বিশেষ প্রতিবেদকঃ
অভাগিনি (ছদ্ননাম) পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। হঠাৎ করে গার্মেন্টস মালিক এক মাসের জন্য কাজ বন্ধ করে দিয়ে তাকেসহ সকল শ্রমিকদের ছুটি ঘোষণা করেন। গত ২৫/১২/২০২০খ্রিঃ তিনি বেলা ৩ ঘটিকার সময় বাসা হতে বের হয়ে তাহার পূর্বের কর্মস্থল যাত্রাবাড়ী যাওয়ার পথে মানিকনগর পুকুর পাড় বাজারে পৌছানো মাত্র তার পূর্ব পরিচিত রাহাত নামে এক ব্যক্তির সাথে দেখা হয় । কথা বার্তার এক পর্যায় রাহাত বলেন তাহার মানিকনগর পুরান (ছয় তলা) এলাকায় তার একটি লোকাল গার্মেন্টস রয়েছে। মেয়েটি যে কয়েকদিন ছুটিতে আছে সে কয়দিন প্রোডাকশনে সেখানে কাজ করতে পারবে। তাহার প্রস্তাবে মেয়েটি রাজি হলে লোকটি তাহাকে রিক্সা করে মানিক নগর পুরান (ছয় তলা) এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর অভাগিনি (ছদ্ননাম) দেখতে পায় বাড়ির ভিতর দুই পাশে কয়েটি রুম, রুমগুলোর বাহিরে থেকে দরজায় তালা মারা, অন্য দুইটি রুম খোলা। একটি রুমে পাঁচ ছয় জন মেয়ে মানুষ দেখতে পায়। রুমের মেয়েরা সাজুগুজু করে খাটের উপর বসে আছে। বাড়ি ওয়ালী পরিচয় দানকারী এক মহিলা বাড়ির গেইটে দাড়িয়ে পাহারা দিয়ে মেয়েদের রুমে বহিরাগত পুরুষ খদ্দের দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করাচ্ছিলো। তখন রাহাত মেয়েটিকে খালি রুমে ঢুকিয়ে বলে সেখানে কোন গার্মেন্টস নেই। পাশের রুমের মেয়ে গুলো বসা দেখছ, তারা এই বাড়িতে এই বাড়ীর বাড়ীয়ালী ও এলাকার চিহ্নিত নারী গঠিত ব্যাসায়ী ছবির নেত্রীতে এই বাড়ীতে বাহির থেকে আসা বিভিন্ন পুরুষ এর সাথে এখানকার রুম গুলোতে অবস্থান করে মেয়েরা অসামাজিক কার্যকলাপ করে টাকা রোজগার করে। তুমি গার্মেন্টস এর কাজ করে মাসে আরকত টাকা রোজগার করতে পার !এখানে কাজ করলে মাসে গার্মেন্টস এর চেয়ে চারগুন টাকা মাসে ইনকাম করতে পারবা। এই বলে রুমের দরজা আটকিয়ে মেয়েটিকে কিছুক্ষন রুমে বসিয়ে রাখার পর মোবাইলে দৃশ ভিডিও করে এবং খারাপ কাজে লিপ্ত করার জন্য কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। তখন সেখানে থেকে মেয়েটি চলে আসতে চাইলে রাহাত বলে তুমি একটু পরে বের হতে পারবা, আমার এক বড় ভাই আছে সে আসলে তুমি তার সাথে কথা বার্তা বলে চলে যেও। এরমধ্যে বাহির থেকে দরজা নক করে রাহাত রুমের ভিতর থেকে দরজা খুলে দিলে কক্ষে দুই জন লোক রুমের ভিতর ঢুকেই মেয়েটিকে চর থাপ্পর মারা শুরু করে এক পর্যায় রাহাতের সহায়তায় রুমে প্রবেশরত ব্যক্তিগন জোরপূর্বক ধর্ষন করে। তখন অভাগিনি (ছদ্ননাম) সুযোগ পেয়ে দৌড়ে রুমের দরজা খুলে চিৎকার দিলে একজন ধর্ষক দৌড়ে এসে দরজার সামনে মেয়েটিকে ধরে ফেলে এবং মুখ চেপে ধরে বলে এখানে যা হবার হয়ে গেছে। এ নিয়ে তুমি লোকজনকে জানালে তোমারি মান-সম্মানের ক্ষতি হবে।
তখন অভাগিনিকে বোরকা পরতে সুযোগ দিয়ে রাহাতকে দিয়ে বাড়ীর গেটের বাহির করে দেয়।
