লিমা নামক এক (ছদ্মনাম) নারী গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়, র্যাবের মহা—পরিচালক এবং আইজিপি বরাবরে র্যাব—১০ এর একটি টিমের কিছু র্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন যে,ঐ নারী।
অভিযোগে যাহা উল্লেখ করেছেন তিনি বলেন আমি ধর্ষণের শিকার হয়ে গত ১১/০৮/২০২৩ইং তারিখ কদমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করি মামলনং—১৫, ধারা ৭/৯(৩) ২০০০ (সংশোধীত/২০২০)। মামলা হওয়ার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর আসামীদের ঠিকানা অনুযায়ী বিভিন্নভাবে ও মামলায় উল্লেখিত তার ব্যবহৃত ফোন নম্বর হতে আসামীদের অভিভাবক ও এলাকার লোকজনদের মাধ্যমে মামলা হওয়ার তথ্য আসামীদের কাছে গোপনে খবর পৌছে দিয়ে আসামীদের কাছ হতে লাভবান হয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার ওসি তদন্ত আলমগীর আমার সাথে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের দুরব্যবহার করে। আসামী দেখানোর পরেও আসামী গ্রেফতার না করে আসামীদের পক্ষালম্বন করে পালানোর সুযোগ করে দেয়। এরই মধ্যে কদমতলী থানার ওসি তদন্ত আলমগীর মামলার তদন্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা মামলার তদন্ত দায়িত্ব দেন ডি.এম.পি ভিক্টিম সার্পোট সেন্টারে নারী পুলিশ কর্মকর্তাদের সেখানে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান নারী পুলিশ এস.আই জেসমিন।
কিন্তু ইতিমধ্যে র্যাব—১০ সিপিসি—১ এর এফএস—সিভিল টিম এর (১) এ.এস. আই রুবেল, (২) কনস্টেবল শাহজাহান, (৩) কনেস্টেবল নাজিম, (৪) অজ্ঞাতনাম আরো কয়েজন উক্ত টিমের সদস্য। যাত্রাবাড়ী ক্যাম্প হতে তাদের একটি হায়েস গাড়ি ও ৪টি মটর সাইকেল নিয়ে গত ১২/১০/২০২৩ইং সকাল ১০ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমার মামলার ৩নং আসামী মোঃ হাবিবুল ইসলাম রুবেল (৫২) পিতা—মুসলেম উদ্দিন, মাতা—লুতফা বেগম, সাং—পুকুরপাড়, থানা—খিলগাঁও, জেলা—ঢাকা, এন.আই.ডি নং—১০১৫৮৬১৫৩৫ কে মালিবাগ এলাকা পদ্মা ডায়গনষ্টিক সেন্টারে গিয়ে সেখান হতে গ্রেফতার করে র্যাব সদস্যরা হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে র্যাবের হায়েস মাইক্রো গাড়িতে তুলে ঐ মুহুর্তে মামলার এজাহারে উল্লেখিত আমার মোবাইল নম্বরে র্যাবের এক সদস্য তাহার একটি নম্বর হতে কল করে বলে তারা আমার মামলার ৩নং আসামী মোঃ হাবিবুল ইসলাম রুবেলকে গ্রেফতার করেছে তারা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেসমিন এর সাথেও কথা বলেছে কিছুক্ষণের মধ্যেই র্যাব—১০ এর ক্যাম্পের মধ্যে নিয়ে যাবে পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হবে। বেলা ১০টা হতে ১১ পর্যন্ত সেখানে অভিযান চালিয়ে আসামীর কর্মস্থল পদ্মা ডায়গনিষ্টিক সেন্টার হতে তাকে র্যাব সদস্যরা গ্রেফতার করে যাত্রাবাড়ী র্যাব—১০ এর ক্যাম্পে নিয়ে এসে তাদের লকাপে সারাদিন আটকে রাখে। এরই মধ্যে ঐদিন রাতে আমি র্যাব ক্যাম্পে গিয়ে আমার আসামীর সন্ধান করলে সেখানে গিয়ে জানতে পারি প্রায় ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকা আসামীর কাছ হতে ঘুষ গ্রহণ করে আমার আসামীকে সন্ধ্যায় র্যাব—১০ ক্যাম্প হতে ছেড়ে দিয়েছে। ঐ মুহুর্তে আমাকে ফোন দেওয়া ব্যক্তিদ্বয়ের সাথে কথা বলি তারা বলে আমাদের জিজ্ঞেস না করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জিজ্ঞাস করেন আসামীর বিষয়ে তিনি ভালো জানেন। পরদিন আদালতে যেয়ে খোজ—খবর নেওয়ার পর জানতে পারি ঘুস গ্রহণ করে ঐদিনই আমার আসামীকে র্যাব কতৃর্পক্ষ আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে। সারাদিন র্যাব ক্যাম্পে আটক রেখে তার আত্বীয়—স্বজন এর মাধ্যমে খবর পাঠিয়ে টাকা এনে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে।
র্যাব সদস্য তার পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানান আসামী গ্রেফতারের সময় ঐ টিমের সদস্য কনেস্টবল নাজিম সহ ও আসামী গ্রেফতারের পর হাতে হ্যান্ডকাপ পড়ানোর সময় কিছু ছবি তুলে রাখে সেগুলো আমাকে দেয়। এবং বলে ঐ টিম আসামী যখন গ্রেফতার করছিল ঐ সময় তিনি গোপনে তার সাথে থাকা মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তুলে রেখেছিল। উক্ত ছবিতে আসামীর সাথে কনেস্টবল নাজিমের ছবিও উঠে ঐ ছবিটি তোলা হয়েছে মালিবাগ পদ্মা ডায়গনিষ্টিক সেন্টারের সামনে হতে কিন্তু টাকা খেয়ে আসামী ছেড়ে দিবে এটা তিনি বুঝতে পারেন নাই। তাই তার কাছে সংগ্রহ করা এই ছবিগুলো আমাকে দেয়। এবং তিনি বলে আসামী গ্রেফতার করার স্থান পদ্মা ডায়গনিষ্টিক সেন্টার এর ও ঐ স্থানের আশ—পাশ এবং র্যাব ক্যাম্পের সিসি ক্যামেরার ঐ মুহুর্তের ভিডিও ফুটেজ চেক করলেই আসামী গ্রেফতার করার প্রমাণ তথ্য এবং তা ছাড়ার ও টাকা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যাবে। তিনি বলে র্যাবের ঐ টিমের সদস্যরা আসামী গ্রেফতারের নামে টাকা বিনিময়ে ধরাছাড়া বাণিজ্য করে যাচ্ছে। তাহা ঐ বাহিনীতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেউ নেই আর। দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নিরবে দেখেই যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে উল্টো বিপদে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে সত্যতা জানার জন্য র্যাব—১০ এর ক্যাম্প কমান্ডার এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে না পাওয়ায় র্যাব—১০ এর বক্তব্য জানা যায়নি।