চিতা মন্দিরের মন্ডপ কাহিনী – রাঘব মিত্র পর্ব নং – ০১
ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন খাগাইল মহাশ্মশান কালী মাতার মন্দির। খাগাইল চিতা মন্দিরের মন্ডপ কাহিনী – শ্মশানের শবদাহে মরা পোড়াইবার মুখাগ্নি। নিম্ন বর্ণ হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ইহাই বারোয়ারী পূজা পীঠ মহাশ্মশান কালী প্রতিমার প্রতিষ্ঠিত, সূচনা লগ্নে নাট মন্দির। মন্দিরের দাহমঞ্চের পশ্চিম সংযুক্তেই ছোট্ট পরিসরের ভূঁই গোরে পুঁতিত মাটির চাপায়।শ্মশানের চিতায় বাবু নাই। ঠাকুর পৈতাঃ কাঁধে মন্দিরের পুরোহিত। তিন দেব দামের একজনই আরবির পূজক নৈলবদ্যে অর্ঘ্য ঢালিবার।সেবায়েত মন্দির ঠাইয়ে রক্ষিত নাই। স্ব প্রণোদনায় বেগার খাটে মানুষ দয়ার কৃপা পাইতে মা’ শ্মশানকালী দেবীর। বদল হয় এই খাটিয়ার মানুষ ও ব্যবহারীক আচরণে উপবিত ঠাকুরের। বারোয়ারী ক্ষমতায় মন্দিরের গনকমিটিও নাকি রহিয়াছে মন্দিরের দায়িত্ব বোঝায় শীরমনির মর্যাদায়। এই মর্যাদা প্রসূত শীরমনি কোচের বাবুটি নাকি তাঁর বারোয়ারী পোড়াদের লইয়া মন্দিরের দিকে দেখে না, তাঁকায় পূজার শেষে পর স্বাদের থালায়। আঁড় চক্ষু যায় দুধের ভান্ডতে।পলি ব্যাগের থলিতে গৃহে নিবার বরাদ্দ ও ঘটে চাহিয়া দেখিলে নোংরা — বিতরণ ব্যবস্থা পার স্বাদে দেবীর। গঙ্গায় গতর চুবায় কি’না ঠাকুর -ই জানে। পূজা অর্চনার ধুতি বস্ত্র মন্দিরে আসিয়া গতরে চড়ায়, পূজা শেষে মন্দিরেই খুলিয়া রাখিয়া যায়। হয়তো মাসে এই ধুতি বস্র রজক দেখিতে জলে যাইয়া ডুবায় না। সন্ধ্যায় নিত্য দিনের পূজা পাঠে এক দেবীর আরতিতে আরেক দেবীর অর্ঘ্য পুষ্প। বাদ্যযন্তের বাজনায় স্তবকে সুর ওঠায় বয়াতী গানের। কখনো গায় মাতাল রাজ্জাক আবার কখনো কাজল দেওয়ানের গান।
চলবে ———