তখন ধর্ষিতানারী সেখান থেকে বের হয়ে কিছু দূরে এসে
অসুস্থ হয়ে পরলে মেয়েটি পথচারী কয়েকজনের প্রশ্নের সম্মুক্ষিন হয়ে তার ঘটনাটি খুলে বলেন। তখন পথচারীদের সহায়তায় (৯৯৯) ত্রিপল নাইনের মাধ্যমে মুগদা থানা পুলিশ কে তাহার ঘটনার বিষয় অবগত করে।
এক পর্যায় মুগদা থানার এস.আই আবুল কালাম আজাদ,
পরিচয় দানকারী মোবাইল নং- ০১৭১৮০৫৮২৯২ মেয়েটির সাথে দেখা করে তাহাকেসহ ঘটনা স্থলে যায়। পুলিশ ঘটনা স্থলে গেলে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর ঘটনা স্থলে আশে পাশে সাক্ষীদের নাম ঠিকানা লিখে উক্ত স্থানে থাকা আসামাজিক কার্যকলাপ করা নারী পুরুষদের আটকের পর থানায় না নিয়ে ছেড়ে দেন, কোন রকম গ্রেফতার না করে পুলিশ ধর্ষিতা নারীকে নিয়ে মুগদা থানায় চলে আসে। থানায় আসার পরে উক্ত এস.আই আবুল কালাম আজাদ মেয়েটিকে বলে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে পঞ্চাশ হাজার টাকা লাগবে। টাকা দিতে মেয়েটি অনিহা প্রকাশ করলে তখন পুলিশ তাহার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটিকে অশালিন ভাষায় গালি গালাজ শুরু করে এবং মুগদা থানার আফিসার ইনর্চাজ এর কাছে নিয়ে যায়। ওসির রুমে যাওয়ার পর ওসি বলে ধর্ষিতা নারী যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তারা নাকি ওসির পূর্ব পরিচিত ব্যক্তি। এরা খারাপ হলেও তাদেরকে বিভিন্ন সময় ওসির কাজে লাগে। তাই উক্ত নারী ঘটিত ব্যবসায়ী মুগদার সম্রাঘী সালমা আক্তার ছবি গংদের বিরুদ্ধে কোন রকম মামলা নেওয়া হবেনা। তখন ধর্ষিতা নারী পুলিশের কাছে জানতে চান কেন তার ঘটনায় মামলা নেওয়া হবেনা। প্রতিবাদ করলে ওসির নির্দেশে এস.আই আবুল কালাম আজাদ (পরিচয় দানকারী) থানার একটি কক্ষের ভিতরে অভিযোগকারি মেয়েটিকে ঢুকিয়ে দরজা বাহির থেকে তালা বন্ধ করে দেয় এবং বলে উল্টো নাকি ধর্ষিতা অভিযোগকারি নারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এক পর্যায় বেশ কিছুক্ষন পর কক্ষের জানালার কাছে এসে । এসআই উক্ত নারীকে বলে কিছু টাকা পয়সা পুলিশকে দিতে পারলে তাহাকে এখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে নয়তো জেলের ভাত খেতে হবে। তখন মেয়েটি ভীতুসস্থুত হয়ে কানের চার আনা স্বর্নের জিনিশ মেয়েটির কাছ থেকে এস.আই আবুল কালাম আজাদ কৌশলে নিয়ে নেয়। তখন পুলিশ ধর্ষিতার স্বামীকে ফোন দিয়ে থানায় এনে ঘটনার সবকিছু তাহার স্বামীর কাছে বলে দেয় এবং ওসি ও এস.আই মিলে কয়েকটি সাদা কাগজে তাদের স্বামী ও স্ত্রীর স্বাক্ষর রাখে ও তাদের মোবাইল ফোনে ওসি ও এস.আই”র শিখিয়ে দেওয়া বিভিন্ন কথাবার্তা মেয়েটিকে দিয়ে বলিয়ে তাহা ভিডিও করে বলে এ নিয়ে যেন বাহিরে কোন মুখ না খুলে এবং কার কাছে না বলে। থানায় ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো যদি বহিরে বলাবলি না করে বা বারাবারি না করে তাহলে থানায় তাদের মোসলেখা রাখা হয়েছে বারাবারি করলে তাদের চরম পুলিশি হয়রানীর শিকার হতে হবে।
