জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে বড় কর্মসূচির সংশোধনীর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পসহ একনেকে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩৭ হাজার ৫০৭ কোটি ২২ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৬ হাজার ২৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৩৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং ১৪ কোটি ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন-আল-রশীদ ও মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী জানান, এটি কোনো একক প্রকল্প নয়। অনেকগুলো প্রকল্প একসাথে করে এই কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- মোংলা কমান্ডার ফ্রোটিলা ওয়েস্টের (কমফ্লোট ওয়েস্ট) অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন প্রকল্প। আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে চারলেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্প। বাংলাদেশের ১০টি অগ্রাধিকারভিত্তিক শহরে সমন্বিত স্যানিটেশন ও হাইজিন প্রকল্প। ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধিভুক্ত এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা, সড়ক মেরামতে ব্যবহৃত আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপনের মাধ্যমে যানজট নিরসনকরণ প্রকল্প। ঢাকার আজিমপুরস্থ মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ডাক্তার, কর্মকর্তা, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য হোস্টেল/ডরমিটরিটরি নির্মাণ, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ, গোপালগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন এবং স্মার্ট কৃষি কার্ড ও ডিজিটাল কৃষি (পাইলট) প্রকল্প।