বিশেষ প্রতিবেদকঃ
নকল দলিল পত্র তৈরি করে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি আত্মসাৎ এসিলেন মনিকা খাতুন ও তফসিলদার ইউসুফ এর বিরুদ্ধে মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ উপদেষ্টাদের কাছে। অভিযোগকারী মানবাধিকার কর্মী মোঃ আলমগীর তার অভিযোগে উল্লেখ করেন
অত্র সংস্থা হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন এর মানবাধিকার কর্মীগণরা, দেশ ও জনস্বার্থে সরকারের মহতি উদ্যোগ গুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাঠ পর্যায়ে নানাবিধ অপরাধ তথ্য ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের তথ্য উপাত্য অনুসন্ধান পূর্বক তাহা নির্মুলের লক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন মন্ত্রনালয় লিখিত আবেদন পত্র প্রেরণ করা হয়ে থাকে। বর্তমান সরকারের নিরলস চেষ্টায় দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে বলেই দেশোদ্রোহীরা নানা কৌশলে দেশ অনুন্নয়নের দিকে ঠেলে দিতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে ও বিভিন্ন এলাকার মানুষের জমি জমা ভূমি দস্যুরা দখলে নিয়ে আর্থিক লাভবান হওয়ার লালসায় আইনের কোন তোয়াক্কা না করে নকল কাগজপত্র তৈরি পূর্বক মালিকানা ও সরকারী জমির মূল্যবান গাছ পালা কেটে নিধন করে বে-আইনী স্বার্থ হাছিল করছে।বিশেষ করে সরকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে ভূমি অফিস গুলোতে ঘুষ গ্রহণ পূর্বক যাচাই বাছাই ছাড়াই এক জনের জমি অন্য জনের নামে নকল কাগজপত্র বানিয়ে দিচ্ছে। এতে করে এলাকায় নানাবিধ জমি সংক্রান্ত দাঙ্গা ফ্যাসাদ লেগেই রয়েছে। এদের জন্য সৎ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগণদের কর্ম এলাকায় সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। অসাধুরা মানুষকে সেবা দেন। অর্থ যে দিকে সেবা বেশি দেন সেদিকে। নিজেরা রাতারাতি অবৈধ অর্থ উপার্জনের লালসায় সমাজের নানামুখি অপরাধী ও বিভিন্ন ভূমি দস্যুদের সাথে গোপনে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে গোপনে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে তাদের নানামুখী সহায়তা দিতে আইন বর্হিভূত নানা কর্মকান্ড করার সুযোগ করে দিচ্ছে। যাহা সরকারের ব্যাপক সুনাম ক্ষতির আশংঙ্কায় রয়েছে।
সংস্থার মাঠ পর্যায়ে নানাবিধ অপরাধ অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্টদের সনাক্ত পূর্বক কার্যক্রম চলাকালে গোপন সংবাদের মাধ্যমে অত্র সংগঠনের মানবাধিকারকর্মী মোঃ আব্বাস মাদবর, মোবাইলঃ ০১৬২৩৭০৮০৬৩, এলাকাবাসী লুৎফর মাদবর, মোবাইলঃ ০১৭২২৫৫০৮১২, সুনীল দেবনাথ, মোবাইলঃ ০১৯২৬১০৫১৩৮, জাহাঙ্গীর মুনসি, মোবাইলঃ ০১৮৭৫১১৮৬১৬, জাকির মুনসি (৩০), পিতা-জাহাঙ্গীর মুনসি, সর্বসাং-চরগাজিপুর, থানা-পালং, জেলাঃ শরিয়তপুর, সর্ব সাং-৯নং ওয়ার্ডের, চর গাজিপুর, ইউনিয়ন-চন্দ্রপুর,থানা-পালং, জেলাঃ শরিয়তপুর, এরা জানতে পারে সুনীল দেবনাথ, মোবাইলঃ ০১৯২৬১০৫১৩৮,এর বসত ভিটা, বাগান, বাড়ি ও সুনীলদের খাস হয়ে যাওয়া পৈতৃক সম্পত্তিতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সুনীল ও মানাবাধিকার কর্মীর লাগানো গাছ পালা ও বাগান বাড়ির বিশাল বাশ ঝাড়ের গাছপালা ভূমি দস্যু সাফিয়া গংরা কেটে জমি দখল করছে। উক্ত জমির প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার গাছ কেটে উজার করে ভূমি দস্যু সিন্ডিকেটের পাইকারী গাছ ব্যবসায়ী শাহ আলম খান, মোবাইলঃ ০১৭২৭-৪৭৬৭০২, ও তার আপন ভাই হিফজু খান, মোবাইলঃ ০১৭২৭-৪৭৬৭০২, দের কাছে বিক্রি করে দেন। উল্লেখিত গাছ কাটায় হিফজু খানরাও দাম কম পেয়ে ভূমি দস্যুদের কাছ হতে গাছ ও বাঁশ ঝাড় দ্রæত লোক লাগিয়ে কেটে নেন। যাহা পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এমন সময় মানবাধিকার কর্মী আব্বাস সহ এলাকার লোকজন ও সুনীল গংদের সঙ্গে নিয়ে সুনীলদের বাগান বাড়িতে যান।
সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং আব্বাস ভূমি দস্যু সাফিয়াগংদের কাছে জানতে চান যে সরকারী জমি ও মালিকানা জমির গাছ কাটছেন সরকারী কোন পারমিশন আছে কিনা? বা এ গাছতো সুনীলরা লাগিয়ে ছিল তাই জমি,গাছ সবকিছুর মালিকিতো সুনীলের পরিবার এর পরেও সাফিয়া গংরা কোন তোয়াক্কা না করে উল্টো মানবাধিকার কর্মী ও সুনীলদের হত্যা সহ নানাবিধ ভয়ভৃতি প্রদর্শন করেন। এমন সময় গত ০২/০৮/২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় আইন মান্যকারী আব্বাস ৯৯৯ এ ফোন করে পালং থানার অজ্ঞাতনামা ডিউটি অফিসারকে ঘটনার বিষয় অবগত করেন এরপর স্থানীয় সন্তোষপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ শহিদুল সাহেবকে বিষয়টি অবগত করেন। এক পর্যায় ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল সাহেব ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর বিষয়টি ফোন করে তাৎক্ষণিক বর্তমান এসিলেন নাফিজ এলাহী সাহেবকে ঘটনার বিষয়টি অবগত করেন এবং এরিমধ্যে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা পরিমাণের গাছ ও বাঁশঝাড় কেটে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার পর কিছু গাছ রক্ষা পায় আর কাটা কিছু গাছ পুলিশ জব্দ করে সেই গাছগুলো জব্দ করে এবং গাছগুলো সরকারী জমির কিনা এবং মালিকের কাছ হতে পাওয়া কাগজপত্র তদন্ত করছিল পুলিশ। একপর্যায় সাফিয়া ও ভূমিদস্যু তার ছেলে জসিম বাঘা, সেলিম বাঘাগং জমির এক অংশের মালিকানা মিউটেশন করা কাগজ নিয়ে আসে। ঐ কাগজ পর্যালোচনায় এক সময় দেখা যায় ঐ কাগজের বহুগরমিল শুধু কিছু স্ট্যাম্পে ভুয়া মালিক সাজিয়ে স্বাক্ষরভুক্ত করে উক্ত কাগজপত্র ভূমি দস্যু সাফিয়া ও তার দুই ছেলে মালিক সেজে ঐ ভুয়া কাগজ তৈরি করেছেন।
এবং সেই কাগজ দিয়ে পালং উপজেলাধীন ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) মনিকা খাতুন ও তফসিল অফিসের তফসিলদার-ইউসুফ এর কারসাজিতে সরকারী খাস ১/১, খতিয়ানের জমি মিউটেশন করে দেন। এমন কাগজপত্র ফাঁড়ির ইনচার্জ সাহেবের কাছে বর্তমানেও উক্ত ভুয়া কাগজপত্র জব্দ রহিয়াছে। উক্ত কাগজপত্রের মধ্যে কিছু স্ট্যাম্পে মালিক পরিচয় দিয়ে যাহারা স্বাক্ষর করেছেন বলে স্ট্যাম্পে মালিক বানানো হয়েছে তারা হলেন ১। সুনীল ২। সুশীল ৩। পরিমল ৪। শ্যামল উক্ত দলিল দাতাগণ প্রায় ১৯৮০ সনেই দেশ ছেড়ে ইন্ডিয়াতে চলে গেছে এর পর তারা আর দেশে আসে নাই। ভূমি দস্যুরা ১৯৯৯ সালে ভুয়া স্ট্যাম্পে দলিল বানিয়ে উহা দিয়ে সরকারী খাস জমি ও মালিকানা জমির ভুয়া দলিল পত্রে মালিক সেজে সেই কাগজপত্র দিয়ে তারা মালিক পরিচয় দেখাচ্ছে। মানবাধিকার কর্মী আব্বাস আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে জানিয়ে প্রতিবাদ করায় গত ১৮/১১/২০২৪ইং তারিখে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত পালং শরিয়তপুরে ভূমি দস্যু সাফিয়া বেগম, মোবাইলঃ ০১৭৬৪৪৯৮৭৩৬, বাদী হয়ে নাটকীয় ঘটনা সাজিয়ে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। পিটিশন মামলা নং-৭৬২/২০২৪, ধারা-৩২৩/৩৮৫/১১৪/১০৯/৫০৬ পেনাল কোর্ট মামলাটি করেন যা পালং থানা পুলিশ তদন্ত করছে। উক্ত মামলার পরেও ভূমি দস্যুরা থেমে নেই। তারা বিভিন্ন কায়দা কানুন করে নাটক সাজিয়ে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে উক্ত জমির মালিক সুনীল দেবনাথদের নানা ধরনের ঘটনা সাজিয়ে সাজানো মিথ্যা মামলায় ফাসানো বা এদের পরিবারের লোকজনদের হত্যা সহ বড় ধরনের ষড়যন্ত্রে সাফিয়া গংরা লিপ্ত রহিয়াছে। আর এ সকল ভূমি দস্যুদের মিথ্যা স্বাক্ষী দিয়ে সহায়তা করছে
১। আফতাজুল মাদবর, পিতা-মৃত হাছেন মাদবর, ২। ইলিয়াস খাঁ, পিতা-মৃত সোনাই খাঁ, ৩। আব্দুল হক হাওলাদার, পিতা- আব্দুল রশিদ হাওলাদার, ৪। জসিম মাদবর, পিতা-ইয়াকুব মাদবর, সর্বসাং-চরগাজীপুর, থানা-পালং, জেলাঃ শরিয়তপুর। উক্ত মানবাধিকার সংগঠন এর মহা-সচিব মোঃ আলমগীর (সেলিম) উপদেষ্টাদের কাছে পত্রে অনুরোধ জানান তদন্ত পূর্বক সত্য উদঘাটন করে সুনীলদের ভূমি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।