বিশেষ প্রতিবেদকঃ
বৈষ্যম বিরুধী আন্দোলনের আগে যাত্রাবাড়ী নিউ পপুলার প্যালেজ, আল—হায়াত আবাসিক হোটেল, মেঘনা আবাসিক হোটেল, আয়শা মনি আবাসিক হোটেল, বলাকা আবাসিক হোটেলসহ বেশ কিছু আবাসিক হোটেলে নানা ফন্দি—ফিকির করে হোটেলগুলোতে ৩০/৪০টি মেয়ে মানুষ রাখিয়া হোটেলের হোল্ডিংয়ে পতিতালয় স্থাপন করিয়া আইনশৃখঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ রাখিয়া মানবপাচারকারী গডফাদার যুবতলীগ নেতা জাবেল হোসেন পাপন ও আওয়ামীলীগ কর্মী জামাল, সাইদুল এবং বাট্টু সেলিম, আওয়ামীলীগ কর্মী ওরফে ডিবির ক্যাসিয়ার পরিচয়দানকারী সাজ্জাদ—এর নেতৃত্বে ৩ হতে ৪শ সংগ্রহকারী, পাচারকারী ও হোটেলের সরবরাহকারী এবং খদ্দের সংগ্রহদাতা দালালদের নিয়ে তারা গঠন করেছে যাত্রাবাড়ীতে বিশাল সিন্ডিকেট।
এসব হোটেলের প্রভাবশালীরা বিগত দিনে ১৪/০৭/২০২৩ইং তারিখ গোপন সংবাদ এর মাধ্যমে হিউম্যান রির্সোস এন্ড হেলথ্ ফাউন্ডেমনের অপরাধ অনুসন্ধান কর্মিরা জানতে পারে যাত্রাবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সংকর কুমার হিরা বিপি নং—৮১০১০১৫১৯৯ এস.আই (নিরস্ত্র) তিনি নারী পুলিশ সদস্য ব্যতিত তার পুরুষ ফোর্সসহ শহীদ ফারুক সড়ক রোড, ৮২/এ, ইউনুস সুপার মার্কেট এর গলিতে উক্ত হোল্ডির নীচতলা হতে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে একজন নারী যাহার নাম শিলা (৩০) পিতা—মোঃ মুক্তমীর, মাতা—হাফেজা বেগম, সাং—মুক্তারপুর, থানা—কালিগঞ্জ, জেলা—গাজীপুর এপি—উত্তর বাড্ডা, ঢাকা ও দুইজন পুরুষ যাহাদের নাম— (১) মোঃ আইয়ুব আলী (৩৮) পিতা—মৃত নজরুল ইসলাম, মাতা—মৃত সোনাবড়– বিবি, সাং—কুশংগল, থানা—নলসিটি, জেলা—ঝালকাটি, এপি— শহীদ ফারুক সড়ক রোড, ৮২/এ, ইউনুস সুপার মার্কেট, পপুলার আবাসিক হোটেল, (২) মোঃ আলাউদ্দিন (২০), পিতা—আব্দুল জলিল, মাতা—মৃত খাদিজা, সাং—ফরিদ্রাবাড়ি, থানা—আমতলী, জেলা—বরগুনা, এপি—কাজলা রিপন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া, থানা—যাত্রাবাড়ী, ঢাকাকে গ্রেফতার করে যাত্রাবাড়ী থানায় সোপ্র্দ করে। পরেরদিন বিচারের জন্য থানা হতে আদালতে পাঠান , যাত্রাবাড়ী থানার নন, এফ,আর নং—২৯৩/২০২৩ইং তাং—১৪/০৭/২০২৩ইং, ধারা—৭৮/১০০ ডিএমপি অধ্যাদেশ, সূত্র ঃ যাত্রাবাড়ী থানার জি.ডি নং—১২০১, তাং—১৪/০৭/২০২৩ইং।
উক্ত বিষয়ে যাত্রাবাড়ী ফাড়িঁতে গিয়ে ও ফোনে পৃথক দুইবার ফাঁড়ি ইনচার্জ সংকর কুমার হিরা বিপি নং—৮১০১০১৫১৯৯ এস.আই (নিরস্ত্র) এর সাথে কথাবার্তা বলার এক সময় তথ্যাধিকার আইন মোতাবেক জানতে চায় মহিলা পুলিশ সদস্য ছাড়া কোন নারীকে গ্রেফতার পূর্বক পুরুষের সাথে পুলিশ ভ্যান করে বা শত শত লোকের ভিড়ের মাঝে রাস্তা দিয়ে হাটিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া আইন বর্হিভূত মানবাধিকার লংঙ্ঘিত কিনা, ঐ মুহুর্তে যাত্রাবাড়ী ফাঁড়ি ইনচার্জ সংকর কুমার হিরা বিপি নং—৮১০১০১৫১৯৯ এস.আই (নিরস্ত্র) বলে অনেক আগে উচ্চ আদালতে একটি রিট আদেশ করে আইন পাশ করেছিল। নারী পুলিশ সদস্য ছাড়া কোন নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ ভ্যানে উঠানো যাবে না। কিন্তু এখন আর কেউ তাহা মানে না। আর পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও আমাদের কিছু বলে না। তাই এসব নিয়ে আপনারা মানবাধিকার কর্মীরা বেশি মাথা ঘামাইন না, তাহলে পূর্বের মতো বিপদে পড়বেন।
একপর্যায়ে ঘটনাস্থল এলাকায় এসে বিভিন্ন লোকজনকে জিজ্ঞাস করে জানতে পারি যাত্রাবাড়ী ফাঁড়ি ইনচার্জ সংকর কুমার হিরা বিপি নং—৮১০১০১৫১৯৯ এস.আই (নিরস্ত্র) এর দায়িত্বরত সায়দাবাদ ও যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় প্রায় ৩০টি আবাসিক হোটেল রয়েছে। উক্ত হোটেলে বিভিন্ন কায়দায় যেমন—ঝাড়–দার বুয়া, ফ্যামিলি বর্ডার মেয়ে মানুষ রেখে বর্ডার ও বহিরাগত পুরুষ খদ্দের দ্বারা হোটেলের হোল্ডিং মালিক এর সম্বনয়ে যাত্রাবাড়ী ফাঁড়ির ইনচার্জ এর আইনি সহায়তা নিয়ে হোটেল নিরাপদ রেখে ভাড়াটিয়া মালিক, হোটেল ম্যানেজার, হোটেলের স্টাফগংরা উক্ত হোটেলে রাখা মেয়েদের দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করায়। একেকটি হোটেলে ৮/১০টি মেয়ে রাখা হয়, কোন কোন হোটেলে ৪০/৫০টি মেয়ে রাখা হয়। তবে যাত্রাবাড়ী ফাঁড়ি ইনচার্জ হিসেবে তিনি কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় না। উল্টো হোটেলগুলোতে চলা অপকর্মের নিরাপত্তা দিতে অন্যান্য অসাধু স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের মতো উক্ত স্থানে অপরাধ কর্ম টিকিয়ে রাখতে নানা ধরনের সহায়তা করে আসছে গোপনে।
এতে সৎ দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তাদের মান—সম্মান দিনে দিনে ক্ষুন্ন হচ্ছে। ঘটনাস্থলটিতে এস.আই খবর পেল যে, একজন নারী অসামাজিক কার্যকলাপ করতেছে, এতে তিনি মহৎ উদ্যোগ দেখাইলো কিন্তু যাত্রাবাড়ী—সায়েদাবাদ প্রতি মুহুর্তে মোড়ে মোড়ে পতিতারা অসামাজিক কার্যকলাপ করে এবং ছিনতাই এর মতো ঘটনাও ঘটাইতেছে। তাহা সে কোন দিন ব্যবস্থা নেয় নাই, এছাড়া হোটেলগুলোতে কোন অভিযান চালিয়ে পতিতাসহ নানাবিধ অপরাধ কর্ম বন্ধও করে না। এতে প্রতিয়মান হয় যে, যেখানে ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছিল সেই ভবনটিতেই রয়েছে আইন বর্হিভুত হোটেলের অন্তরালে পতিতালয়। উক্ত হোটেলের পতিতাবৃত্তি বন্ধ না করে বা তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে লোক দেখানো একটি মেয়ে ও ২টি পুরুষ গ্রেফতার করে থানায় সোর্পদ করেন এবং সে নিজে দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা সাজেন। এমতাবস্থায় অদ্য তারিখ ১৭/১০/২০২৩ইং গোপন সংবাদে জানতে পারি সায়েদাবাদ জনপথ মোড়স্থ আল—হায়াত আবাসিক হোটেল—এ এক মেয়েকে কাজ দেওয়ার কথা বলে সেখানে এনে অনৈতিক, অসামাজিক কার্যকলাপ করাচ্ছে ঐ মুহুর্তে সময় দুপুর ২.