কুমিল্লার তিতাস উপজেলা সদর কড়িকান্দি ইউনিয়নের কলাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মৃত ওয়াছেক ভূইয়ার ছেলে মো. লতিফ ভূইয়া(৬৫) এর পিত্ত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল ও আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে তারই আপন ভাগিনা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. সাত্তার মিয়া।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওয়াছেক ভূঁইয়া জীবিত থাকাকালিন সময়ে তাহার সকল সম্পত্তি ছেলে মেয়েদের নামে বণ্টন করে দিয়েছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় কলাকান্দি মৌজায় সাবেক দাগ ৭৮৩ হালে ৬৬৯ দাগের অন্দরে ২৪ শতক জমি সাফ- কবলা রেজিষ্ট্রার করে দিয়েছেন ছেলে লতিফ ভূইয়াকে, পিতার দেওয়া জমির দলিল মুলে মালিক হয়ে ভোগদখলও করে আসছে তিনি।
কিন্তু লতিফ ভূইয়ার দাম্পত্য জীবনে কোনো ছেলে মেয়ে না থাকায় ২০১৭ সালে উক্ত জমি থেকে স্ত্রী তাজমহন ও পালক মেয়েকে ১৫ শতক হেবা দলিল করে দিয়ে দেন এবং নিজের নামে ৩ শতক রেখে ৬ শতক পুলিশ কর্মকর্তা ভাগিনা সাত্তারের নিকট বিক্রি করেন। অভাব অনটনে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে লতিফ ভূইয়ার,তাই একটু ভালো চলতে বাকী তিন শতক জমিও ভাগিনা সাত্তারের নিকট বিক্রি করার জন্য বায়না দলিল করতে গেলে সুচতুর পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) সাত্তার তিন শতকের জায়গায় ত্রিশ শতক লিখে বায়না দলিল করে নিয়ে এখন পুরো জমির মালিকানা দাবি করে আসছে এবং লতিফ ভূইয়া ও তার স্ত্রীকে হয়রানি করছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
লতিফ ভূইয়া জানান, আমার ছোট বোন হাসু তার ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে চলে আসলে আমি তাদেরকে লালন পালন করে এবং লেখা পড়া শিখিয়ে বড় করেছি, আজ ভাগিনা পুলিশ হয়ে আমার জমিই দখল ও আত্মসাৎ করার চেষ্ঠা করছে। তিনি আরও বলেন আমার ছেলে মেয়ে না থাকায় বাবার দেওয়া জমি থেকে আমার স্ত্রী ও পালক মেয়েকে ২০১৭ সালে ১৫ শতক জমি হেবা করে দেই এবং বৃদ্ধ বয়সে আমার সংসার চালাতে কষ্ট হওয়ায় পুলিশ ভাগিনার কাছে প্রথমে ছয় শতক বিক্রি করলেও সে তিন শতকের টাকা দেয় বাকী তিন শতকের টাকা না দিয়েই ৯ শতাংশ জায়গা ইট দিয়ে বাউন্ডারি করে দখল করে রেখেছে। পরবর্তীতে আরও তিন শতক জমি বিক্রি করবো বলে পুলিশ ভাগিনার সাথেকথা হলে সে বায়না দলিল করতে গিয়ে ত্রিশ শতকের বায়না দলিল করে নেয়। বিষয়টি আমি প্রথমে জানতামনা, যখন আমার স্ত্রী ও মেয়ের নামের ১৫ শতক জমি অন্যত্র বিক্রি করি তখন এসে ভাগিনা সাত্তার বাধা দেয় যে তার নামে এই জমি। সাত্তার পুলিশে চাকুরি করে বিধায় আমার সাথে প্রতারণা করে আমার জমি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে, আমি এর ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
লতিফ ভূইয়া স্ত্রী তাজমহন ও তার মেয়ের কাছ থেকে ১৫ শতক ক্রয় করেন একই গ্রামের শের-ই আলম।
তিনি বলেন (শের-ই আলম) লতিফ ভূইয়ার স্ত্রী তাজমহন ও তার মেয়ের নামে খারিজ করা ১৫ শতক জমি আমি ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে দখলে গেলে এস আই সাত্তার এসে বাধা দেয় এবং পিলিশ র্যাবের ভয় দেখায়।
এঘটনায় তিতাস থানায় একাধিকবার ডাকলেও সাত্তার না এসে ৯৯৯ ফোন করে আমাদের হয়রানি করে,আমি পুলিশ মহাপরিদর্শক(আইজিপি)মহাদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করি এবং এই পুলিশের প্রতারণা থেকে আমরা মুক্তি চাই।
অভিযুক্ত এস আই ছাত্তার মিয়া জানান, আমি পুলিশের চাকরি করি কারো সাথে অন্যায় অত্যাচার ও কারো জিনিস আত্মসাৎ করার জন্য না। আমি আমার মামার কাছ থেকে নগদ টাকা দিয়ে আগেও ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি এখন আবার জমি ক্রয় করার জন্য বায়নাপত্র দলিল করছি, এখন দেখি সে জায়গা নাকী আগেই অন্য জনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এখন দেখি কাগজ পত্র কারটা সঠিক যারটা সঠিক হবে সেই জায়গার মালিক হবে।