বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর রুবেল হোসেন একাধিক মামলার আসামী হলেও রহস্যজনক কারণে তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে গ্রেফতার করেন না।

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫, ৬.০৬ পিএম
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে
ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর রুবেল হোসেন একাধিক মামলার আসামী হলেও রহস্যজনক কারণে তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে গ্রেফতার করেন না।  
মোঃ আলমগীর সেলিম
সূত্রে জানা যায়, ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর রুবেল হোসেন একাধিক মামলার আসামী হলেও রহস্যজনক কারণে তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে গ্রেফতার করেন না। এক সময়কার রাজপথ দাপিয়ে বেড়াতেন সাবেক চিপ হুইপ আ স ম ফিরোজ এর ধর্ম ভাই হিসেবে পরিচয় দিয়ে নানা ধরনের আওয়ামী দলীয় সুবিধা ভোগ করতেন। এছাড়া আ স ম ফিরোজ এর বিশ^স্থ এবং খুব কাছের প্রিয় মানুষ হিসেবেই বিশ^স্থ অর্জন করে দাপুটে নেতা হিসেবেই খ্যাতি অর্জন সেই রুবেল হোসেন বর্তমান তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী মামলা সহ একাধিক ধর্ষণ মামলার ঘটনাক্রমে আসামী।
যাত্রাবাড়ি থানার মামলা নং-৮০, তারিখ: ১৯/০৩/২০২৫ইং, ধারা: ৯ (৩), নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধিত ২০২০ তৎ সহ ৮(১)/৮(২) পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২ এছাড়া একই ধরনের ঘটনায় কামরুল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ও তার বিরুদ্ধে খোঁজ খবর নিয়ে মামলা পাওয়া গেছে। একের পর এক পাহাড় সমান অপরাধের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তারা রুবেল হোসেনকে গ্রেফতার করে না। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার সাবিনা বেগমের সাথে মুঠো ফোনে তার ব্যবহৃত ০১৭৩৯-২১১০৯৪ নম্বরে ফোন করে ক্রাইম নিউজ মিডিয়ার প্রতিবেদক আলাপ কালে ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে তিনি বলেন, মামলা হওয়ার পর রুবেলকে গ্রেফতারের জন্য দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় গিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ইউনুস এর সাথে দেখা করে রুবেলকে গ্রেফতারের জন্য বলি এবং রুবেলের অবস্থানের সন্ধান দেই। সন্ধান পাওয়ার পর এস আই ইউনুস রহস্য জনক কারণে রুবেলকে গ্রেফতার করতে কৌশলে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর ওসি সাহেবকে বিষয়টি বলি এক পর্যায়ে ওসি সাহেব একটি অদিজাচরন পত্র লিখে আমাকে দিলে আমি ঐ পত্র নিয়ে যাত্রাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দিলে এক পর্যায়ে যাত্রাবাড়ি থানার ওসি তদন্ত রমজান অদিজাচরন পত্রে রুবেলের নাম লেখা দেখে আমাদের তাল বাহানা করে থানা হতে বের করে দেয়। অদ্য পর্যন্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রুবেলকে গ্রেফতার করে নি। উল্টো রুবেলকে গ্রেফতারের নামে পলাতক হওয়ার সহায়তা করে আসছে। এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কোন কর্মকর্তা রুবেলকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আসামী বুঝে নেওয়ার জন্য ফোনে কথাবার্তা বললে তদন্ত কর্মকর্তা আসামী গ্রেফতারে অনিহা প্রকাশ করেন। এছাড়া মামলার বাদী সাবিনা একাধিকবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ও অদিজাচরন পত্র নিয়ে যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ও ওসি তদন্ত রমজানুল হকের কাছে গিয়ে রুবেলকে গ্রেফতার করতে বললে তারা কেউ আমাকে আইনগত সহায়তা করে নাই। উল্টো যাত্রাবাড়ি থানার ওসি তদন্ত রমজানুল হক বলেছেন রুবেল হোসেন আমাদের কাছের ছোট ভাই। তিনি আমাদের বড় ভাই আ স ম ফিরোজের খুব কাছের লোক ছিল। বর্তমানে তাদের একটু দুঃসময় চলায় যে কেউ এসে মামলা দেখাইলেই গ্রেফতার করতে হবে এমন তো কোন কথা নাই। তখন সাবিনা বুঝতে পারে রুবেল হোসেন আওয়ামীলীগ দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় এবং আ স ম ফিরোজের আস্থা ভাজন হওয়ায় তাকে কোন পুলিশ গ্রেফতার করতে চায় না কেননা আমার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ইউনুস ও যাত্রাবাড়ি থানার ্ইন্সেপেক্টর তদন্ত রমজানুল হক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার ফ্যাসিবাদ সরকারের ভক্তবৃন্দ হওয়ায় কৌশলে আসামী গ্রেফতার করা হতে এড়িয়ে থাকেন।

এছাড়া যাত্রাবাড়ি থানার গণধর্ষণ মামলায়ও রুবেল হোসেন আসামী। কিন্তু ঐ মামলার আসামীদের গ্রেফতার করাকে কেন্দ্র করে যাত্রবাড়ি থানার ইন্সেপেক্টর তদন্ত রমজানুল হক নানা ধরনের তাল বাহানা করে এবং রুবেল হোসেন কে ঐ মামলায় ও গ্রেফতারে সহায়তা হতে বিরত থেকে উল্টো ঐ মামলা নিয়ে নানা ধু¤্রজালে পরিনত করেছেন। জানা যায়, ঐ মামলার অন্য এক আসামী হুমায়ুন কবির মিরাজকে বাঁচাতে আড়দের এক ব্যবসায়ী বিল্লাল নামক ব্যক্তিকে গ্রেফতার হুমায়ুন কবির মিরাজ হিসাবে জেল হাজতে পাঠান। এ নিয়ে মামলার বাদীনী ও স্বাক্ষী ইন্সেপেক্টর তদন্ত রমজানুল হকের বিরুদ্ধে আইজিপি ও পুলিশ কমিশনার বরাবরে একাধিক অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী শহিদুল ইসলাম রাজু ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে বলেন, যাত্রাবাড়ি থানার ইন্সেপেক্টর তদন্ত যদি মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা হতো তাহলে মামলা নং ৮০ নিয়ে আসামী গ্রেফতার ও ছেড়ে দেওয়ার ব্যবসা করত না।
ইন্সেপেক্টর তদন্ত রমজানুল হক তিনি ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর হিসেবে অতি গোপনে কাজ করে যাচ্ছেন। মামলার আসামী গ্রেফতার তো দূরের কথা অর্থ পেলে আসামী গ্রেফতারের পরেও ছেড়ে দেন। তার বিরুদ্ধে শুধু আমিই অভিযোগ করিনি এ রকম অনেক ভোক্তভোগী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এতে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ রহস্য জনক কারণে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে তিনি জানান। এমন একটি আসামী ধরা ছাড়া তথ্যের কল রেকর্ড ক্রাইম নিউজ মিডিয়ার কাছে এক ভোক্তভোগী দিয়েছেন।

এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ি থানার ইন্সেপেক্টর তদন্ত রমজানুল হকের সাথে ক্রাইম নিউজ মিডিয়ার প্রতিবেদক মুঠো ফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, আমাকে কোন অফিসার আসামী বুঝে নেওয়ার জন্য ফোন করে নি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com