এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে লালবাগের শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ দিপু সহ তার সহযোগীরা
সিএনএম প্রতিবেদকঃ
জুলাই ও আগস্ট গণহত্যা নির্দেশ দাতা কালা জামালের ডান হাত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ যুবলীগের ক্যাডার খুনি দিপুর সহযোগীরা এখনো প্রকাশ্যে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
জুলাই ও আগস্ট কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রদের হত্যার নির্দেশে পরিকল্পিত মাস্টারমাইন্ড ছিল কালা জামল। কালা জামালের অফিসের সামনে “আজিমপুর কবরস্থান” ও বংশালে শিক্ষার্থী হত্যার পরিকল্পিত মাস্টারমাইন্ড।
সন্ত্রাসী দিপু, রিপন, আসিফ, বাহাউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম শান্ত,
গংদের জুলাই – আগস্ট ছাত্র গণহত্যার মামলায় নাম না থাকায়, এইসব আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী,খুনি শেখ হাসিনার দোসররা দেশকে ধ্বংস করার জন্য এলাকায় নতুন করে সৃষ্টি করছে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। যুবলীগের সন্ত্রাসী দিপু রিপন, আসিফ,বাহাউদ্দিন,শহিদুল ইসলাম শান্তরা সংগঠিত হয়ে সরকারি খাস জমি, দখল ও চাঁদা বাজিতে মেতে উঠেছে। লালবাগ এলাকাবাসীর কাছে জানা যায়, পলাশীর মসজিদের দোকান দখল নিয়ে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ দিপু তার নিজ নামে ‘দিপু স্টোর’ নাম দিয়ে ভাড়া বাবদ দোকানের ভাড়াটিয়াার কাছ থেকে মাসে মাসে, চাঁদা নিচ্ছেন ২০ হাজার টাকা। পলাশী মার্কেট ও বেবি স্ট্যান্ড থেকে প্রতিমাসে চাঁদা বাবদ ৩ লক্ষ টাকা। পলাশী এলাকা ফুটপাতের রাস্তার পার্কিং করা পিকাপ ও টেম্পু গাড়ির মালিকদের কাছ থেকে প্রতিমাসে চাঁদা বাবদ ৩ লক্ষ টাকা। শুধু তাই নয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সামনে রাস্তার উল্টো পাশে সরকারি খাস ভূমিতে কোন ধরনের বৈধ কাগজ পত্র ছাড়াই,
লালবাগ থানার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কালা জামালের নির্দেশে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ দিপু, রিপন,আসিফ, বাহাউদ্দিন,শহিদুল ইসলাম, শান্ত গংদের সহযোগীরা সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের ২০ হাজার সিরামিক্স ইট ইস্টকে থাকা পারমিশন বিহীন ইটাগুলো জোরপূর্বক নিয়ে যায়। সন্ত্রাসী দিপুর মনগড়া মত একতালা বিল্ডিংয়ের নির্মনাধীন কাজ করে যাচ্ছে। সাব-কন্টাকদার শাহীনকে সরকারি সিরামিক্স ২০ হাজার ইটের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি মৌখিক স্বীকারোক্তিতে বলেন, কোম্পানিকে না বলেই দিপু গংরা জোর পূর্বক সরকারি সিরামিক্স ইটগুলো সরকারি খাস ভূমিতেই অবৈধ ভাবে একতালা বিল্ডিং-এর কাজ চালাচ্ছে। সাব-কন্ট্যাক্টর শাহিনের স্বীকারোক্তি বয়েজ রেকর্ড প্রমাণ হিসাবে রয়েছে।
লালবাগ এলাকাবাসীর গণ্যমান্য মুরুব্বীদের নিয়ে নির্মানাধীন কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানালে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ দিপু ও তার সহযোগীরা সবাইকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় স্থানীয় ফয়সাল নামের এক ব্যক্তিকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে মারতে জায়।
লালবাগ এলাকাবাসীর উদ্যোগে সন্ত্রাসী খুনি দিপু গংদের বিরুদ্ধে
গত ০৯-০১-২০২৫ খ্রিঃ তারিখে সন্ধ্যায় বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে, খুনি শেখ হাসিনার দোসর খুনি কালা জামল ও সন্ত্রাসী দিপুর সহযোগীদের ছাত্র হত্যার বিচার ও চাঁদা বাজি বন্ধের দাবিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ১৫ টি ফেস্টুন বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়।
সন্ত্রাসী কায়দায় যুবলীগের সন্ত্রাসী ক্যাডার দিপু রিপন,আসিফ , বাহাউদ্দিন,শহীদ ইসলাম, শান্তর সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র -সস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে রাতের অন্ধকারে ফেস্টুন গুলো খুলে নিয়ে যায।
ভিকটিম ফয়সাল জানান, সন্ত্রাসী দিপু গংদের হাত অনেক লম্বা ,আমি ০৯- ০১- ২০২৫ ইং তারিখে লালবাগ থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে আমাকে অভিযোগকরতে বলেন। পুনরায় আমি ১০-০১-২০২৫ ইং তারিখে মামলা করতে গেলে, মামলা না নিয়ে ডিউটিরত এস আই একটি জিডি দায়ের করেন, জেডি নং ১০১২।
ভিকটিম ফয়সাল আরো জানান, আমাকে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ খুনি দিপু গং যেকোনো সময় আমাকে মেরে ফেলতে পারে।
এ বিষয় লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি জানান সন্ত্রাসী যুবলীগের ক্যাডার দিপু গংদের নামে অনেক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চালাচ্ছি,যেকোনো সময় সন্ত্রাসী ধরা পড়বে