1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না তাকে আরআরএফের সভাপতি হাবিবুল্লাহ মিজান, সম্পাদক নিশাত বিজয় দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর

মামলা না নেওয়ায় আবেদন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২১, ২.২২ পিএম
  • ৮৯২ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
অভাগিনি (ছদ্ননাম) পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। হঠাৎ করে গার্মেন্টস মালিক এক মাসের জন্য কাজ বন্ধ করে দিয়ে তাকেসহ সকল শ্রমিকদের ছুটি ঘোষণা করেন। গত ২৫/১২/২০২০খ্রিঃ তিনি বেলা ৩ ঘটিকার সময় বাসা হতে বের হয়ে তাহার পূর্বের কর্মস্থল যাত্রাবাড়ী যাওয়ার পথে মানিকনগর পুকুর পাড় বাজারে পৌছানো মাত্র তার পূর্ব পরিচিত রাহাত নামে এক ব্যক্তির সাথে দেখা হয় । কথা বার্তার এক পর্যায় রাহাত বলেন তাহার মানিকনগর পুরান (ছয় তলা) এলাকায় তার একটি লোকাল গার্মেন্টস রয়েছে। মেয়েটি যে কয়েকদিন ছুটিতে আছে সে কয়দিন প্রোডাকশনে সেখানে কাজ করতে পারবে। তাহার প্রস্তাবে মেয়েটি রাজি হলে লোকটি তাহাকে রিক্সা করে মানিক নগর পুরান (ছয় তলা) এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর অভাগিনি (ছদ্ননাম) দেখতে পায় বাড়ির ভিতর দুই পাশে কয়েটি রুম, রুমগুলোর বাহিরে থেকে দরজায় তালা মারা, অন্য দুইটি রুম খোলা। একটি রুমে পাঁচ ছয় জন মেয়ে মানুষ দেখতে পায়। রুমের মেয়েরা সাজুগুজু করে খাটের উপর বসে আছে। বাড়ি ওয়ালী পরিচয় দানকারী এক মহিলা বাড়ির গেইটে দাড়িয়ে পাহারা দিয়ে মেয়েদের রুমে বহিরাগত পুরুষ খদ্দের দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করাচ্ছিলো। তখন রাহাত মেয়েটিকে খালি রুমে ঢুকিয়ে বলে সেখানে কোন গার্মেন্টস নেই। পাশের রুমের মেয়ে গুলো বসা দেখছ, তারা এই বাড়িতে এই বাড়ীর বাড়ীয়ালী ও এলাকার চিহ্নিত নারী গঠিত ব্যাসায়ী ছবির নেত্রীতে এই বাড়ীতে বাহির থেকে আসা বিভিন্ন পুরুষ এর সাথে এখানকার রুম গুলোতে অবস্থান করে মেয়েরা অসামাজিক কার্যকলাপ করে টাকা রোজগার করে। তুমি গার্মেন্টস এর কাজ করে মাসে আরকত টাকা রোজগার করতে পার !এখানে কাজ করলে মাসে গার্মেন্টস এর চেয়ে চারগুন টাকা মাসে ইনকাম করতে পারবা। এই বলে রুমের দরজা আটকিয়ে মেয়েটিকে কিছুক্ষন রুমে বসিয়ে রাখার পর মোবাইলে দৃশ ভিডিও করে এবং খারাপ কাজে লিপ্ত করার জন্য কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। তখন সেখানে থেকে মেয়েটি চলে আসতে চাইলে রাহাত বলে তুমি একটু পরে বের হতে পারবা, আমার এক বড় ভাই আছে সে আসলে তুমি তার সাথে কথা বার্তা বলে চলে যেও। এরমধ্যে বাহির থেকে দরজা নক করে রাহাত রুমের ভিতর থেকে দরজা খুলে দিলে কক্ষে দুই জন লোক রুমের ভিতর ঢুকেই মেয়েটিকে চর থাপ্পর মারা শুরু করে এক পর্যায় রাহাতের সহায়তায় রুমে প্রবেশরত ব্যক্তিগন জোরপূর্বক ধর্ষন করে। তখন অভাগিনি (ছদ্ননাম) সুযোগ পেয়ে দৌড়ে রুমের দরজা খুলে চিৎকার দিলে একজন ধর্ষক দৌড়ে এসে দরজার সামনে মেয়েটিকে ধরে ফেলে এবং মুখ চেপে ধরে বলে এখানে যা হবার হয়ে গেছে। এ নিয়ে তুমি লোকজনকে জানালে তোমারি মান-সম্মানের ক্ষতি হবে।