২১ মিনিট আমার ব্যবহৃত সীম নং—০১৯৭৭৯৯৩৯৯৩ হতে ৯৯৯ এ ফোন করি ৯৯৯ হতে ডি.এম.পি যাত্রাবাড়ী থানার ডিউটি অফিসারকে কনফারেন্স এর মাধ্যমে কথা বলিয়ে দেন। অজ্ঞাতনামা ডিউটি অফিসার কনফারেন্স এ কলে বলে উক্ত বিষয়ে থানায় এসে অভিযোগ করতে হবে নয়তো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। এরপর আমরা প্রায় দেড় থেকে ২ঘন্টা যাত্রাবাড়ী এলাকায় অবস্থান করি ও বিষয়টি ফাঁড়ি ইনচার্জ সংকর কুমার হিরা বিপি নং—৮১০১০১৫১৯৯ এস.আই (নিরস্ত্র)—কেও অবগত করি। পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি অবশেষে মেয়েটি পতিতা দালালদের জিম্মিদশায় রয়েছে। উল্লেখিত বিষয়ে একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়ার পরও অদ্য পর্যন্ত হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং বন্ধ হয়নি সেখানকার নারী বেচা—কেনার হাট।
মানবপাচারকারী গডফাদাররা যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসেন তখন ঐ গডফাদাররা সেই সরকারের কর্মি বনে যান। গত ২২/০৮/২০২৪ইং তারিখ বেলা ১২.০০ঘটিকার দিকে চাকুরীর কোটা আন্দোলনকারী বৈষ্যমবিরুধী কয়েকজন ছাত্র ৮২/এ, ইউনুসসুপার মার্কে এর ৪র্থ তলায় নিউ পপুলার প্যালেস আবাসিক হোটেলটি নারী বেচা—কেনার হাট বন্ধ করার জন্য গেলে সেখানে গড ফাদারদের বৈষ্যমবিরুধী ছাত্র আন্দোলকারীদের ম্যানেজ করার জন্য রেখেছে ফাহিম নামে এক স্থানীয় যুবগলীগ নেতাকে। ছাত্ররা হোটেলের অপকর্ম বন্ধের বিষয়ে হোটেলে গেলে ঐ বৈষ্যমবিরুধী ছাত্রদের অজ্ঞাতনামা যাত্রাবাড়ী এলাকার নেতা নারী পাচারকারীদের কৌশলের কাছে হার মানে এবং রোজ কামলা হিসাবে ম্যানেজ হয়ে যায়। এমন বিষয়েই সেখানে থাকা উপস্থিত খলিল মিয়া, আফজাল মাষ্টার, রিপন তালুকদার ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে এ সব কথা অবগত করেন। তারা আরো বলেন—আবাসিক হোটেলে সারাদিনই দেখা মিলে গলায় ফিতা সংযু্ক্ত কার্ড ঝুলানো স্কুল কলের শিক্ষার্থী পরিচয়ে বানানো আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে দালালরা নারী বেচাকেনা সংগ্রহ ও সরবরাহ করছে। এতে করে প্রকৃত বৈষ্যম বিরুধী কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রদের ব্যাপক সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার বিভিন্ন মানুষ ছাত্রদের দেখলেই কানাঘুষা করে হোটেলের দালাল আর ছাত্রদের একই রকমের গলায় ফিতা সম্বলিত কার্ড ঝুলানো।