মালিবাগ সবুজ বাংলা আবাসিক হোটেল এর অন্তর্রালে পতিতালয় নারী পাচারকারীদের জিম্মি দশা হতে আটক থাকা নারীরা উদ্ধার হতে চায়।
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন এর কর্মীরা পুলিশ হেডকোয়াটার্স, পুলিশ কমিশনার, উপ পুলিশ কমিশনার মতিঝিল বিভাগে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযোগে উল্লেখিত বিষয়- দীর্ঘ দিন যাবত দেশের মাদক, ক্যাসিনো (জুয়া), ব্যবসায়ী ও নারী পাচারকারী কয়েকটি চক্র বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে।
দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের বরাবরে সংস্থার জনস্বার্থে দায়েরকৃত নানাবিধ অভিযোগগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ সরেজমিনে গিয়ে বাস্তবমুখী কোন আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায়
মানব পাঁচারকারী নারী ঘটিত ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারী সহ নানাবিধ অপরাধীরা ডি এম পি সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভবন ভাড়া নিয়ে উক্ত ভবন মালিকের সহযোগীতায় আবাসিক হোটেলের সাইন বোর্ডের অর্ন্তরালে সরকারি অনুমতি ব্যতিরেকে অপ-ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় থানা পুলিশের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে গোপন সু-সম্পর্ক গড়ে তোলে।
উক্ত ভবনে ভাড়াটিয়া মালিকগণ সরকারি অনুমতি ছাড়া রাষ্ট্রীয় আইনের বিধান না মানিয়া অবৈধ পতিতালয় প্রতিষ্ঠা করে বিভিন্ন দালাল চক্র পাঁচারকারীদের মাধ্যমে নানা কৌশলে সেখানে মেয়েদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে সংগ্রহ করে আটক বা জিম্মি করে সু-কৌশলে মেয়েদের পতিতা বানিয়ে অর্থ কামানোর লালসায় খদ্দের সংগ্রহকারী দালালদের মাধ্যমে ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে তাতে দালালদের নির্ধারিত মোবাইল নাম্বার দিয়ে পুরুষ খদ্দের সংগ্রহ করে ঐ সকল মেয়েদের প্রথমে গণধর্ষণ করে এরপর নানবিধ নির্যাতন পূর্বক নানা কৌশল অবলম্বন করে তাদের পতিতা সাজিয়ে আর্থিক লাভবান হওয়ার লোভে পরে রাতরাতি বড়লোক হওয়ার লালসায় ঐ সকল মেয়েদের পুরুষদের ভোগ্য পণ্য বানিয়ে উক্ত হোটেলগুলো হতে এক সময় দাললদের বশে আনা নারীদের বিদেশী এজেন্টদের কাছে নারীদের অজান্তে
পুনরায় সু-কৌশলে বিক্রি করে দেয়। ঐ বিদেশী এজেন্টরা বাংলাদেশী পাঁচারকারী দালালদের মাধ্যমে পাসপোর্ট বানিয়ে ঐ পাসপোর্টে অন্য দালালদের স্বামী সাজিয়ে বিজিড ভিসা সংগ্রহ করে বিদেশের বিভিন্ন পতিতালয়, ফ্ল্যাট বাসা ও আবাসিক হোটেল রিসোর্টে পাঠায়। বিদেশে যাওয়ার পর ঐ নারীরা বুঝতে পারে তিনি আবারও পাঁচারকারীদের খপ্পরেই রয়েছে।
অপরাধ তথ্য অনুসন্ধানকালে যা পাওয়া গেল
