবেক অপরাধ আমলে লইয়া, সকল আসামীগণের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ারান ইস্যু করতঃ পুলিশ কর্তৃক ধৃত পূর্বক জেল হাজতে আটক রাখিয়া সুবিচার করিতে বিজ্ঞ আদালতের কাছে বাদিনী প্রার্থনা কামনা করেন।
ভুল বুঝিয়ে আদালত প্রাঙ্গন হতে ভিকটিমকে নিয়ে যাওয়া হলো
শুনানি শেষে উক্ত অভিযোগে ভুল থাকায় সংশোধণ করে নিয়ে আসার জন্য আইনজীবীকে কিছু সময় দেন। এরিমধ্যে কোন ভাবে যাত্রাবাড়ি থানার পুলিশ কর্মকর্তারা জেনে যান যে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ওসি তদন্তের বিরুদ্ধে ভিকটিম রুমা ছদ্দনাম আদালতে অভিযোগ দায়ের করিতেছেন। এরিমধ্যেই থানার এক এস আই ও বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে আদালত এলাকা হতে ভিকটিমকে যাত্রাবাড়ি থানায় মামলা নেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে ভিকটিমকে ভুল বুঝিয়ে আইনজীবীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ফুসলিয়ে নিয়ে আসেন যাত্রাবাড়ি থানায়। এক পর্যায়ে এরপরও থানায় মামলা না নেওয়ায় পরদিন ওয়ারী বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার এর কাছে ভিকটিম গেলে উপ পুলিশ কমিশনার ডেমরা জোনের এসি, যাত্রাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ ডিসি অফিসে ডেকে এনে ভিকটিমের ঘটনার বর্ণনা ভিকটিমের কাছ হতে সবাইকে শোনান। এর পর ভিকটিম ছদ্দনাম রুমাকে ডিসি অফিস হতে যাত্রাবাড়ি থানায় পাঠান। মামলা নেওয়ার আশ^াস দিয়ে। পরদিন যাত্রাবাড়ি থানায় গিয়ে অফিসার ইনচার্জ ও তদন্তের সাথে দেখা করেন এবং পুনরায় আবার ঘটনার বিবরণ লিখে ৩০ জনকে আসামী করে একটি এজাহার ও ঢাকা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসার ছাড়পত্র এজাহারের সাথে দেন। যাত্রাবাড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ সহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ভিকটিমকে বলেন, আপনার মামলা নিচ্ছি আমাদের সাথে পরে যোগাযোগ কইরেন। ভিকটিম অদ্য পর্যন্ত একাধিকবার পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেছে। আদালতে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন অদ্য পর্যন্ত তার ধর্ষণের ঘটনায় কোন মামলা নেওয়া হয় নি। তাই পুলিশের একাধিক দপ্তরে ঘুরে ঘুরে ন্যায় বিচার না পাওয়ায় সর্বশেষ ১৭/০৬/২০২৫ইং তারিখ চতুর্থবারের মতো প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা, আইজীপী মহোদয় ও পুলিশ কমিশনার, উপ পুলিশ কমিশনার ওয়ারী বিভাগ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমে জীবনের নিরাপত্তা এবং ধর্ষণ মামলা নিয়ে আসামী গ্রেফতার করে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
ভিকটিম তার অভিযোগে সকলকে জানিয়েছেন যে, ভিকটিমের যে কোন ক্ষতি সাধন ও হত্যার জন্য দায়ী থাকবেন ধর্ষকরা ও যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ , ইনেস্পেক্টর তদন্ত যেহেতু মামলা না হওয়ায় ধর্ষকরা বিভিন্ন ভাবে তার ক্ষতি সাধনের জন্য হত্যার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভিকটিম আশংকা করিতেছেন যে কোন সময় তাকে উল্লেখিত ব্যক্তিরা হত্যা সহ বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে। এর জন্য গণমাধ্যম সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরিত অভিযোগে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সেপেক্টর তদন্ত, ওয়ারী বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার কে মুঠোফোনে পাওয়া না যাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায় নি। উল্লেখিত বিষয় ভিকটিমের বক্তব্য অনুযায়ী রিপোর্ট করা হইল।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com