ঐতিহাসিক জয়! দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রোটিয়াদের বিপক্ষে অধরা জয়ের দেখা পাওয়া গেছে। এর আগে তিন ফরম্যাটে খেলা ১৯ ম্যাচের একটিতেও জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ দল। এবার সেই আক্ষেপে প্রলেপ পড়লো। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ৩১৩ রান জমা করে ৩৮ রানের জয়। ম্যচ শেষে সাকিব আল হাসান মনে করছেন, প্রতিপক্ষের কৌশল বদলাতে বাধ্য করাতেই এতো রান উঠেছে স্কোরবোর্ডে, এতেই পাওয়া গেছে জয়।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে অলরাউন্ডার সাকিব বলেন, ‘আমি ভাবছিলাম দ্রুত রান করা উচিত। তা না হলে আমরা ২৬০-২৭০ রানের বেশি করতে পারতাম না। আমরা যে ছন্দটা পাই ৩০ ওভারের সময়, ওটাই ম্যাচের চেহারা পাল্টে দিয়েছে। আমরা জানতাম যে ডেথ ওভারে রাবাদা তিন-চার ওভার বোলিং করবে। চেষ্টা করেছিলাম যেন তারা রাবাদাকে আগে বোলিং করাতে বাধ্য হয়। সে জন্যই আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। এটাই আমরা করতে সক্ষম হয়েছি।’
সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানিয়েছিলেন, শুরুর ১৫ ওভার দেখেশুনে কাটাতে পারলে ভালো কিছু সম্ভব। সেই ভাবনা থেকেই আগে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে খেলে বাংলাদেশ। তামিম-লিটনের ব্যাটে প্রথম ১৫ ওভারে দলীয় রান ছিল মাত্র ৪৬, যদিও উইকেট হারায়নি কোনো। এমন ইনিংসের জন্য শুরুতে দল চাপ পড়লেও, সাকিব মনে করছেন এখানেই বড় সংগ্রহের ভিত গড়েছে টাইগাররা। পরে সাকিব নিজেই খেলেছেন ৬৪ বলে ৭৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
সাকিবের ব্যাখ্যা, ‘আমি ৭-৮ বল খেলার পর বুঝতে পারি যে উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। আমাদের ৩০০ এর কাছাকাছি রান করতে হতো। আমাদের শুরুটাও ভালো হয়েছে। লিটন-তামিম ভালো শুরু এনে দিয়েছে। আমাদের জন্য ছন্দটা ধরে রাখা উচিত ছিল। কারণ নতুন বলের উজ্জ্বলতা চলে যাওয়ার পর রান করা সহজ মনে হচ্ছিল। সেই সুবিধাটাই নিতে চেষ্টা করেছি। ভাগ্য ভালো আজ সেটা কাজে লেগেছে।’
সঙ্গে যোগ করেন সাকিব, ‘আমি যখন ক্রিজে আসি তখন বল তেমন কিছুই করছিল না যেমনটা প্রথম ১০ ওভারে করছিল। আমরা সোজা ব্যাটে খেলেছি, কিছু হিসেবি ঝুঁকি নিয়েছি। এটাই আজ কাজে লেগেছে।’