আর একদিনের মধ্যে আরো বিশ হাজার টাকা ওসি ও এসআইকে দেওয়ার জন্য বলে নয়তো মুগদা থানায় নাকি তাহার স্বামী আশিকের নামে আদালত হতে আসা গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে তা দিয়ে মেয়েটির স্বামীকে গ্রেফতার করা হবে। টাকা দিতে পারলে থানায় থাকা গ্রেফতারী পরোয়ানাটি আসামী পাওয়া যায়নি বলে পরোয়ানটি তামিল না করে আদালতে ফেরত পাঠানো হবে। বাকী বিশ হাজার টাকা এস.আই এর বেধে দেওয়া সময় অনুযায়ী না দিতে পারলে মুগদা থানায় থাকা গ্রেফতারী পরোয়ানায় গ্রেফতার দেখিয়ে তার স্বামীকে আটক করা হবে। তাহারা স্বামী-স্ত্রী থানা হতে বাসায় চলে যায়।
ঘুষের টাকা তাদের কথা অনুযায়ী সময় মত দিতে না পারায় গত ইং ২৯-১২-২০২০ তারিখ ভোর বেলা
তাদের বর্তমান ঠিকানার বাসায় মুগদা থানার একদল পুলিশ গিয়ে মেয়েটির স্বামীকে গ্রেপ্তার করে মুগদা থানায় নিয়ে ঢাকা আদালতে প্রেরণ করেন।
ভুক্তভূগি আবেদনে আরো উল্লেখ্য করেন,রাহাতগংরা এর আগেও তাহাকে ধর্ষন করে। ধর্ষনের পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য পুলিশের সহায়তায় ১৭/৯/২০২০ইং তারিখে ভর্তি হন।
চিকিৎসা শেষে হাসপাতালের ওসিসি বিভাগ হতে ভুল বসত অন্য থানায় তাহাকে পাঠানো হলে ঘটনাস্থল মুগদা থানায় হওয়ায় সেই থানায় কোন মামলা হয়নাই। এরপর ঘটনস্থলের থানা মুগদায় ভিকটিম গেলে পুলিশ কোন মামলা নেয় নাই। এর ফলে মেয়েটি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
অভিযুক্ত ধর্ষকগন বিভিন্ন ভাবে মেয়েটিকে রাস্তায় চলাফেরার পথে গতিরোধ করে নানা ভাবে সামাজিক হেয় প্রতিপন্ন করে আসতেছিল। এমতাবস্থায় গত
২৬/০২/২০২০ইং তারিখ মেয়েটিকে উক্ত ধর্ষকগন মারদর করে এর ফলে তিনি মিডফোট হাসপাতালের
জরুরী বিভাগে গিয়ে চিকিৎসা নেয়। তাতেও কোথাও গিয়ে মেয়েটি ন্যায় বিচার পায়নি।
ন্যায় বিচার না পাওয়ায় তিনি ০৭/০১/২০২১ খ্রিঃ মানণীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সহ বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে লিখিত আবেদন করেন।
অভিযোগে পাওয়া মোবাইল নাম্বর ০১৭১৮০৫৮২৯২-এ ফোন আলাপ কালে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ব্যবহারকারী ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে বলেন, তাহার নাম আসলে এস.আই আবুল কালাম আজাদ নয় তাহার নাম এস.আই আলী আহম্মদ। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোন সত্যতা পায়নি। তাই কোন মামলা হয়নি। আর মেয়েটির স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল কিনা তাহা তার জানা নাই।
এ বিষয়ে মুগদা থানার ওসির মুঠোফোনে তাকে না পাওয়ায় তার কোন বক্তব্য পাাওয়া যায়নি।