টানা ৫ দিনের বিরতি কাটিয়ে আজ (সোমবার) মাঠে নেমেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অন্যদিকে শেষ ৪ দিনে ৩ ম্যাচ খেলতে নামা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মাঠের সময়টা ভালো গেলেও মাঠের বাইরে টালমাটাল অবস্থা। মেহেদী হাসান মিরাজ ইস্যু কোনরকম মিটিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচটি খেলতে নেমেছে তারা। এ ম্যাচ দিয়ে ছুটি কাটিয়ে একাদশে ফিরেছেন লিটন দাস। ফিরেই রানের দেখা পেয়েছেন তিনি। সঙ্গে রান পেয়েছেন ফাফ ডু প্লেসিও।
ফাফের ৫৫ বলে ৮৩ এবং ক্যামেরুন ডেলপোর্টের ২৩ বলে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে চটগ্রামের বিপক্ষে ১৮৩ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাড় করিয়েছে কুমিল্লা। ৩ রানের আক্ষেপে লিটন ফিরেছেন ৩৪ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস ভাগ্য অবশ্য কথা বলে স্বাগতিকদের পক্ষেই। ‘আলোচিত’ মিরাজকে একাদশে নিয়েই মাঠে নামে চট্টগ্রাম। এদিন কুমিল্লার ওপেনিংয়ে আসে পরিবর্তন। দলে ফেরা লিটনের সঙ্গে গোড়াপত্তন করতে নামেন মাহমুদুল হাসান জয়। তবে সুবিধা করতে পারেননি জয়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নাসুম আহমেদের বলে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১ রান করে।
দ্বিতীয় উইকেটে ৮০ রানের পার্টনারশিপে দলকে টেনে তোলেন লিটন-ফাফ। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফিফটির দিকে ছুঁটছিলেন লিটন। তবে ইনিংসের ১১তম ওভারে নাসুমকে উড়িয়ে মেরে অর্ধশতকের স্বাদ নিতে গিয়ে ধরা পড়েন সাব্বিরের হাতে। থামে তার ৪৭ রানের ইনিংস। ৩৪ বলের ইনিংসটি লিটন সাজান ৫টি চার ও ১টি ছয়ের মারে। চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। বেনি হাওয়েলের বলে বোল্ড হন ১ রান করে।
এরপর ব্যাট হাতে ধ্বংলীলা চালিয়ে ফিফটির স্বাদ পাওয়া ফাফ। তার সঙ্গে যোগ যেন তারই স্বদেশী দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান ক্যামেরুন ডেলপোর্ট। শরিফুলের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ২৩ রান তুলে মাত্র ২২ বলে অর্ধশতক ছুঁয়েছেন ডেলপোর্ট। ৪৮ বলে দুজনে অবিচ্ছেদ্য ৯৭ রানের পার্টনারশিপে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৮৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় কুমিল্লা। যেখানে ৫৫ বলে ৮টি চার ও ৩ ছয়ে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন ফাফ। ডেলপোর্ট অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে। ২৩ বল খেলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি।