সানি লিওন ছিলেন পর্ন তারকা। নীল সিনেমার জগতে তার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। তবে সেই বিতর্কিত ভুবন ছেড়ে এসেছেন বলিউডে। নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়। বলিউডের বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। আবার আইটেম গানেও শরীরী আবেদন ছড়িয়ে বাজিমাৎ করেছেন।
বাংলাদেশের প্রজেক্টেও কাজ করেছেন সানি লিওন। কিছুদিন আগেই টিএম রেকর্ডসের ব্যানারে প্রকাশিত একটি মিউজিক ভিডিওতে কোমর দুলিয়েছেন তিনি। যেটাতে কণ্ঠ দিয়েছেন ঐশী।
কিন্তু কখনো বাংলাদেশে আসা হয়নি সানির। ২০১৫ সালে একটি অনুষ্ঠানের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনিও রাজি হন সানন্দে। কিন্তু দেশের ইসলামিক সংগঠনগুলোর প্রতিবাদের মুখে আসা হয়নি তার।
ফের বাংলাদেশ সরকার বাতিল করল সানির আসার অনুমতি। সম্প্রতি একটি সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সানি লিওনসহ ভারতের ১১ জন অভিনয়শিল্পীকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু কদিন পরই সেই তালিকা থেকে সানিকে বাদ দেওয়া হয়। অর্থাৎ তার অনুমতি বাতিল হয়ে যায়।
কিন্তু কেন? এর জবাব দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, পরিচয় গোপন রেখে আবেদন করার কারণে সানির ঢাকায় আসার অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় যে অভিনয়শিল্পী দলকে ভিসা দেওয়া হয়, তাদের একজন ছিলেন সানি লিওন। কিন্তু তার সানি লিওন নামটি গোপন করে মার্কিন নাগরিক পরিচয়ে আবেদন করা হয়েছিল। এভাবে পরিচয় গোপন করে অনুমতি নেওয়া আইন-বহির্ভূত। এটি যখন মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে, তখন তার বাংলাদেশে আসার অনুমতি বাতিল করা হয়।’
উল্লেখ্য, ২ মার্চ তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনে সানি লিওনের সঙ্গে ভারতীয় ১০ জন শিল্পীকে বাংলাদেশে এসে শুটিং করার অনুমতি প্রদান করা হয়। সেখানে তার নাম ‘করণজিৎ কৌর ওয়েভার’ এবং তাকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক উল্লেখ করা হয়। যদিও সানির আসল পরিচয় এটাই। কেবল পেশাদার জীবনে তিনি সানি লিওন নামে পরিচিত।