সিএনএমঃ
সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৯ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বালুবোঝাই একটি নৌযান (বাল্কহেড) ডুবে একজন নিখোঁজ হয়েছেন।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বাল্কহেডে থাকা নিখোঁজ আবুল শিকদার মানিকগঞ্জ জেলার গ্রাবনিয়া গ্রামের রহিম সিকদারের ছেলে।
এছাড়া সাঁতরে পার হয়েছেন নোয়াখালীর কবীর, মামুন ও মানিকগঞ্জ জেলার মো. খলিলুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু সেতুর আনসার বলেন, রোববার দুপুরে যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ অংশ থেকে বালু নিয়ে একটি বাল্কহেড মানিকগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে বাল্কহেডটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ের ৯ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে মুহূর্তেই বাল্কহেডটি ডুবে যায়। এ সময় বাল্কহেডে থাকা ৩ জন সাঁতরে পাড়ের দিকে আসতে দেখলে আমরা তাদের সহযোগিতা করি। তারা তীরে উঠে এলে জানতে পারি বাল্কহেডের একজন নিখোঁজ।
ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে বেঁচে ফেরা মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা সিরাজগঞ্জের হাজী সাত্তারের বালু মহাল থেকে বালু ভর্তি করে বাল্কহেড নিয়ে মানিকগঞ্জের দিকে রওনা দেই। কিন্তু নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর ডুবে যায়। কোনোমতে আমরা ৩ জন পাড়ে এলেও বাকি একজন নদীতে তলিয়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম নৌ-ফাঁড়ি পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।
বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, এ বিষয়টি খোঁজ নিয়েছি। সেতুর ৭ নম্বর পিলারের সিসি ক্যামেরায় দেখি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বালুভর্তি একটি বাল্কহেড ৯ নম্বর পিলারের কাছে গিয়ে পড়ে এবং পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তলিয়ে যায়।
সেতুর নিচ দিয়ে ভারী বাল্কহেড চলাচলের কোনো নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আমার জানা নেই। তবে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। যার কারণে সেতুর পিলারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।