শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::

পাচার হওয়া নারীদের উদ্ধারে দুই শতাধিক দালালের বিরুদ্ধে মামলা উত্তরার আবাসিক হোটেলের মরণ ফাঁদে আটকে আছে বহু নারী

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৯.৪৬ পিএম
  • ১২৫ বার পড়া হয়েছে
পাচার হওয়া নারীদের উদ্ধারে দুই শতাধিক দালালের বিরুদ্ধে মামলা উত্তরার আবাসিক হোটেলের মরণ ফাঁদে আটকে আছে বহু নারী

বিশেষ প্রতিনিধি                  
মানবাধিকার সংস্থার অভিযোগে যা উঠে এসেছে অবশেষে মামলা

ঢাকা জেলায় প্রায় ৫ শতাধিক আবাসিক হোটেল রয়েছে। সাইন বোর্ডে লেখা আবাসিক হোটেল থাকলেও ভিতরে চলে ভিন্ন ব্যবসা। আবাসিক হোটেল ব্যবসার সাইন বোর্ডের অর্ন্তরালে রাজধানীতে প্রায় ৫ শতাধিক পতিতালয় গড়ে ওঠেছে। এসকল পতিতালয়ে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক তৎপরতা থাকলেও বর্তমানে সুবিধাভোগী আবাসিক হোটেল নামে পতিতালয়গুলোতে স্থানীয় পর্যায়ের দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তাদের বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অসাধু কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে হোটেল নামে পতিতালয় গুলোতে বিভিন্ন প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত মেয়ে মানুষ রাখিয়া অসামাজিক কার্যকলাপ ব্যবসা করছে এক শ্রেণির নারী পাঁচারকারী ও নারী ঘটিত ব্যবসায়ী দালাল চক্র। এসব অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধ হোক এ বিষয়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী, মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিরলসভাবে সময় সময়ে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ বিষয়ে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংগঠন আইজিপি সহ পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ঐ প্রতিবেদনে আবাসিক হোটেলের অন্তর্রালে ব্যাপক নারী, শিশু কিশোরী আটক থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। সংগঠনের প্রতিবেদনে

উত্তরা বিভাগের পুলিশের দায়িত্ব অবহেলা থাকায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি-০২
দীর্ঘ দিন যাবত দেশের মাদক, ক্যাসিনো (জুয়া), ব্যবসায়ী ও নারী পাচারকারী কয়েকটি চক্র বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে সু-কৌশলে।
দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে অপরাধ কর্ম করে যাচ্ছে। এরিমধ্যে  হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক সংস্থার সদস্যগণ জনস্বার্থে বিভিন্ন অপরাধ এর তথ্য উল্লেখ করে তা প্রতিকারের জন্য আইজিপি সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করে আসছে।

মানব পাঁচারকারী নারী ঘটিত ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারী সহ নানাবিধ অপরাধীরা ডি এম পি সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভবন ভাড়া নিয়ে আবাসিক হোটেলের সাইন বোর্ডের অর্ন্তরালে সরকারি অনুমতি ব্যতিরেকে অপ-ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় থানা পুলিশের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে গোপন সু-সম্পর্ক গড়ে তোলে।
উক্ত ভবনে ভাড়াটিয়া মালিকগণ সরকারি অনুমতি ছাড়া রাষ্ট্রীয় আইনের বিধান না মানিয়া অবৈধ পতিতালয় প্রতিষ্ঠা করে বিভিন্ন দালাল চক্র পাঁচারকারীদের মাধ্যমে নানা কৌশলে সেখানে মেয়েদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে সংগ্রহ করে আটক বা জিম্মি করে সু-কৌশলে মেয়েদের পতিতা বানিয়ে অর্থ কামানোর লালসায় পুরুষ খদ্দের সংগ্রহ করে ঐ সকল মেয়েদের প্রথমে গণধর্ষণ করে এরপর নানবিধ নির্যাতন পূর্বক নানা কৌশল অবলম্বন করে তাদের পতিতা সাজিয়ে আর্থিক লাভবান হওয়ার লোভে পরে রাতরাতি বড়লোক হওয়ার লালসায় ঐ সকল মেয়েদের পুরুষদের ভোগ্য পণ্য বানিয়ে উক্ত হোটেলগুলো হতে এক সময় দাললদের বশে আনা নারীদের বিদেশী এজেন্টদের কাছে নারীদের অজান্তে
পুনরায় সু-কৌশলে বিক্রি করে দেয়। ঐ বিদেশী এজেন্টরা বাংলাদেশী পাঁচারকারী দালালদের মাধ্যমে পাসপোর্ট বানিয়ে ঐ পাসপোর্টে অন্য দালালদের স্বামী সাজিয়ে বিজিড ভিসা সংগ্রহ করে বিদেশের বিভিন্ন পতিতালয়, ফ্ল্যাট বাসা ও আবাসিক হোটেল রিসোর্টে পাঠায়। বিদেশে যাওয়ার পর ঐ নারীরা বুঝতে পারে তিনি আবারও পাঁচারকারীদের খপ্পরেই রয়েছে।
অপরাধ তথ্য অনুসন্ধানকালে যা পাওয়া গেল

