বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর (হাবিব মিয়ার বাড়ী) এলাকায় বিয়ের প্রভোলনে চার মাসের অন্তঃসত্তা বানিয়ে চমপট দেয় প্রতারক প্রেমিক সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় প্রতারণার শিকার নারী প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, সিলেটে থাকাকালীন সাহাবুদ্দিন (৩০) -এর সাথে পরিচয় হয় পেশায় একজন গাড়ী চালক। তাহার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের সূত্র ধরে সে আমাকে বিবাহ করার আশ্বাস দিয়া কামরাঙ্গীরচরে ঘর ভাড়া নেয়। আমার বাবার অবহেলা ও সংসারের সৎ মায়ের আচারনে অতিষ্ট হইয়া তাহার কথা বিশ্বাস করিয়া সংসার করার সিদ্ধান্ত নেই। পরবর্তীতে বাবা ও সৎ মাকে ত্যাগ করিয়া তাহার সাথে বর্তমান ঠিকানার বাসায় চলিয়া আসি। উক্ত ঠিকানার বাসায় অবস্থান করাকালে সে আমার সাথে শারীরিক মেলামেশা করার চেষ্টা করিলে আমি তাহাকে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ করিয়া বৈধ ভাবে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক করার কথা বলি। সে আজ কাল করিয়া আমার অসায়ত্তের সুযোগ নিয়া আমার সাথে অবৈধ ভাবে দৈহিক সম্পর্ক করিতে থাকে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, আমি তাহাকে বার বার বলা স্বত্বেও বিবাহ বন্ধনের কাজটি সম্পূর্ন না করিয়া কাল ক্ষেপন করিতে থাকে। দীর্ঘ এক বছর যাবৎ কামরাঙ্গীরচর বাসায় অবৈধ ভাবে আমার সাথে দৈহিক মেলামেশা করিতে থাকে। তাহাকে বিবাহের কথা বলিলে সে আমাকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করে। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার সময় সে আমাকে বর্তমান ঠিকানার বাসায় রাখিয়া তাহার দেশের গ্রামের বাড়ী মাদারীপুর যাইবার কথা বলে বাসা থেকে বাহির হইয়া যায়। ঐ দিন বিকাল ৫ ঘটিকার সময় বাড়ীর মালিক হাবিব মিয়া বাসা ভাড়ার টাকার জন্য আমাকে বাসা থেকে বাহির করে দেয়।এমতাবস্থায় আমি মোবাইল ফোনে ঘটনার বিষয় জানাইলে সে আমাকে সিলেট চলিয়া যাইতে বলে। আমি কান্না করিলে সে আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমি অসহায় অবস্থায় ঢাকা শহরে ঘুরিয়া বেড়াইতেছি। বহু বার বলার পরেও সে তার পিতা মাতার নাম ও সঠিক ঠিকানা বলে নাই। বর্তমানে আমি চার মাসের অন্তসত্ত্বা। আমি আপনাদের মাধ্যমে এর একটি সুষ্ট বিচার চাই।
প্রতিবেদক এ ব্যাপারে জানতে সাহাবুদ্দিনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তাহার কোন বক্তব্য নেওয়া যায়নি।