গহীনে রহিয়া
জাহাঙ্গীর বারী
সে হস্ত দু’খান ছাড়িয়া,
গেলো সে দূর গন্তব্যের অভিমুখে চলিয়া।
তাহাকে আটকাইবার অভিপ্রায় ছিলো ভীষণ,
সে ছাড়িয়া চলিয়া গেলো মোর ভুবন।
যে থাকিবার এমনিতেই যায় থাকিয়া,
শত ঝড় ঝঞ্ঝায় গহীনে যায় রহিয়া।
কিছু আক্ষেপ রহিয়া যায় হৃদ কোটরে,
কেনো সে চলিয়া গেলো প্রলোভিত সুখের বহরে।
তাহার সইলো না প্রতীক্ষার কালক্ষেপণ,
ত্বরা করিয়া প্রস্থানের করিয়াছে সে পণ।
তাই ভাব গুলো হৃদয়ঙ্গম না করিয়া,
অতীব সঙ্গোপনে গেলো সে চলিয়া।
কস্মিনকালেও হয়ত হইবে না সাক্ষাৎ,
নেত্র যুগলে ঝরিবে অপূরনীয় বাসনার বারিপাত।
তাহাকে রুখিবার সাধ্যি ছিলো না মোর,
ভঙ্গুর বন্ধনে ভাঙ্গিয়া গেলো প্রীতির ডোর।
শর্বরীর দ্বি-প্রহরে অকস্মাৎ জাগিয়া উঠি,
ভাবি বুঝি সে বাতায়নে দিতেছে উঁকি।
সে তো নহে,উঁকি দিতেছে শশী,
মতিভ্রমে আমি অনর্থকই হাসি।
আমি হয়ত ছিলাম না তাহার সুধীজন,
তাই রীতি বহির্ভূত হইয়াছে হৃদয় হরন।
রঞ্জিত হৃদয়ে হরনে ভালোবাসা চলিয়া গিয়াছে পশ্চাতে,
আমিও পড়িয়া রইলাম তাহার নিকট হইতে তফাতে।
ভালোবাসার ভূষণে অলংকৃত হয়নি তাহার হৃদয় পট,
মোর বক্ষ পিষ্ট করিয়া যায় বেদনার্ত শকট।
পূর্বেকার হৃদয় হরনের ক্ষত,
আরোগ্য হয় নাই ঝরিতেছে রক্তিম রক্ত অবিরত।
#বারী_ও_নীল_কাব্য