ক) অনুসন্ধানকালে মানবাধিকার কর্মীরা জানতে পারে ডি এম পির কদমতলী থানা এলাকার লামিয়াকে (ছদ্দনাম) দালাল চক্র চাকুরী দেওয়ার নাম করে ভিজিড ভিসায় দালালরা মালয়েশিয়া পাঠিয়েছে। সেখানে নিয়ে ছদ্দনাম লামিয়ার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বাধ্য করা হচ্ছে অনৈতিক কর্মকান্ড করতে।
খ) ছদ্দনাম মুনা, পাসপোর্ট নং-অ১২৯৫৭৭০৪, ভিসা নং-৬১৩৯৩৮৭৭৬৯, ইগঊঞ ঊসঢ়ষড়ুবব জবমরংঃৎধঃরড়হ ওফ: ঋজঋ২০২৪০২১১৫৬৬এ, মুনাকে নানাভাবে চাকুরী দেওয়ার কথা বলিয়া ফোসলাইয়া তার স্বামী ও পরিবারের অজান্তে কৌশল অবলম্বন করিয়া দালালচক্ররা পল্টন থানাধীন হাজী দীন ইসলাম, ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ারের লিফটের ডান পাশের নাবিলা সুমাইয়া একটি রিকুডিং এজেন্সি যাহার আর এল নাম্বার-১২৩৯, ৭ তলা ভবনে কার্যক্রম পরিচালিত ঐ রিকুডিং এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেস করে রিকুডিং এজেন্সির মালিক ও জিএম পরিচয়দানকারী মোঃ মিজান, শফিকুল ইসলাম, ইরাক, সাইফুল, রাহিম মিয়া, কাসেম, মারুফ, আজমাইন, বিল্লাল, রফিক, শিপু, আনোয়ার, রিপন, জজ মিয়া, হারুন, করিম, মতলব সহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই শতাধিক নারী পাঁচারকারী সংঘবদ্ধ একটি চক্র লামিয়া ও মুনাকে সৌদি আরবের দাম্মামে ও আরেকজনকে মালয়েশিয়া পাঠিয়েছে। এ চক্রের উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার একাধিক আবাসিক হোটেলে প্রায় বন্দি রয়েছে শতাধিক নারী।
দাম্মামে যাওয়ার পর ছদ্দনাম মুনা তার স্বামীর কাছে তার নির্যাতনের বিভিন্ন বিষয় মোবাইলে হোয়াটস অ্যাপ নাম্বারে অবগত করেন মুনার কাছ থেকে তার স্বামী জানতে পারেন যে তার স্ত্রী মুনা ঐ দেশী দালদের একটি ফ্ল্যাটে মুনা আটক রহিয়াছে ঠিক মতো তাকে খাওয়া দাওয়া দেওয়া হয় না। দালালরা নানা ভাবে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন পূর্বক ধর্ষণ করছে এবং বিভিন্ন পুরুষ এনে তাদের সাথে থাকতে বলে না থাকলে তার উপরে নেমে আসে নানা ধরনের নির্যাতন। মুনা ছাড়া দাম্মামে এ দালালদের মাধ্যমে পাঁচার হয়ে মুনার মতো নানাভাবে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে অনেক নারী। নির্যাতিতা নারীরা পালাতে গিয়ে বিদেশী পুলিশের হাতে ধরা পরে জেল হাজতে রহিয়াছে। মুনা তার স্বামীকে বারবার হোয়াটস অ্যাপে ম্যাসেজের মাধ্যমে অবগত করছে যে, মুনাকে দালাল চক্রের হাত হতে উদ্ধার না করলে যে কোন সময় দালাল চক্রের হাতে মুনা হত্যার স্বীকার হতে পারে। মুনাাকে সহ ঐ দালাল চক্রের দ্বারা বহু মেয়ে দাম্মামে রয়েছে সম্ভব হলে
তাদেরকেও যেন উদ্ধার করার সহায়তা করা হয় এবং পুলিশের সহায়তা যেন নেয়। নোয়াখালী টাওয়ারে ঐ রিকুডিং এজেন্সির কাছে গিয়ে মিজানদের অনেক রিকুয়েস্ট করেছে মুনার স্বামী মুনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু রিকুডিং এজেন্সির মালিক ও মিজানগংরা মুনার স্বামীকে বলে মুনাকে ফিরিয়ে আনতে হলে তাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে তাহলেই তার স্ত্রীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনবে। টাকা দিতে না পারলে তার স্ত্রী তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ হলে মুনাকে তাদের ইচ্ছামতো যে কোন দিন বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনবে। এরপর বিভিন্ন পুলিশের কাছে গিয়ে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার আসায় ও তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার সহায়তায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ধারে ধারে ঘুরছে।  অবশেষে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেলথ ফাউন্ডেশন সংস্থার দারস্থ হয়ে মুনার স্বামী সহায়তা চায়।

