শৈবালের_কষ্ট
জাহাঙ্গীর_বারী
আকাশের নীল কষ্টটা নীলে ভরা,
বর্ষায় সেই নীল কষ্টের ঝরে জলধারা।
সেই জলধারায় ফোটে কদম কেয়া,
কেউ খুঁজে পায় নান্দনিক ছন্দের হিয়া।
বৈশাখের কষ্টের ক্ষোভ বহে প্রলয়ের তুফানে,
সবকিছু করে দেয় বিরান এই ভুবনে।
কেউ হয় বাস্তুহারা কেউ হয় বন্ধুহারা,
কদম কেয়ার জীবন হয় সারা।
শৈবালের কষ্টের অশ্রু ঝরে পড়ে শৈবলিনীতে,
ভেসে যায় বহমান জলধারার স্রোতে।
কেউ তো দেখলো না তার অশ্রুজল,
সবাই দেখলো শৈবলিনীর জলের কল্লোল।
বুড়ো বট গাছটার কোটরে থাকত শাকিক জুটি,
সর্প দংশনে শালিক জুটির বন্ধন গেলো টুটি।
সাথীহারা শালিক হয়ে গেলো একা,
চোখের কোণে ছলছল জল নিয়ে একাকী তার বেঁচে থাকা।
ঐ দূর পাহাড়ের নির্ঝরিণী,
তার পতিত জলধারা যেন সুরের রাগিণী।
সুরের রাগিণীতে মিশে আছে তার রোদন,
সেই রোদন অনুভব করার নেই কোনো বোধন।
আমারও গহীনে আছে জমাট বাঁধা ব্যথা,
আছে কিছু নীরব নিশ্চুপ কথা।
নিজের দুঃখ নিজেই বুঝি,
অন্যকে আর নাহি খুঁজি।