সিএনএম২৪ডটকমঃ
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে হিমালয়ের হিমবাহ ভেঙে তুষারধসের ঘটনায় ১০০ থেকে ১৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
রবিবার (৭ ফ্রেব্রুয়ারি) সকালে তুষারধসের জেরে রাজ্যের চামোলি জেলায় ধউলিগঙ্গার জলস্তর প্রবলভাবে বেড়ে গেছে। তীব্র জলোচ্ছ্বাসে একের পর এক গ্রাম ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। তপোবনের কাছে নন্দাদেবী হিমবাহে ফাটল ধরায় ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার সময় সেখানে ১৫০ শ্রমিক কাজ করছিলেন। তাঁরা নিখোঁজ। উত্তরাখাণ্ডের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, শ্রমিকদের অনেকেই জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে থাকতে পারেন।
রেইনি গ্রামের তপোবন এলাকায় ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখা যায়, বাঁধ ভাঙা জল নদীর দু’পাশের বাড়ি ঘর ভেঙে তীব্র গতিতে এগোচ্ছে। ভারত-তিব্বত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২০০ জনের একটি দল উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। চামোলি থেকে ঋষিকেশ যাওয়ার রাস্তায় এরই মধ্যে জারি হয়েছে রেড এলার্ট। ধসের কারণে ধউলিগঙ্গার দু’পাশের গ্রাম খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে জানিয়েছেন, ‘গোটা দেশ উত্তরাখণ্ডের পাশে রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের বিপন্নদের জন্য প্রার্থনা করছে দেশবাসী। আমি নিজে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি।’
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেন, ‘ এ ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। উত্তরাখণ্ডের জনগণের জন্য সমবেদনা। রাজ্য সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়া। কংগ্রেসের সহকর্মীরাও ত্রাণের কাজে হাত দিয়েছেন’।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে জানিয়েছেন, ‘বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।’
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত দুপুরেই ধসে বিপর্যস্ত এলাকাগুলির তথ্য জানার জন্য সাহায্য চাওয়ার নম্বর (হেল্পলাইন) প্রকাশ করেছেন।
উত্তরাখণ্ডের চামোলি থানার পুলিশ জানিয়েছে, অলকানন্দা নদীর তীরে যে বসতিগুলি রয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সেই জায়গাগুলিকেও খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভাগিরথী নদীর গতিপথ বন্ধ করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের গঙ্গার দু’পারেও জারি করা হয়েছে সর্বেোচ্চ সতর্কতা। ঘটনায় আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। শ্রীনগর ও ঋষিকেশ বাধের লাগোয়া অঞ্চল খালি করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৩ সালে এরকমই অতিবৃষ্টি ও বন্যায় উত্তরাখণ্ডে প্রায় ছ’হাজার মানুষ মারা যান।