এরপর এইচ আর এইচ এফ কর্মীগণ অনুসন্ধ্যানকালে ডি এম পি উত্তরা বিভাগের পশ্চিম থানা এলাকায় ওয়ান স্টার নামক আবাসিক হোটেলে রুম বর্ডার সেজে উক্ত হোটেলে গিয়ে মানবাধিকার কর্মীগণ দেখতে পায় বিভিন্ন বয়সের ৩০-৪০ জন মেয়ে বিভিন্ন কক্ষে সেজে গুজে বসে আছে। তখন ঐ হোটেলের স্টাফ পরিচয়দানকারী মালিক শফিকুলকে জিজ্ঞেস করি ভাই আপনাদের সংগ্রহে নতুন কোন মেয়ে আসছে কিনা? তখন সাইফুল একজন স্টাফ দিয়ে আমাদের একটি

গোপন কক্ষে পাঠায় ঐ কক্ষের যাওয়ার পর মেয়েদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর রুপা, আয়শা, শাকিলা, বিথী, লায়লা, রুমা, লিমা, নাসরিনগংরা জানায় এখানে তাদেরকে গার্মেন্টস চাকুরী দেওয়ার কথা বলে দালালরা এই হোটেলে এনে তাদেরকে একটি রুমে আটক করে বাহির দিয়ে দরজা তালা মেরে রাখে কিছুক্ষণ পর পর দরজা খুলে হোটেলে থাকা দালালরা পুরুষ এনে তাদের সাথে আমাদের মেলামেশা অসামাজিক কার্যকলাপ করতে বলে। পুরুষরা কোন মেয়ে পছন্দ করলে ঐ মেয়ে ঐ পুরুষের সাথে খারাপ কাজ করতে না চাইলে তখন তাকে পাশের অন্য রুমে তাদের টর্চার সেলে নিয়ে ব্যাপক মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে। দালালদের নাম জানতে চাইলে আটক থাকা নারীরা দালালদের নাম উল্লেখ করে দালালদের নাম প্রকাশ করে। ঐ মুহূর্তে হোটেল স্টাফ কিছুক্ষণ পর ঘুরে এসে আমাদের ও মেয়েদের কথা বলার দৃশ্য দেখে ফেলে তখন হোটেল ভাড়াটিয়া মালিক শফিক আমাদের হুমকির সুরে পরিচয় জানতে চায় তখন আমরা আমাদের পরিচয় দেই। যে আমরা মানবাধিকার কর্মী।
