সিএনএম প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামে সাবেক প্রেমিকাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শামছুল হুদা জিকু (২৬) নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৬ মে) চট্টগ্রামের কোতোয়ালি মোড়ের নিউ মেঘনা আবাসিক হোটেল থেকে জিকুকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার শামছুল হুদা জিকু ইসলামী ব্যাংকের বগুড়ার কাহালু ব্রাঞ্চে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার’ হিসেবে কর্মরত। চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বারলিয়া ইউনিয়নে তার বাড়ি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন জানান, জিকুর বিরুদ্ধে অভিযোগটি করেছেন তারই সাবেক প্রেমিকা, যিনি এখন অন্য একজনের স্ত্রী। তিনিই জিকুর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, জিকুর সঙ্গে ঐ নারীর পরিচয় ২০১৮ সালে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রেমের সম্পর্কের ফলে প্রায় সময়ই তারা বাইরে বেড়াতে যেতেন, ঘোরাফেরা করতেন এবং ছবি তুলতেন। ২০২০ সালে ইসলামী ব্যাংকে জিকুর চাকরি হয়।
চাকরি হওয়ার পর ঐ নারী জিকুকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে তিনি করবেন না বলে জানান। একপর্যায়ে ওই নারীকে বিয়ে করতে রাজি হলেও কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেন জিকু। ওই নারী জিকুর দেওয়া প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শেষ হয় এবং যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার পর আল আল আমিন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ঐ নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর জিকু ঐ নারীকে তার সঙ্গে কথা বলার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কথা না বললে ওই নারীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তোলা ছবি স্বামী এবং স্বামীর পরিবারের লোকজনের কাছে পাঠিয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন জিকু।
ঐ নারী তার মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কথা বলেন। জিকু তাকে ইমোতে ১৩ মে কোতোয়ালী মোড়ে দেখা করতে বলেন। নারী তাতে অসম্মতি দিলে পুনরায় ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন জিকু।
ঐ নারী সম্মানের কথা চিন্তা করে আজ (রোববার) দুপুরে জিকুর সঙ্গে দেখা করেন। একপর্যায়ে ঐ নারীকে নিয়ে নিউ মেঘনা আবাসিক হোটেলে গিয়ে কথা বলার প্রস্তাব দেন জিকু। ঐ নারী তার কথায় রাজি না হলে আবারও ছবির কথা বলে ব্ল্যাকমেইল করেন। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক নিউ মেঘনা আবাসিক হোটেলের ২০২ নম্বর রুমে নিয়ে যান।
সেখানে গিয়ে ঐ নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন জিকু। ঐ নারী চিৎকার শুরু করলে হোটেল কর্তৃপক্ষ ঘটনার বিস্তারিত শুনে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে জিকুকে আটক করে। পরে ঐ নারী জিকুর বিরুদ্ধে নারী শিশু আইনের ৭/৯(৪)(খ) ধারায় কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।