২০২১ সালে চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ৮.১ শতাংশ। কিন্তু তারপরও অর্থনেতিক কর্মকাণ্ডে চাঙা ভাব ফেরাতে দেশটিকে বেগ পেতে হচ্ছে। কারণ, মূলত ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধ্বে চীনা অর্থনীতিতে ভর করেছিল মন্থর গতি।
চীনা সরকারের দেওয়া তথ্য থেকে এ চিত্র পাওয়া যাচ্ছে।
২০২১ সালের শেষ তিন মাসে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশটির প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছিল ৪ শতাংশে; যেখানে প্রথম তিন মাসে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১৮.৩ শতাংশ।
করোনা ভাইরাস মহামারির আঘাত সামলে বেশ দ্রুতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে চীনের অর্থনীতি। কিন্তু রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় মন্দাভাব কাটেনি। আর এর সঙ্গে দেশটির লাখো মানুষের জীবিকা জড়িত থাকায় অর্থনীতিতে একটা ধীরগতি রয়ে গেছে।
২০২১ সালের শেষভাগে এসে চীনা অর্থনীতির যে দুর্বল দশা ফুটে ওঠে এ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, অর্থনীতির চাকায় গতি ফেরাতে বেইজিংকে সুদের হার কমাতে হবে অথবা গণপূর্তের কাজের মাধ্যমে অর্থনীতিতে নতুন টাকার প্রবেশ ঘটাতে হবে।
করোনাভাইরাস মহামারি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে বাধা হয়েছিল তিয়ানজিনের মতো শহরে লকডাউনের সিদ্ধান্ত। চীনে পণ্য উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হলো এই তিয়ানজিন। এছাড়া চীনা নেতারা পর্যটনের ক্ষেত্রে যে বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছিলেন, সেটাও ভূমিকা রেখেছে অর্থনীতির মন্থর গতির পেছনে।
স্মার্টফোনসহ অন্যান্য পণ্য তৈরিতে প্রয়োজনীয় সেমিকন্ডাকটরের বিশ্বজুড়ে ঘাটতির পরও ২০২১ সালে চীনের রফতানি বেড়েছে ২৯.৯ শতাংশ।