বাংলাদেশ সাফে ফাইনাল খেলেছে সর্বশেষ আর্জেন্টাইন কোচ আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির সময়। জাতীয় দলের পর দেশের শীর্ষ ক্লাব ঢাকা আবাহনীতেও কোচিং করিয়েছেন। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল ভালোই জানা এই আর্জেন্টাইনের। এক দশক পর আবার বাংলাদেশের ক্লাব কোচিংয়ে ফিরে বড়ই অন্য রকম লাগছে ক্রুসিয়ানির।
রেফারিংয়ের বিষয়টি মেলাতে পারছেন না এই আর্জেন্টাইন কোচ, ‘আমি যখন জাতীয় দলের কোচ ছিলাম। তখন প্রতিটি ম্যাচ দেখেছি। রেফারিং নিয়ে তেমন অসন্তুষ্টি দেখিনি। এর কিছু সময় পর যখন আবাহনীতে কোচিং করাই তখনও রেফারিংয়ে সমস্যা দেখিনি। আবাহনীর ম্যাচ চট্টগ্রামেও খেলেছি। সঠিক রেফারিং হয়েছে। এখন দেখছি রেফারিং নিয়ে সমস্যা। আমার দলের সাথে দুটো গুরুতর বিষয় ছাড়াও মোহামেডান ও আরো কয়েকটি ক্লাবের রেফারিং নিয়ে অভিযোগ করছে। যা আগে আমি দেখিনি।’
ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে সাইফের পেনাল্টি বাতিল ও লিগে শেখ রাসেল সাইফের বিরুদ্ধে পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে চলছে চরম আলোচনা-সমালোচনা। এই বিষয়ে আর্জেন্টাইন কোচ বলেন, ‘এখানে আমার কিছু বলার নেই। যারা ফুটবল অনুসরণ করেন ও আইনকানুন জানেন তারা যে কেউ এই ব্যাপারে বলতে পারেন।’
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল সাম্প্রতিক সময়ে দুটো টুর্নামেন্টে এই রেফারির সিদ্ধান্তের জন্য ফাইনাল খেলতে পারেনি। এজন্য ঘরোয়া ফুটবলে সঠিক রেফারিংকে সরাসরি দায়ী করতে চান না ক্রুসিয়ানি, ‘বাংলাদেশ-নেপালের ম্যাচের মতো ঘটনা বিশ্বজুড়ে অনেক ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ম্যাচে হচ্ছে। বিশেষ করে আমার দেশ আর্জেন্টিনার রেফারিং নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। ভিডিওর সহায়তা থাকার পরও সমস্যা হচ্ছে।’
সমস্যা এড়াতে রেফারিদের একটি পরামর্শ দিয়েছেন তিনি, ‘খেলোয়াড়েরা যেরকম পাস ভুল করেন, কোচেরা কৌশল। রেফারিরা মানুষ তারাও ভুল করতে পারেন। সেই ভুলের সংখ্যা অনেক কমবে যদি রেফারি বলের খুব কাছাকাছি থাকতে পারেন। এজন্য তাদের ফিটনেস হতে হবে সর্বোচ্চ পর্যায়ের।’
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গনে রেফারিং-আম্পায়ারিং বিতর্ক চিরাচরিত। গত ক্রিকেট মৌসুমে সাকিব আল হাসান আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বিরক্ত হয়ে স্ট্যাম্প ভেঙেছিলেন৷ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া সাইফ স্পোর্টিংয়ে রেফারিংয়ে ন্যায্য সিদ্ধান্ত না পেয়ে ক্ষুব্ধ মনোভাব পোষণ করেছেন। রেফারি ও ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টে উঠে এসেছে তিনি রেফারিকে লাথি দেয়ার চেষ্টা করেছেন।