বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অতি পরিচিত মুখ হামিদা বেগম। সবার প্রিয় হামিদা ‘আপা’ আর নেই। আজ (শনিবার) সকালে রাজধানী ঢাকায় তার বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত তিন বছরের বেশি সময় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হয়ে অত্যন্ত অসুস্থ ছিলেন। প্রায় চার বছর শয্যাশায়ী থাকার পর পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন এই ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক। ক্রীড়াঙ্গনে খেলোয়াড় ও সংগঠক হিসেবে অবদান রাখার জন্য তিনি ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পদক জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন।
ষাট-সত্তরের দশকে ছিলেন অ্যাথলেট। পরবর্তীতে ক্রীড়া প্রশাসক ও সংগঠক হিসেবে ক্যারিয়ার অতিবাহিত করেছেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে সহকারী পরিচালক হিসেবে চাকরি করেছেন খেলা ছাড়ার পরেই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে চাকরির পাশাপাশি সাংগঠনিক বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সদস্য ছিলেন। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা হয়েছিলেন। সাধারণ সম্পাদিকা হওয়ার এক বছরের মধ্যেই ব্রেণ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এরপর থেকে তিনি শয্যাশায়ী। কথাবার্তা, চালচলন করতে পারতেন না স্বাভাবিকভাবে। তার অসুস্থতার জন্য মহিলা ক্রীড়া সংস্থায় যুগ্ম সম্পাদিকা ফিরোজা করিম নেলীকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদিকার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
হামিদার মৃত্যুতে আরেক কৃতি ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক রওশন আখতার ছবি খুবই ব্যথিত, ‘হামিদার সাথে আমার বন্ধুত্ব প্রায় পঞ্চাশ বছর। আমার স্বামী-সন্তান অসুস্থ। আমিও খুব কঠিন সময়ের মধ্যে আছি। এর মধ্যে হামিদাও চলে গেল।’ হামিদা বেগমের মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব শোক প্রকাশ করছে। আজ বাদ আসর হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।