২০০ কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণা মামলায় মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্কের কথা আগেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। সুকেশ যখন কারাবন্দি, তখনই জ্যাকলিনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের বেশ কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই বারবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তলব করে জ্যাকলিনকে। কিন্তু বেশ কয়েকবার এড়িয়ে যাওয়ার পরেই ইডির দপ্তরে হাজিরা দেন অভিনেত্রী। সেখানেই সুকেশের দেওয়া কোটি কোটি টাকার উপহারের কথা স্বীকার করেন তিনি।
তদন্তের পর ইডির পক্ষ থেকে জানা গেছে, চাঁদাবাজির টাকা দিয়েই জ্যাকলিনের মন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন সুকেশ। চাঁদাবাজির ২০০ কোটি টাকা থেকে কোটি টাকার উপহার জ্যাকলিন এবং তার পরিবারের সদস্যদের দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ৭.১২ কোটি টাকা জ্যাকলিনের নামে ফিক্সড ডিপোজিট এবং ১৫ লাখ টাকা এক চিত্রনাট্যকারকে জ্যাকলিনের হয়ে দিয়েছিলেন সুকেশ।
ইডির দাবি, ২০০ কোটি টাকা চুরির পরেই সেখান থেকে ৫.৭১ কোটি টাকার সম্পদ জ্যাকলিনকে উপহার দিয়েছিলেন সুকেশ। তাছাড়াও জ্যাকলিনের পরিবারের জন্য ১ লাখ ৭৩ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করেছেন সুকেশ। এর বাইরে দামি গাড়ি, ৯ লাখের বিড়াল, ৫২ লাখের ঘোড়া, দামি পাথরের গয়নাও জ্যাকলিনকে উপহার দিয়েছিলেন।
আর এই সম্পদের অর্থ বেআইনি পথে উপার্জন করেছেন সুকেশ। তাই জ্যাকলিনের ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে ইডি।
সূত্র : আজকাল