বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

চার দেয়ালে বন্দি ওরা এ যেন দেখার কেউ নেই

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯.৪২ পিএম
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে
মোঃ আলমগীর সেলিম
ঢাকা জেলায় প্রায় ৫ শতাধিক আবাসিক হোটেল রয়েছে। সাইন বোর্ডে লেখা আবাসিক হোটেল থাকলেও ভিতরে চলে ভিন্ন ব্যবসা। আবাসিক হোটেল ব্যবসার সাইন বোর্ডের অর্ন্তরালে রাজধানীতে প্রায় ৫ শতাধিক পতিতালয় গড়ে ওঠেছে। এসকল পতিতালয়ে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক তৎপরতা থাকলেও বর্তমানে সুবিধাভোগী আবাসিক হোটেল নামে পতিতালয়গুলোতে স্থানীয় পর্যায়ের দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তাদের বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অসাধু কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে হোটেল নামে পতিতালয় গুলোতে বিভিন্ন প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত মেয়ে মানুষ রাখিয়া অসামাজিক কার্যকলাপ ব্যবসা করছে এক শ্রেণির নারী পাঁচারকারী ও নারী ঘটিত ব্যবসায়ী দালাল চক্র। এসব অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধ হোক এ বিষয়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী, মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিরলসভাবে সময় সময়ে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ বিষয়ে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংগঠন আইজিপি সহ পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ঐ প্রতিবেদনে আবাসিক হোটেলের অন্তর্রালে ব্যাপক নারী, শিশু কিশোরী আটক থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। সংগঠনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিষয় নারী পাচারকারীদের জিম্মি দশা হতে আটক ও পাঁচার হওয়া নারীদের পক্ষে উদ্ধারের আবেদন করেছেন একটি স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংস্থা। প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিষয়ঃ

পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা থাকায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি-০১
আমি হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন সংগঠনের নির্বাহী সদস্য কাজের ফাঁকে ফাঁকে লেখালেখি করি এবং জনস্বার্থে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনা করি। সময় সময় সরকারের মহুতি উদ্যোগ গুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাঠ পর্যায়ে নানাবিধ অপরাধ তথ্য অনুসন্ধান করে তাহা নির্মূলের লক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত আবেদন ও অভিযোগ পত্র পাঠিয়ে থাকি এবং গণ মাধ্যমকেও দেশের উন্নতির লক্ষ্যের স্বার্থে নানাবিধ তথ্য দিয়ে সহায়তা করে আসছি।
কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবত দেশের মাদক, ক্যাসিনো (জুয়া), ব্যবসায়ী ও নারী পাচারকারী কয়েকটি চক্র বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে অপরাধ করে সৎ দায়িত্বশীল আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের হাতে বিভিন্ন সময় ধরা পরে এবং তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলাও হয়েছে যাহার বাদী র‌্যাব ও পুলিশ সদস্য ও বিভিন্ন ভুক্তভোগী। দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের বরাবরে সংস্থার জনস্বার্থে দায়েরকৃত নানাবিধ অভিযোগগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ সরেজমিনে গিয়ে বাস্তবমুখী কোন আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বারবার অভিযোগগুলো তুলে নিতে বা ধামাচাপা দিতে গোপনে মানব পাঁচারকারী নারী ঘটিত ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারী সহ নানাবিধ অপরাধীরা মানবাধিকার কর্মীদের উপর বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্র হয়রানির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অপরাধ তথ্য অনুসন্ধানকালে যা পাওয়া গেল
গত ০৩/০৪/২০২৫ইং তারিখ তেজগাঁও থানাধীন ফার্মগেট মোড় দাঁড়িয়ে যাত্রাবাড়ি যাওয়ার জন্য বাইক খুঁজছিলাম এরি মধ্যে দেখতে পাই ৬১/এ, রূপসী বাংলা নামক আবাসিক হোটেলের সামনে কিছু লোক দাঁড়িয়ে বলাবলি করছে যে উক্ত রূপসী বাংলা (সাবেক দেশ বাংলা) হোটেলে ৮-১০ জন নারীকে নারী পাঁচারকারী দালাল চক্র মেয়েদের হোটেলের রুমে আটক করে দেহ ব্যবসা করাচ্ছে (নারীদের গণ ধর্ষণ করছে)। এ রকম একটি খবর জানতে পেরে খদ্দের বেশে আমার সাথে থাকা সঙ্গি ও সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম রাজু, নাজমুল, আব্বাসকে সহ রূপসী বাংলা হোটেলে প্রবেশ করে খদ্দের সেজে গিয়ে হোটেলের রুম গুলোতে বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের দেখতে পাই। কৌশলে সালমা নামে এক মেয়ের সাথে খদ্দের সেজে কথা বলি সালমা জানায় তাকে ও তার বান্ধবী লিমাকে গার্মেন্টস এ চাকুরী দেওয়ার কথা বলে উক্ত দেশ বাংলা হোটেলে এনে রুম গুলোতে আটক করে দেহ ব্যবসা করাচ্ছে। তারা তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চায়। কিন্তু দালাল চক্ররা যেতে দিচ্ছে না। এছাড়া আরোও বেশ কিছু মেয়ে রুমা, নাসরিন, রুপা, তারা জানায় তাদেরকেও একই কায়দায় ঐ হোটেলে এনে দেহ ব্যবসা করাচ্ছে। ঐ সকল খারাপ কাজ করতে না চাইলে মেয়েদের নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এমতাবস্থায় হোটেল মালিক পরিচয়ে হৃদয় এসে আমাদের পরিচয় জানতে চায়। আমাদের পরিচয় পাওয়ার পর হৃদয় (মোবাইল: ০১৬৩০-৯০৭০৩৬) সহ আরো কয়েকজন অজ্ঞাতনামা হোটেল স্টাফ আমাদের হুমকির সুরে বলে আপনারা মানবাধিকার কর্মী। আমাদের বিরুদ্ধে লেখা লেখি করেন লেখা লেখি করে কোন লাভ হবে না। কেননা এই হোটেলে পতিতা ব্যবসার লভ্যাংশের সিংহ ভাগ তেজগাঁও থানার ইন্সেপেক্টর, অপারেশন, ইন্সেপেক্টর তদন্ত, অফিসার ইনচার্জকে দেই। এছাড়া টহল ডিউটিতে যে সকল পুলিশ কর্মকর্তারা থাকেন সবাইকে লভ্যাংশের ভাগের একটি অংশ দিয়ে থাকি। তাই লেখা লেখি আর পুলিশের ভয় দেখিয়ে আমাদের কোন লাভ নাই। এক পর্যায় সেখান থেকে নেমে এসে রাস্তায় টহল ডিউটিরত একজন এসআইকে বিষয়টি বলি তিনি আমাদেরকে জানান যে, ভাই আপনারা মানবাধিকার কর্মী আমার কাছে বলছেন আমি শুনে রাখলাম কিন্তু আমার কিছুই করার নাই। আমি এই হোটেলে আটক মেয়েদের উদ্ধারের জন্য গেলে পরবর্তীতে আমার চাকুরীই থাকবে না। এই সকল হোটেলের অপকর্মের বিষয়ে তেজগাঁও থানার ওসি স্যার, ওসি তদন্ত, ওসি অপারেশন স্যার তারাই ভালো জানে আপনি তাদের কাছে গিয়ে বলে দেখেন তারা কি করে? তারা যদি আমাকে বলে তাহলে আমি ঐ হোটেলের নারী ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, সহ বিভিন্ন অপকর্মের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারব।
মানবাধিকার কর্মীরা অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করেন আটক জিম্মি থাকা নারীদের উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে ঐ সকল কর্মকর্তারা যেন ফিরিয়ে দেন এবং ন্যায় বিচার পেতে যাবতীয় সহায়তা করেন। এ বিষয়ে তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জকে মুঠোফোনে পাওয়া না যাওয়ায় তার বক্তব্য দেওয়া যায় নি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com