তখন অভাগিনিকে বোরকা পরতে সুযোগ দিয়ে রাহাতকে দিয়ে বাড়ীর গেটের বাহির করে দেয়।
তখন ধর্ষিতানারী সেখান থেকে বের হয়ে কিছু দূরে এসে
অসুস্থ হয়ে পরলে মেয়েটি পথচারী কয়েকজনের প্রশ্নের সম্মুক্ষিন হয়ে তার ঘটনাটি খুলে বলেন। তখন পথচারীদের সহায়তায় (৯৯৯) ত্রিপল নাইনের মাধ্যমে মুগদা থানা পুলিশ কে তাহার ঘটনার বিষয় অবগত করে।
এক পর্যায় মুগদা থানার এস.আই আবুল কালাম আজাদ,
পরিচয় দানকারী মোবাইল নং- ০১৭১৮০৫৮২৯২ মেয়েটির সাথে দেখা করে তাহাকেসহ ঘটনা স্থলে যায়। পুলিশ ঘটনা স্থলে গেলে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর ঘটনা স্থলে আশে পাশে সাক্ষীদের নাম ঠিকানা লিখে উক্ত স্থানে থাকা আসামাজিক কার্যকলাপ করা নারী পুরুষদের আটকের পর থানায় না নিয়ে ছেড়ে দেন, কোন রকম গ্রেফতার না করে পুলিশ ধর্ষিতা নারীকে নিয়ে মুগদা থানায় চলে আসে। থানায় আসার পরে উক্ত এস.আই আবুল কালাম আজাদ মেয়েটিকে বলে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে পঞ্চাশ হাজার টাকা লাগবে। টাকা দিতে মেয়েটি অনিহা প্রকাশ করলে তখন পুলিশ তাহার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটিকে অশালিন ভাষায় গালি গালাজ শুরু করে এবং মুগদা থানার আফিসার ইনর্চাজ এর কাছে নিয়ে যায়। ওসির রুমে যাওয়ার পর ওসি বলে ধর্ষিতা নারী যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তারা নাকি ওসির পূর্ব পরিচিত ব্যক্তি। এরা খারাপ হলেও তাদেরকে বিভিন্ন সময় ওসির কাজে লাগে। তাই উক্ত নারী ঘটিত ব্যবসায়ী মুগদার সম্রাঘী সালমা আক্তার ছবি গংদের বিরুদ্ধে কোন রকম মামলা নেওয়া হবেনা। তখন ধর্ষিতা নারী পুলিশের কাছে জানতে চান কেন তার ঘটনায় মামলা নেওয়া হবেনা। প্রতিবাদ করলে ওসির নির্দেশে এস.আই আবুল কালাম আজাদ (পরিচয় দানকারী) থানার একটি কক্ষের ভিতরে অভিযোগকারি মেয়েটিকে ঢুকিয়ে দরজা বাহির থেকে তালা বন্ধ করে দেয় এবং বলে উল্টো নাকি ধর্ষিতা অভিযোগকারি নারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এক পর্যায় বেশ কিছুক্ষন পর কক্ষের জানালার কাছে এসে । এসআই উক্ত নারীকে বলে কিছু টাকা পয়সা পুলিশকে দিতে পারলে তাহাকে এখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে নয়তো জেলের ভাত খেতে হবে। তখন মেয়েটি ভীতুসস্থুত হয়ে কানের চার আনা স্বর্নের জিনিশ মেয়েটির কাছ থেকে এস.আই আবুল কালাম আজাদ কৌশলে নিয়ে নেয়। তখন পুলিশ ধর্ষিতার স্বামীকে ফোন দিয়ে থানায় এনে ঘটনার সবকিছু তাহার স্বামীর কাছে বলে দেয় এবং ওসি ও এস.আই মিলে কয়েকটি সাদা কাগজে তাদের স্বামী ও স্ত্রীর স্বাক্ষর রাখে ও তাদের মোবাইল ফোনে ওসি ও এস.আই”র শিখিয়ে দেওয়া বিভিন্ন কথাবার্তা মেয়েটিকে দিয়ে বলিয়ে তাহা ভিডিও করে বলে এ নিয়ে যেন বাহিরে কোন মুখ না খুলে এবং কার কাছে না বলে। থানায় ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো যদি বহিরে বলাবলি না করে বা বারাবারি না করে  তাহলে থানায় তাদের মোসলেখা রাখা হয়েছে বারাবারি করলে তাদের চরম পুলিশি হয়রানীর শিকার হতে হবে।