মানবাধিকার কর্মীরা বলেন, নারী পাঁচার বিরোধী তথ্য অনুসন্ধান কালে সূত্রে জানতে পারি ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের রামপুরা থানাধীন ৪৭৫/বি ডি.আই.টি রোড, মালিবাগ এলাকায় হোটেল সবুজ বাংলা আবাসিকে বিভিন্ন দালাল দ্বারা নানা কৌশলে মেয়েদের চাকুরী, প্রেম, বিয়ে মডেল বানানোর প্রলোভনে এনে উল্লেখিত সবুজ বাংলা আবাসিক হোটেল এর (অন্তর্রালে অবৈধ পতিতালয়) বিভিন্ন কক্ষে মেয়েদের আটক রাখিয়া ও জিম্মি করিয়া চাকুরীর নামে ঐ সকল মেয়েদের দিয়ে জোড় পূর্বক তাদের জিম্মি করে দেহ ব্যবসা করানো হচ্ছে। কেউ করতে না চাইলে তাদের বিভিন্ন শারীরিক মানসিক নির্যাতন পূর্বক বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সেখানে কিছুদিন আটক রেখে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা করানোর পর এক পর্যায়ে যে সকল নারীরা পাঁচারকারী দালালদের বশে আসে তাদের দেশ বিদেশের বিভিন্ন পতিতালয়ে পুনরায় পাঁচার করা হচ্ছে। এমন তথ্য জানার পর উক্ত সবুজ বাংলা আবাসিক হোটেলে মানবাধিকার কর্মীরা কৌশলে খদ্দের বেশে প্রবেশ করে উল্লেখিত নারীদের কাছ থেকে জানতে পারে তাদের বিভিন্ন লোমহর্ষক নির্যাতনের কথা এবং এখান থেকে দালালরা ঢাকা শহরের অসামাজিক কার্যকলাপ চলা আবাসিক হোটেলগুলোতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে প্রতিদিন প্রায় অর্ধশত নারীকে নানা প্রলোভনে সংগ্রহ করে হোটেলগুলোতে এনে আটক করে দেহ ব্যবসায়ী কর্মজীবী বানাচ্ছে। ঐ সকল নারীরা অসামাজিক কার্যকলাপ করতে না চাইলে তাদের দিয়ে করানো অসামাজিক কার্যকলাপ এর দৃশ্য গোপন ক্যামেরায় ধারণ করে রাখা ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে
তাদের বাধ্য করা হয় এ সকল দালাল চক্রের দেশের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও পতিতালয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করাতে। ঐ হোটেলে আটক থাকা ছদ্দনাম ঈষা গোপনে তার পরিচয় জানে। ছদ্দনাম ঈষা বলে সে মিরপুর একটি গার্মেন্ট এ চাকুরী করত তাকে বেশি বেতনে অন্য গার্মেন্সে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে আঙ্গুরি খালা সহ কয়েকজন দালাল মিলে এই সবুজ বাংলা আবাসিক হোটেলে এনে আটক করে দেহ ব্যবসা করাচ্ছে। এ সকল পাচারকারীদের অর্থের যোগানদাতা ও তাদের জীবনের প্রথম পুরুষ হিসাবে আটক নারীরা চিহ্নিত করে বলেন হোটেল ভাড়াটিয়া মালিক ও ভবন মালিক তাদের জীবনের প্রথম পুরুষ এরপর বিভিন্ন পুরুষ দিয়ে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের ঐ হোটেলে জিম্মি থাকা ছদ্দনাম ঈষা নারীরা ছাড়াও প্রায় ২৫-৩০ জন নারীকে আটক রাখিয়া হোটেল মালিক ও দালালরা দেহ ব্যবসা করাচ্ছে।
সবুজ বাংলা আবাসিক হোটেল নামক পতিতালয় এর ভাড়াটিয়া ও অর্থের যোগানদাতা মালিকগণ
মোঃ মফিজ, বাড়ি বরিশাল, মোবাইল: ০১৭৯৯-২৬২৫১১, মোঃ রাজা, বাড়ি বি-বাড়িয়া, মোবাইল: ০১৭৩৬-৮১০৩৯
মোঃ সজিব, বাড়ি বি-বাড়িয়া, মোবাইল: ০১৯৫৬-৩০৮৯০৪, মোঃ রবিন, বাড়ি সোনারগাঁও, মোঃ নয়ন, মোবাইল: ০১৭১০-৪৫৫৫৪১, মোঃ শাহীন, স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা তৈরি করিয়া মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে নারী পাচারকারী, আনোয়ারা ওরফে আঙ্গুরি, অজ্ঞাতনামা নারী পাঁচারকারী ও খদ্দের সংগ্রহকারী প্রায় শতাধিক দালালচক্র।
উক্ত সবুজ বাংলা আবাসিক হোটেলে দালালদের মাধ্যমে আনা নারীদের পতিতা বানিয়ে সেখানে কয়েক দিন আটক রাখার পর
