“নুন আনতে পান্তা ফুরাত” সেই আবু তাহেরের হাতে যখন আলাদিনের চেরাগ
সিএনএমঃ
অনুসন্ধানে জানা যায়, আবু তাহের কিছুদিন পূর্বে ভ্যান রিকশা চালক ছিলেন এবং মতিঝিলের জনৈক রনি নামে একজনের শরণাপন্ন হন মতিঝিল ফুটপাতে একটি দোকান নেওয়ার জন্য কিন্তু সেই আবু তাহেরই যখন আলাদিনের চেরাগের বদৌলতে রাতারাতি বাড়ি গাড়ি ফ্ল্যাট ও বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে কোটি কোটি টাকা ও অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত টাকা গুলোর বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সহ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বোকা বানানোর জন্য একটি খাদ্য উৎপাদনের কারখানা স্থাপন করেন।
সূত্রমতে জানা যায় মোঃ আবু তাহের কিছুদিন পূর্বেও যার “নুন আনতে পান্তা ফুরাত” সেই আবু তাহেরের হাতে যখন আলাদিনের চেরাগ এই চেরাগের মূলে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে কিছুদিন পূর্বে বিভিন্ন নকল পণ্য উৎপাদনকারী ও অনুমোদনবিহীন পণ্য আমদানি কারক আদম বেপারী, হুন্ডি ব্যবসায়ী, মুদ্রা পাচারকারীদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে জেল হাজতের ভয় দেখিয়ে জামাল, লোকমান, ইদ্রিস ড্রাইভার ও তাদের সহযোগী সংবাদদাতা আবু তাহের গঙ্গরা প্রতিনিয়ত হাতিয়ে নিত লক্ষ লক্ষ টাকা।
অবাক করার বিষয় হল উক্ত খাদ্য উৎপাদনকারী কারখানায় বিএসটিআই অনুমোদন এর বাইরেও দেখি বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের খাদ্য উৎপাদন করে আসছেন।খাদ্য উৎপাদনের কারখানা।যদিও আবু তাহের এর কারখানার বিরুদ্ধে রয়েছে নকল খাদ্য উৎপাদনের অভিযোগ,সেই অভিযোগের সূত্র ধরে এমনকি নকল খাদ্য উৎপাদন করে সারাদেশ বাজারজাত করার কারণে আবু তাহেরের কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করে।
সূত্রে আরও জানায় আবু তাহেরের টাকার উৎস আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নাম ভাঙ্গিয়ে জেল হাজতের ভয় দেখিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা পাচারকারী থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ব্যাগ ভর্তি ডলার ও স্বর্ণ চোরাচালানিদের থেকে টিফিন ক্যারিয়ার (৪ বাটি)ভর্তি স্বর্ণ আত্মসাৎ করেন আবু তাহের গংরা।
প্রশ্ন জাগে এই সঙ্গবদ্ধ চক্রটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে প্রতিনিয়ত এই ভাবে আরো কত লোক থেকে টাকা ডলার ও স্বর্ণ হাতিয়ে নিয়েছে যার কোন পরিসংখ্যান নেই।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে জেল হাজতের ভয় দেখিয়ে আত্মসাৎকৃত সেই সকল টাকা ডলার ও স্বর্ণের টাকা বৈধ করার জন্য অশিক্ষিত সুচতুর রিকশা ভ্যান চালক আবু তাহের রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর একটি ঘি এর কারখানা তৈরি করে।সেই ঘি এর কারখানার আইনি কোন বৈধতা না থাকার কারণে আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার অভিযানে উক্ত ঘি কারখানাটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন তিনি।
এর কিছুদিন পরে ইকবাল নামে জনৈ ক ব্যক্তির নকল ঘি তৈরি কারখানা অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল ঘি উদ্ধার করে সিআইডি পুলিশ এবং ইকবাল কে গ্রেফতার করার পরে সে জানায় এই সকল দেশী-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল ঘি তৈরি করতে দিয়েছে আবু তাহের। পরবর্তীতে নকল ঘি উৎপাদনকারী ইকবাল ও আবু তাহের এর বিরুদ্ধে সিআইডিতে একটি মামলা হয়।বর্তমানে আবু তাহের ফাস্টফুড আইটেম এর কয়েকটি রেসিপি উৎপাদন ও বাজার জাতকরণের অনুমোদন নিয়ে প্রায় দেড়শতাধিক বিভিন্ন খাদ্য আইটেম উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন।
তার মধ্যে দেশী বিদেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফাস্টফুড রেসিপি নকল করে সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তার এই সকল নকল পন্যের ব্যবসা অব্যাহত রেখেছেন সারা বাংলাদেশে। এখানে উল্লেখ্য থাকে যে আবু তাহের এর এই সকল বিএসটিআই অনুমোদন বিহীন নকল পূর্ণ ক্রয় করে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে ভোক্তা আক্রান্ত হচ্ছে নানাবিধ রোগ ব্যাধিতে তার মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। আবু তাহেরের বিষয়ে জানতে তার এক সময় এর সহযোগী লোকমান ওরফে জামালের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন রিকশা ভ্যান চালক আবু তাহের আমাদের গ্রুপের সবার সাথে বেইমানি করে এই চার বছরে আমার জানা মতে রিকশা ভ্যান চালক থেকে কয়েক শত কোটি টাকার মালিক এমনকি তার নানান অপকর্মের বিষয়ে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আপনার অফিসে এসে বিস্তারিত বলবো।
আবু তাহেরের দীর্ঘদিনের আরেক সহযোগী ইদ্রিস ড্রাইভার এর মুঠো ফোনে আবু তাহের এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন এ আমাদের গ্রুপের সাথে গাদ্দারি করে এই চার বছরে শত শত কোটি টাকার মালিক তার বিচার আল্লাহ করবেন এই বলে মুঠো ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
পরবর্তীতে এই সকল বিষয়ে জানতে আবু তাহের এর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, বর্তমানে আমি সাত হাজার (৭০০০). কোটি টাকার মালিক এবং আমার কারখানায় দেড় শতাধিক এর উপরের খাদ্য এর আইটেম উৎপাদন করে বাজারজাত করে আছি সারা বাংলাদেশে, তাতে আপনার সমস্যা কি? এই বলে মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
অনুসন্ধান চলছে, বিস্তারিত আগামী পর্বে,,,,,,