২৭/০৬/২০২৫ইং তারিখ এক নারী শাহজাহানপুর থানা এলাকায় ধর্ষণের স্বীকার হয় । ২৮/০৬/২০২৫ইং তারিখ সকাল ১০ ঘটিকার সময় একটি এজাহার লিখে অজ্ঞাতনামা আসামীসহ প্রায় ২১ জনের বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর থানায় গিয়ে অফিসার ইনচার্জকে এজাহার পত্রটি দিলে ভিকটিম ঘটনাস্থলের ঠিকানা চিনতে না পারায় মামলা না নিয়ে ভিকটিমকে থানা হতে বের করে দেয়। অসুস্থ ভিকটিমকে চিকিৎসার কোন ব্যবস্থাও করেন নি থানা কর্তৃপক্ষ। ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে ভিকটিম ছদ্দনাম (আসমা) জানান আমি ধর্ষণের স্বীকার হয়ে থানায় মামলা করতে গেলে আমার দেওয়া লিখিত এজাহারটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রথমে গ্রহণ করেন এরপর অজ্ঞাতনামা একজন এসআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। এসআই আমাকে থানায় কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখে নানা ধরণের তাল বাহানা করে এসআই ওসির নির্দেশে আমার দেওয়া এজাহার পত্রটি রেখে দিয়ে আমার কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে আমাকে থানা থেকে বের করে দেয় এবং বলে আপনাকে দুই একদিন পর ডাকলে থানায় আইসেন দেখি আপনার জন্য কি করতে পারি। ভিকটিমের এজাহারে উল্লেখিত বিষয়:
ফেইসবুকের মাধ্যমে মোঃ আবির হোসেন সজিব এর সাথে আমার প্রেম ও ভালোবাসার সম্পর্ক হয়। সেই সম্পর্কের সূত্রে গত ইংরেজি ০৬/০৬/২০১৯ তারিখ শরিয়ত মোতাবেক আমার গ্রামের বাড়ি এলাকার লালারপাড় কাজী অফিসে ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর আনায় আবিরের সাথে আমার বিবাহ হয়। যাহার রেজিষ্ট্রি ক্রমিক নং-৮৬, বালাম নং-০২, পাতা নং-১৬৬/১৯ ইংরেজি।
বিয়ের পর বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়া আমাদের সুখেই দিন কাটছিল। এমন সময় আবির তার ব্যবসার কাজে টাকা লাগবে বলিয়া আমার বাপের বাড়ি হতে দেওয়া আমার ব্যবহৃত ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা নিয়ে যায়। যাহার বর্তমান মূল্য ৬,০০,০০০/-(ছয় লক্ষ) টাকা। এরিমধ্যে ০১/০১/২০২০ ইং তারিখ আমাকে আমার পিতার বাড়ি হালুয়াঘাটে বেড়ানোর কথা বলিয়া আমাকে নিয়ে গিয়ে পিতার বাড়ি রেখে চলে আসে। এরপর আবিরের সাথে আমার মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময় কথা হতো। এরিমধ্যে আবির আমাকে আনতে না যাওয়ায় ২০২০ সালের মাঝামাঝি আমি ঢাকায় এসে বহু খোজাখুঁজি করিয়া আবিরের সাথে দেখা করি। দেখা করার পর আবির আমাকে একখানা কাগজ হাতে দিয়া বলে এটা তোমার ডিভোর্সের কাগজ আমি তোমাকে অনেক আগেই ডিভোর্স দিয়েছি তাই আমি তোমার সাথে আর সংসার করব না আমাকে ডিভোর্সের কাগজ দেওয়ার পর সেখান হতে আবির চলিয়া যায়।
