সিএনএম প্রতিনিধিঃ
আমাদের দেশে কাবাডি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। এই খেলাটি বিশেষ করে গ্রামাঞ্ছলে অধিকতর জনপ্রিয় হওয়ায় একে গ্রাম বাংলার খেলাও বলা হয়। কোন কোন স্থানে কাবাডিকে আবার হা-ডু-ডু খেলাও বলা হয়। তবে এই খেলা অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও হা-ডু-ডু খেলার কোন সঠিক নিয়ম কানুন না থাকায় বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নিয়মে অনুষ্ঠিত হতো।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে হা-ডু-ডু খেলাকে ’কাবাডি’ নামকরণ করা হয় এবং এই খেলাকে জাতীয় খেলার গৌরব জনক মর্যাদা দেয়া হয়। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ এ্যামোচার কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। এই ফেডারেশন কাবাডি খেলার উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে থাকে। কাবাডি ফেডারেশন এই খেলার বিভিন্ন নিয়ম-কানুন তৈরি করে। ১৯৭৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রথম কাবাডি টেষ্ট খেলে। আন্তজার্তিক পর্যায়ে এটিই প্রথম ম্যাচ। ১৯৭৮ সালে ভারতের মধ্য প্রদেশের লৌহ নগরী ভিলাইতে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের প্রতিনিধিগণে এক বৈঠকে এশিয়ান এ্যামেচর কাবাডি ফেডারেশন গঠন করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি মরহুম আবুল হাসনাত।
১৯৭৯ সালে ভারতে বাংলাদেশ বনাম ভারত ফিরতি কাবাডি টেষ্ট খেলে এবং ১৯৮০ সালে সফলভাবে প্রথম এশীয় কাবাডি প্রতিযোগীতা এই খেলাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। পরবর্তীতে সাফ গেমসও কাবাডি অন্তভুর্ক্ত করা হলে এ খেলার চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। বর্তমানে কাবাডি জনপ্রিয়তার অনেকগুলি সিড়িঁ পেরিয়ে এগিয়ে চলছে আপন গতিতে। বিশেষ করে কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হওয়ায় এর গুরুত্ব বেড়েছে আরো অনেক বেশি।