দালালদের বশে আনা নারীদের উক্ত নারী ব্যবসায়ী পাঁচারকারীদের অন্যান্য আশে পাশের আবাসিক হোটেল শিকড় সহ অন্যান্য হোটেলে নিয়ে পতিতা ব্যবসা করায় এছাড়া সবুজ বাংলা আবাসিক হোটেল ঘুরে বিভিন্ন কক্ষে দেখতে পাই হোটেলের রুম গুলোতে নানা ধরনের মাদক সেবন ও বেচা কেনা হয়। রুমগুলোতে নিয়মিত ভাবে জুয়ার আসর বসছে এবং বর্ডার বেশে দেশের বিভিন্ন জায়গার দাগী দোষী ফেরারি বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামিদের ওৎপেতে থাকতে দেখা গেছে।
এক পর্যায়ে হোটেল মালিক মানবাধিকার কর্মীদের ঘুরাফেরা করতে দেখে দালালদের সন্দেহ হলে তারা কারা জানতে চাইলে অনুসন্ধান কর্মীরা পরিচয় দেওয়ার পর হোটেল মালিক দালালগংরা পুলিশকে দেওয়া ঘুষের তালিকা প্রকাশ করে বলে এই সবুজ বাংলা আবাসিক হোটেল হতে রামপুরা থানার ওসি, ওসি তদন্ত, ওসি অপারেশন কে প্রতিমাসে ২ লক্ষ টাকা এসির নামে ৫০ হাজার টাকা ডিসির নামে ১ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে থাকি। তাই এই টাকা তুলতে মাদক, জুয়া, নারী ব্যবসার বিকল্প কি হতে পারে? আপনারা মানবাধিকার কর্মী আপনারা এখান থেকে চলে না গেলে বিপদে পরবেন। ওসি স্যারের নির্দেশ আছে কোন মানবাধিকারকর্মী বা সাংবাদিক হোটেলে এসে বারাবারি করলে তাদের আটক করে চাঁদাবাজি মামলা দিতে বলেছে। আর আপনারা লেখালেখি করে কি করবেন? থানা পুলিশ ঠিক থাকলে আপনারা শুধু লেখালেখিই করতে পারবেন আমাদের কার্যক্রম কি আর বন্ধ হবে? উপরন্ত আপনারা লেখালেখি করলে পুলিশের কিছু চাঁদার অংক বাড়বে। তখন আমরা আটক নারীদের মুক্ত করে দিতে বললে তারা বলে এই সকল আটক নারীদের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে অন্যান্য পাচারকারীদের কাছ হতে কিনে রাখা হয়েছে? আপনাদের কথায় আমরাতো আমাদের ব্যবসায় লস দিবো না? সেখানে অদ্য পর্যন্ত প্রায় ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা নারীকে আটক রাখা হয়েছে। আটক নারীদের উদ্ধারে গত ২৬/০৪/২০২৫ইং তারিখ ২টা ৪৮ মিনিটের সময় আমার ব্যবহৃত সিম নং-০১৮৬৫-৮১০১৫৪ হতে ৯৯৯ এ কল দিয়ে রামপুরা থানাকে চাইলে ৯৯৯ রামপুরার অজ্ঞাতনামা ডিউটি অফিসার কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলিয়ে দেন কিন্তু রামপুরা থানা পুলিশ সবুজ বাংলা আবাসিক হোটেলে কোন ধরণের পুলিশি কার্যক্রম চালিয়ে ছদ্দনাম ঈষা সহ অন্যান্য আটক মেয়েদের উদ্ধার করেন নাই। ৯৯৯ এর কমপ্লিন ঈঋঝ ঘড়: ৫৭০২৭১২৫ । এরপর আমরা সেখান থেকে চলে আসলে প্রায় ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট পর অজ্ঞাতনামা এক এসআই আমার ব্যবহৃত মোবাইল :০১৮৬৫-৮১০১৫৪ নাম্বার তার ব্যবহৃত মোবাইল: ০১৭৯৭৭৭২৮৩০ নাম্বার হতে ফোন করে মানবাধিকার কর্মীদের দেওয়া তথ্যের বিষয় কোন রকম আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই। এখনও পর্যন্ত সবুজ বাংলা আবাসিক হোটেলে প্রায় ২৫-৩০ জন নারীকে জিম্মি দশায় রেখে নারী ব্যবসায়ী পাঁচারকারীরা গণধর্ষণ পূর্বক অসামাজিক কার্যকলাপ করাচ্ছে।
রামপুরার থানার অফিসার ইনচার্জকে মুঠোফোনে না পাওয়ায় তার বক্তব্য দেওয়া যায়নি।