এরপর বিভিন্ন সময় আবিরের সাথে আমার কথা বার্তা হতো। এক পর্যায় আবির আমাকে বলে তিনি তার ভুল বুঝতে পেরেছে তাই আমাকে পুনরায় কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে করে ঘর সংসার করবে। আবিরের এমন আশ^াসে আমি অদ্য ২৭/০৬/২০২৫ইং তারিখ রোজ শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় আমি আমার উত্তরা ভাইয়ের বাসা হতে শাহজাহানপুর থানাধীন এলাকায় এসে আবিরের সাথে দেখা করি। আবির আমাকে তার আত্মীয় কামাল মন্টু ও মোসাঃ দীনা ইসলাম ও লিজার বাসায় নিয়ে পুনরায় বিয়ে করার কথা বলিয়া বিভিন্ন অলিগলি ঘুরাইয়া শাহজাহানপুর থানাধীন উত্তর শাহজাহানপুর, হোল্ডিং নং-অজ্ঞাত, চতুর্থ তলা, কামাল মন্টুর ভাড়াটিয়া ফ্ল্যাটে আমাকে নিয়ে যায়। ফ্ল্যাটে যাওয়ার পর আমাকে একটি রুমের খাটের উপর বসতে দেয়। কিছুক্ষণ পর ঐ রুমে ২ হতে ১৩নং বিবাদীরা রুমে আসে।
রুমে আসার পর সবার সাথে আমি কথা বলতে থাকি। এক পর্যায়ে ২ হতে ১২ নং বিবাদীরা ১৩নং বিবাদীদের সহায়তায় আমার শরীরের স্পর্শ কাতর জায়গায় বিবাদীরা হাতাহাতি করতে থাকে। তখন আমি আবিরকে বলি আমার সাথে এরা এমন ব্যবহার করছে কেন? এক পর্যায়ে আমি বিবাদীদের ভাব ভঙ্গি ভালো না দেখিয়া রুম হতে বের হয়ে চলে যেতে নিলে এরিমধ্যে দীনা ইসলাম, লিজা ও ফ্ল্যাটের মালিক কামাল মন্টু আমার চুলের মুঠি ধরে ধাক্কা দিয়া রুমের ভিতর ঢুকায় ও মারধর করে এবং বলে আবিরের সাথে তোকে বিয়ের সাধ মিটিয়ে দেব।
এই বলে, আবির রুমের ছিটকারী লাগায় এরপর বিবাদীরা আমাকে জোর পূর্বক আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমার শারীরিক নির্যাতন পূর্বক বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করিয়া খাটের উপর শুয়াইয়া জোর পূর্বক বিবাদীরা আমার পরিহিত সেলোয়ার কামিজ খুলিয়া ১ হতে ১২ নং বিবাদীরা আমাকে ধর্ষণ করে। আর ১, ২, ১০, ১১ নং বিবাদী সহ অন্যান্য বিবাদীরা তাদের সাথে থাকা মোবাইল ক্যামেরায় উক্ত ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে তাদের বিভিন্ন সহকর্মীদের দেখায় এবং ধর্ষণের ভিডিও চিত্র বিবাদীদের ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ, ইমুতে তাদের সহকর্মী বন্ধু বান্ধব লোকজনের কাছে পাঠায় ও বিবাদীরা আমাকে বলে তোরে অনেক দিন পর পাইছি তোর বিয়ার সাধ মিটিয়ে দিচ্ছি। আর ধর্ষণের ভিডিও চিত্র আমাদের মোবাইলে ধারণ করে রাখতেছি এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে যোগাযোগ মাধ্যম ইন্টারনেটে ছেড়ে দিব। ধর্ষণের এক পর্যায় আমি অসুস্থ হয়ে পরলে বিবাদীরা আমাকে হত্যা সহ বিভিন্ন ধরণের ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে বলে আমি যদি এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করি পরের বার আমাকে পেলে তারা হত্যা করে আমার লাশ গুম করে ফেলবে বলিয়া ঘটনাস্থল হতে নামাইয়া রাস্তায় ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে আমি আসামীদের নাম ঠিকানা যোগার করিয়া ও আত্মীয় স্বজনের সাথে পরামর্শ করিয়া থানায় এসে ভিকটিম এজাহার দায়ের করেন।
শাহজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসির) মোবাইল নং: ০১৭১৩-৩৭৩১২৯ এবং ঐ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্তর) মোবাইল নং: ০১৭৬৯-০৫৮০৬২ এর মোবাইল নাম্বারে কল দিলে ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য জানা যায় নি।