পরিচয় পাওয়ার পর শফিক বলে যে, আমরা এখানে যে খারাপ ব্যবসা করি এটা উত্তরা ডিভিশনের আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অধিকাংশ কর্মকর্তাই অবগত আছেন। উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ, ইন্সেপেক্টর তদন্ত, ইন্সেপেক্টর অপারেশন স্যারকে প্রায় মাসে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা দিয়া এই হোটেলে নারী ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, জুয়া ব্যবসা চালাই। আপনারা সাংবাদিক লেখালেখি কইরা কি করবেন? আমার বিরুদ্ধে এর আগে পত্র পত্রিকা, টিভি চ্যানেলে বহু রিপোর্ট হইছে তাতে আমাদের নারীদের দিয়ে পতিতা ব্যবসা কি বন্ধ হইছে? উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি স্যারগণ ম্যানেজ আছে বলেই আমার বিরুদ্ধে হাজার রিপোর্ট করে ও কোন লাভ হবে না। উল্টো আপনারাই বিপদে পরবেন। এছাড়া আমার হোটেলের আশে পাশে আরোও সাত আটটি হোটেল আছে তারাতো আমার থেকে বেশী অপকর্ম করে এমন হোটেলের নাম প্রকাশ করে
উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার হোটেলগুলো হচ্ছে
১। হোটের রোজউড ২৭, গরিবে নেওয়াজ, উত্তরা ১১নং সেক্টর,
২। হোটেল সীগাল, ৯৮, বীর মুক্তিযোদ্ধা রোড মার্কেট, আব্দুল্লাহপুর ৯নং সেক্টর-৭/এ, উত্তরা
৩। হোটেল রাজমনি আবাসিক, সেক্টর নং-৯, আব্দুল্লাহপুর মোড়, উত্তরা
৪। হোটেল প্রাইম ইন আবাসিক, বাড়ি নং-১০/১, রোড নং-১০/এ, সেক্টর নং-০৯, আব্দুল্লাহপুর মোড়
৫। হোটেল গ্রীন গার্ডেন আবাসিক, হোল্ডিং নং-১২/চেয়ারম্যান বাড়ি রোড, সেক্টর-৯, আব্দুল্লাহপুর মোড়
৬। হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক, রোড নং-৬/৭/ডি, সেক্টর নং-৯, আব্দুল্লাহপুর উত্তরা
৭। উত্তরা সিটি গেস্ট হাউজ বাটা বিল্ডিং এর লিফটের ৪র্থ তলা, সেক্টর নং-৭, উত্তরা।
৮। হোটেল ওয়ান স্টার আবাসিক, (আকবর হোটেল), বাড়ি নং-২৬, সেক্টর-৯, উত্তরা
৯। হোয়াইট প্যালেস আবাসিক হোটেল, বাড়ি নং-২৫, রোড নং-৬, সেক্টর-৯, উত্তরা

