সিএনএমঃ
রাজধানীর লালবাগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে মাহবুব হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-লালবাগ। গ্রেফতারকৃতের নাম- মোঃ মাঈন উদ্দিন (২৬)।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে লালবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগের লালবাগ জোনাল টিম।
লালবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, গত ০২ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি. ভিকটিম মাহবুবের মা মোছাঃ আমেনা বেগম বাদী হয়ে লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ বিকাল আনুমানিক ০৪:০০ ঘটিকায় গ্রেফতারকৃত মাঈন উদ্দিনসহ কয়েকজন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভিকটিম মাহবুবকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে এবং হত্যার হুমকি দেয়। অতঃপর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে মাহবুব কিছুটা সুস্থ হয়ে ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ লালবাগে নিজ বাসায় ফিরে আসে। পরবর্তীতে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০০ ঘটিকায় এজাহারনামীয় এক আসামি মাহবুবকে ফোন করে কিছু কথা বলে। এর কিছুক্ষণ পর নিজের স্ত্রী ও মাকে থার্টি ফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠান দেখার কথা বলে মাহবুব বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ রাত আনুমানিক ০১:৩০ ঘটিকায় গ্রেফতারৃকত মাঈনসহ এজাহারনামীয় ১৩ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে ভিকটিমকে লালবাগের জেএন সাহা রোডে একটি বাড়ির ভিতরে ছুরিকাঘাত করে গুরতর আঘাত করে হত্যা করে। অতঃপর ভিকটিমের লাশ জেএন সাহা রোডস্থ লিবার্টি ক্লাব সংলগ্ন পাকা রাস্তার উপর ফেলে যায়।
মামলা রুজুর পর গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ, নিবিড় তদন্ত ও প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার এজাহারনামীয় ৫ নং আসামি মাঈন উদ্দিনের অবস্থান সনাক্ত করে গতকাল রাতে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাঈন হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য সংক্রান্তে ডিবি-লালবাগ সূত্রে আরো জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মোঃ মাঈন উদ্দিন ও ভিকটিম মাহবুব এলাকায় দুটি গ্রুপের (গ্যাং) সদস্য। মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এজাহারনামীয় আসামিদের সাথে ভিকটিম মাহবুব আলম এর পূর্ব হতে বিরোধ বিদ্যমান ছিল। এই বিরোধের জের ধরেই ঘটনার দিন কৌশলে ভিকটিম মাহবুবকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।