আর একদিনের মধ্যে আরো বিশ হাজার টাকা ওসি ও এসআইকে দেওয়ার জন্য বলে নয়তো মুগদা থানায় নাকি তাহার স্বামী আশিকের নামে আদালত হতে আসা গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে তা দিয়ে মেয়েটির স্বামীকে গ্রেফতার করা হবে। টাকা দিতে পারলে থানায় থাকা গ্রেফতারী পরোয়ানাটি আসামী পাওয়া যায়নি বলে পরোয়ানটি তামিল না করে আদালতে ফেরত পাঠানো হবে। বাকী বিশ হাজার টাকা এস.আই এর বেধে দেওয়া সময় অনুযায়ী না দিতে পারলে মুগদা থানায় থাকা গ্রেফতারী পরোয়ানায় গ্রেফতার দেখিয়ে তার স্বামীকে আটক করা হবে। তাহারা স্বামী-স্ত্রী থানা হতে বাসায় চলে যায়।
ঘুষের টাকা তাদের কথা অনুযায়ী সময় মত দিতে না পারায় গত ইং ২৯-১২-২০২০ তারিখ ভোর বেলা
তাদের বর্তমান ঠিকানার বাসায় মুগদা থানার একদল পুলিশ গিয়ে মেয়েটির স্বামীকে গ্রেপ্তার করে মুগদা থানায় নিয়ে ঢাকা আদালতে প্রেরণ করেন।
ভুক্তভূগি আবেদনে আরো উল্লেখ্য করেন,রাহাতগংরা এর আগেও তাহাকে ধর্ষন করে। ধর্ষনের পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য পুলিশের সহায়তায়  ১৭/৯/২০২০ইং তারিখে ভর্তি হন।
চিকিৎসা শেষে হাসপাতালের ওসিসি বিভাগ হতে ভুল বসত অন্য থানায় তাহাকে পাঠানো হলে ঘটনাস্থল মুগদা থানায় হওয়ায় সেই থানায় কোন মামলা হয়নাই। এরপর ঘটনস্থলের থানা মুগদায় ভিকটিম গেলে পুলিশ কোন মামলা নেয় নাই। এর ফলে মেয়েটি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
অভিযুক্ত ধর্ষকগন বিভিন্ন ভাবে মেয়েটিকে রাস্তায় চলাফেরার পথে গতিরোধ করে নানা ভাবে সামাজিক হেয় প্রতিপন্ন করে আসতেছিল। এমতাবস্থায় গত
২৬/০২/২০২০ইং তারিখ মেয়েটিকে উক্ত ধর্ষকগন মারদর করে এর ফলে তিনি মিডফোট হাসপাতালের
জরুরী বিভাগে গিয়ে চিকিৎসা নেয়। তাতেও কোথাও গিয়ে মেয়েটি ন্যায় বিচার পায়নি।

ন্যায় বিচার না পাওয়ায় তিনি ০৭/০১/২০২১ খ্রিঃ মানণীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সহ বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে লিখিত আবেদন করেন।

অভিযোগে পাওয়া মোবাইল নাম্বর ০১৭১৮০৫৮২৯২-এ ফোন আলাপ কালে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ব্যবহারকারী ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে বলেন, তাহার নাম আসলে এস.আই আবুল কালাম আজাদ নয় তাহার নাম এস.আই আলী আহম্মদ। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোন সত্যতা পায়নি। তাই কোন মামলা হয়নি। আর মেয়েটির স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল কিনা তাহা তার জানা নাই।
এ বিষয়ে মুগদা থানার ওসির মুঠোফোনে তাকে না পাওয়ায় তার কোন বক্তব্য পাাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com