ঐ হোটেল গুলোতে প্রায় ২৫-৩০টা করে মেয়ে আছে আপনি আমারে নিয়া মাথা না মাইরা সেখানে যান। এমতাবস্থায় আমরা সেখান থেকে চলে আসি। বিভিন্ন ভাবে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি উত্তরা পশ্চিম থানার কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ম্যানেজ থাকায় এই হোটেল গুলোতে নারী পাঁচারকারীরা আস্তানা বানিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নারীদের সংগ্রহ করে তাদের
ইচ্ছার বিরুদ্ধে পতিতা বানিয়ে এই চক্রের আশে পাশের বিভিন্ন হোটেলে দালালদের সংগ্রহ করা মেয়েদের নিয়ে পতিতা ব্যবসা করায় ও হোটেলের রুম গুলোতে নানা ধরনের মাদক সেবন ও বেচা কেনা হয়। হোটেলের রুমগুলোতে নিয়মিত ভাবে জুয়ার আসর বসে এবং বর্ডার বেশে দেশের বিভিন্ন জায়গার দাগী দোষী ফেরারি বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামিরা ওৎপেতে থেকে এলাকায় ছিনতাই সহ নানা ধরনের অপরাধ কর্মে লিপ্ত থেকে নিরীহ মানুষের ক্ষতি সাধন করছে।

তবে উল্লেখিত পাঁচারকারীদের ঢাকা জেলার ডিএমপি সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নামে বেনামে তাদের বহু আবাসিক হোটেলের অন্তর্রালে অবৈধ পতিতালয় রহিয়াছে।

যেমন-ডিএমপির কোতয়ালী থানাধীন এলাকার ১৯, আকমল রোড, বি-বাড়িয়া আবাসিক হোটেল, ১৫/১, আকমল রোড, একতা আবাসিক হোটেল, বাবুবাজার, ঢাকা। গুলিস্তান সাবেক স্বাগতম, তেজগাঁও থানা এলাকা, ফার্মগেট মোড় রূপসী বাংলা আবাসিক হোটেল, হোল্ডিং নং-৬১/এ, মিরপুর কাফরুল থানা এলাকার গোল্ডেন আবাসিক হোটেল, হোল্ডিং নং-৮৮৮, শেওড়াপাড়া, মিরপুর ২নং থানার হোটেল ঢাকা প্যালেস, যাত্রাবাড়ি থানার ৩৩৯, মেঘনা আবাসিক হোটেল ও ঢাকা টাইমস আবাসিক হোটেল।

অনুসন্ধান শেষে পৃথক ভাবে সবগুলো হোটেল থেকে পর্যবেক্ষণ শেষে নেমে এসে জানতে পারি আফরোজা নামে এক মেয়েকে দালাল চক্র সাইফুল্লাহ কাজ নেওয়ার কথা বলে এনে কয়েক বছর আগে তাকে খারাপ পথে নামিয়েছিল পরবর্তীতে ঐ মেয়ে এই চক্র থেকে বের হয়ে সে বিয়ে সাদী করে ঘর সংসার করতেছে এরিমধ্যে বহু খোঁজাখুজি করিয়া দালাল সাইফুল্লাহ আফরোজাকে খুঁজে পায় আফরোজাকে বশে আনতে না পেরে ঐ মেয়েকে তাদের চক্রে আনার জন্য একের পর এক সাজানো মামলায় ফাঁসাচ্ছে। দালালচক্ররা যে সকল মেয়েদের বশে আনতে পারে ঐ সকল জিম্মি থাকা মেয়েদের সু-কৌশলে বিভিন্ন দেশে বিদেশে অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য পাঠাইয়া দেয়। আর এ সকল দালাল চক্রের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করে তাদের আর উপায় থাকে না। তাদেরকে হত্যার চেষ্টা করে এবং বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে থাকে। মানবাধিকার কর্মীরা পাচার হওয়া নারীদের জিম্মি দশা হতে উদ্ধার করার লক্ষ্যে তালিকা প্রকাশ ও দালাল চক্রের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ও আইজিপি সহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন পাঠান। এরপর মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবে পাঁচার হওয়া নারীদের উদ্ধারের জন্য হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন কর্মী বাদী হয়ে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল ঢাকায় ৭/৮/৯/১০/১১/১৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নামীয় আসামি ১৭ জন থাকলেও অজ্ঞাতনামা দালাল, পাচারকারী চক্রের ২৫০-৩০০ জন অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। এই বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জকে মুঠো ফোনে না পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি। মামলার আইনজীবী মোঃ জাকির হোসেন ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে জানান মামলার শুনানির পর আদালত উত্তরা পশ্চিম থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com