দুই গোলের লিড নিয়ে নিয়েছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইঁ। ম্যাচটাও ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এক পা বাড়িয়েই রেখেছিল ফরাসি ক্লাবটি। তখনই ঘটে বিপত্তি। বড় এক ভুল করে বসেন গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডনারুম্মা। বল নিজের পায়ে ধরে রেখেছিলেন, বেনজেমার চাপে বল হারিয়ে ফেলেন।
এরপর সেখান থেকেই এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। পরের মিনিট দশেক হ্যাটট্রিক করে বসেন বেনজেমা। একের পর এক ভুল করেন পিএসজি ফুটবলাররা। তবে বেনজেমার ওই প্রথম গোল বিল্ড আপের সময় ফাউল করা হয়েছিল বলে দাবি পিএসজি কোচ মৌরিসিও পচেত্তিনোর।
ম্যাচশেষে লিওনেল মেসিদের কোচ বলেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে অনেক বড় অবিচার হয়েছে। ডনারুম্মাকে করা বেনজেমার এটা পরিষ্কার ফাউল ছিল। আমাদের আবেগের অব্স্থা বদলে গিয়েছিল ওই গোলের পর, আমরা অনেক বেশি উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছি। এটা আমাদের জন্য বড় আঘাত ছিল কারণ আমরা এই পর্বে ভালো দল ছিলাম। ১৮০ মিনিট ধরে ভালো খেলেছি। রিয়ালের ১-১ এ কিছু হারানোর ছিল, তাই তারা সবকিছু নিয়ে এসেছে।’
এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ভিএআরে না দেখায় হতাশা প্রকাশ করেন পচেত্তিনো, ‘এটা ডনারুম্মার ভুল ছিল না কারণ পরিষ্কার ফাউল করা হয়েছে। আমি ৩০-৪০ বার দেখেছি ওই ফুটেজ, সব অ্যাঙ্গেল থেকে। এটা গোলরক্ষকের ভুল না, ফাউল। ছোট বিষয়গুলোও হিসাবে নেওয়া হয় আর ভিএআর এমন নিশ্চিত ফাউলে দেখা হলো না। এটা নির্ধারক হয়ে গিয়েছে কারণ এই সিদ্ধান্ত দুই দল ও সমর্থকদের প্রভাবিত করেছে। ওই মুহূর্ত পর্যন্ত ম্যাচটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।’
ওই সিদ্ধান্তই দলের অবস্থা বদলে দিয়েছে বলে বিশ্বাস পচেত্তিনোর, ‘হ্যাঁ, এরপর আমরা কয়েকটা ভুল করেছি, সেটা মেনে নিতে হবে। কিন্তু যখন আবেগ থাকে, ফুটবল বদলে যায়। এমন একটা ঘটনার পর দলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন। এটা আমাদের সঙ্গে ঘটতে পারে, এমন জঘণ্য কাজ। এমন ফল মেনে নেওয়াটা খুব কঠিন।’
যদিও ম্যাচশেষে নিজে কোনো ভুল করেননি বলেই দাবি করেছেন বেনজেমা। তিনি বলেছেন, ‘আমি কোনো ভুল করিনি। সে অনেক সময় নিচ্ছিল, আমি তাকে চাপ দিয়েছি, সে বল হারিয়েছে।’