সাকিব হোসেইন, তিতাস (কুমিল্লা) সংবাদদাতা:
কুমিল্লার তিতাসে আপন মেয়ের জামাইয়ের পাওনাকৃত টাকা আত্মসাত করতে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে শশুর ও তার ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী মো. সোহেল বলরামপুর ইউনিয়ন কালাইগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা মরুহুম মঙ্গল মিয়ার ছেলে।
অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী সোহেল ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, ভিটিকান্দি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর নয়ানী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল মান্নান তার নিজের মালিকানাধীন জমি বিক্রির প্রস্তাব দিলে জামাতা সোহেল মিয়া উক্ত জমি ক্রয়ে আগ্রহী হয়। ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি, শাশুড়ির উপস্থিতিতে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা তার শশুর আব্দুল মান্নানকে নগদ পরিশোধ করে সোহেল তার স্ত্রীর নামে বায়নাপত্র দলিল করেন। জমি রেজিস্ট্রি নেয়ার সময় পরবর্তীতে ৭ লাখ মূল্যের এ জমির বাকি ৭০হাজার টাকা পরিশোধ করে দেয়ার কথা ছিল।
এছাড়াও জামাতার কাছ থেকে শ্যালকদের বিদেশ পাঠানোর কথা বলে আরও ৯ লাখ ২২হাজার টাকা ধার হিসাবে নেন আব্দুল মান্নান। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও জমি রেজিস্ট্রি এবং ধারের টাকা ফেরত দেননি তিনি। সোহেল টাকা চাইতে গেলে নানা তালবাহানা শুরু করেন আব্দুল মান্নান।
এক পর্যায়ে পাওনা টাকা উদ্ধার করতে আইনী সহযোগিতা চেয়ে ভুক্তভোগী সোহেল গত (১৭ মার্চ) তিতাস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে নিজেকে রক্ষা ও জামাতার পাওনা টাকা আত্মসাত করতে আব্দুল মান্নান জামাতা সোহেল এর নামে নিজের আপন ছেলের বউ ছদ্মনাম (রুজিনা)কে দিয়ে গত (১৭ এপ্রিল) কুমিল্লা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নং সি.আর ১২৪/২৫ইং দায়ের করে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ উঠে। তবে উপরোক্ত মামলার সাক্ষী ফারুক ও শেখ ফরিদ এঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না তারা এমনটাই জানিয়েছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী ভিকটিমের আশেপাশের প্রতিবেশীরাও এমন কোন ঘটনা এলাকায় ঘটেনি বলে জানান।৷ এদিকে এমন ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার বিষয়ে আব্দুল মান্নান এর কাছে জানতে তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি এবং মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কলটি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে মামলার বাদী ভিকটিম ছদ্দনাম (রুজিনা) বলেন, আমি কোন মিথ্যা মামলা করি নাই, এখন আমি মেডিকেল আছি, ছুটি নিয়ে আসতে হবে। আপনি দুই দিন পর আমাদের বাড়িতে আসেন সরাসরি কথা বলি। পরবর্তীতে দুইদিন পর তার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল কেটে দেন।