বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সূত্রে জানা যায়, ভূক্তভোগী এক গার্মেন্টস কর্মী নারী বলেন, আমি স্বামী পরিত্যাক্তা, এক কন্যা সন্তানের জননী। পূর্বে লোকাল গার্মেন্টেসে চাকুরী করতাম। করোনা পরিস্থিতে বিগত প্রায় ২/৩ মাস যাবৎ কাজ বন্ধ রাখি। আমার পূর্ব পরিচিত মোঃ রাসেল-এর সাথে ১০/৪/২০২১খ্রিঃ দেখা হয় এবং সে আমার কাজ কর্মের কৌশল জিজ্ঞাসা করে। সে আমার কৌশল জানিয়া শ্যামপুর এলাকার লোকাল গামের্ন্টেসে কাজ পাইয়ে দিবার কথা বলিয়া আমাকে আশস্ত করে ঐ দিন বিকাল অনুমান ৪.০০ ঘটিকার সময় সে আমাকে শ্যামপুর থানাধীন পোস্তখোলা ৩৬ নং ডিআইটি এলাকার (৫তলা) ভবনের একটি কক্ষে নিয়া আমাকে বসাইয়া রাখে। অতপর সে চাকুরীর স্বাক্ষাত করানোর জন্য পাশের রুমে নিয়ে যায়। তখন পাশের রুমে ৩/৪ জন লোক বসা ছিল। তাহারা আমাকে কাজের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করার পর মোঃ রাসেল চাকরী হইবে বলিয়া আমাকে পূনরায় পাশের রুমে নিয়া আসে।
ভূক্তভোগী নারী বলেন, ঐ দিন ইং ১০/০৪/২০২১খ্রিঃ বিকাল অনুমান ৫.০০ ঘটিকার সময় আমি বসে থাকা রুমে একব্যক্তি ঢুকিয়া রুমের দরজা বন্ধকরে আমাকে জোরপূর্বক বিবস্র করিয়া ধর্ষন করে। অতঃপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ৬/৭ জন ব্যক্তি পর্যায়ক্রমে রুমে ঢুকিয়া আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। একপর্যায়ে তাহারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়া কক্ষ থেকে বাহির করে দেয়। আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হইয়া পড়ায় মোবাইল ফোনে আমার খালাতো বোনকে ডাকিয়া আনিয়া তাহার সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত পুলিশ আমার ঘটনা শুনিয়া আমাকে ওসিসি বিভাগে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ওসিসি বিভাগে ইং ১১/০৪/২০২১ তারিখ থেকে ইং ১৩/০৪/২০২১ তারিখ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকায় চিকিৎসা শেষে ডাক্তার আমাকে ছাড়পত্র দিয়া হাসপাতাল থেকে বিদায় করে দেয়।
ভিকটিমের পরিবারের সাথে আলাপকালে তারা জানান ন্যায় বিচার পাওয়ার স্বার্থে মামলা করবেন। লকডাউনের কারণে থানায় যেতে বিলম্ব হয়।
ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে আজ শ্যামপুর থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।