বাগেরহাটের খানজাহান আলী (রহ.) এর মাজার সংলগ্ন দিঘির কুমির ‘পিলপিল’ আবারও ডিম দিয়েছে। মাজারের পূর্ব ঘাটে বিনা ফকিরের বাড়ি সংলগ্ন পাড়ে গর্তের মধ্যে ডিম দিয়েছে কুমিরটি। বাচ্চা ফোটানোর জন্য মা কুমিরটি ডিমে তা দিচ্ছে। তবে এই ডিমে বাচ্চা ফোটা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। কারণ বিগত বছরে কয়েকবার ডিম দিলেও তা থেকে কোনো বাচ্চা ফোটেনি।
স্থানীয়রা জানান, মাসখানেক আগে কুমিরটি বিনার ঘাট সংলগ্ন পাড়ে ডিম দিয়ে তা দিতে বসেছে। তবে বিষয়টি কয়েকদিন আগে জানতে পেরেছে মাজারের ফকিররা। এবার মা কুমিরটি দিঘির পূর্ব পাড়ে গর্ত খুঁড়ে ৭০টির মতো ডিম দিয়েছে।
ডিম পাড়ার খবরে দর্শনার্থীদের আনাগোনাও বেড়েছে মাজারে। তবে দর্শনার্থীদের কেউ কাছে গেলেই তেড়ে আসছে কুমিরটি। কুমিরটির অবস্থানের আশপাশ বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে মাজারের খাদেমরা।
বিনা ফকির বলেন, আমার বাড়ির পাশে কুমিরটি ডিম পেড়েছে। এবার মনে হয় ৫০ থেকে ৬০টি ডিম দিয়েছে। তিন মাস এখানে থাকবে। ডাঙায় খাবার দিতে হয়। মুরগির মাংস পিস পিস করে দিই, তা-ই খায়। পানিতে ওর কোনো খাবার নেই। তবে এত কষ্ট করে ডিমে তা দেয়, কিন্তু ডিম থেকে কোনো বাচ্চা ফোটে না। এটার জন্য আমার খুব খারাপ লাগে।
খানজাহান আলী (রহ.) এর মাজারের প্রধান খাদেম শের আলী ফকির বলেন, খানজাহান আলী (রহ.) দিঘির পানি রক্ষার জন্য কুমির লালন-পালন করতেন। ৬শ বছরের বেশি সময় ধরে খানজাহান আলী (রহ.) এর লালনকৃত কুমিরের বংশধর এই দিঘিতে বেঁচে ছিল। কিন্তু সেই কুমিরগুলো এখন আর বেঁচে নেই।
মাদরাজ থেকে আনা এই কুমিরটি কয়েক বছর ধরে ডিম দিলেও তাতে বাচ্চা ফুটছে না।