শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

যেখানে প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় এক প্যাকেট গাঁজা !

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১, ৯.১৪ এএম
  • ৪৮২ বার পড়া হয়েছে
যেখানে প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় এক প্যাকেট গাঁজা

সিএনএম ডেস্কঃ

ভারতের রাজ্য কর্ণাটকের পালা-পার্বণে কিংবা বিশেষ সনাতন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে রাজ্যটির বেশ কিছু মন্দিরে চলে গাঁজা সেবন।
একদিকে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার দাবি করেছে পুলিশ, আরেকদিকে শয়ে শয়ে মানুষের হাতে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে গাঁজার কলকে। এমন দৃশ্য কেবল ভারতেই দেখতে পাওয়া যায়।
তেমনই দৃশ্য চোখে পড়ে গঙ্গাসাগর মেলার মতো উৎসবে শামিল হলে। মাদকের গন্ধ আর ঘন ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় চতুর্দিক। হিন্দু সাধু ও তাদের ভক্তরা সমানে গাঁজা টানে সেখানে।
কিন্তু কর্ণাটকের মন্দিরগুলির ছবিটা একটু আলাদা। সেখানে ভক্তদের হাতে তুলে দেওয়া হয় গাঁজা। ভগবানের পবিত্র প্রসাদ হিসেবে মাথায় ঠেকিয়েই পরম শ্রদ্ধার সঙোগ তা সেবন করে থাকেন নেশাখোর ভক্তরা।
দেবতার আশীর্বাদে আধ্যাত্মিক আনন্দকে স্পর্শ করা যাবে এমন বিশ্বাসে হিন্দু ভক্তরা সেবন করে প্রসাদের গাঁজা। যদগির জেলার থিন্থিনিতে অবস্থিত মৌনেশ্বর মন্দিরে এমন দৃশ্য অত্যন্ত স্বাভাবিক।
প্রতিদিনের প্রসাদে তো বটেই, প্রতি বছর জানুয়ারিতে মন্দির চত্বরে আয়োজিত পুজোতেও মেলে বিশেষ প্রসাদ। প্রত্যেককে প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় এক প্যাকেট গাঁজা। মৌনেশ্বরকে পুজো দেয়ার পর ওই প্রসাদ সেবন করেন ভক্তরা।
জানা গেছে, শরণ, অরুদা, শপথ এবং অবধূতা সংস্কৃতিতে ভক্তদের এই প্রসাদ দেওয়া হয়। তাদেরকে প্রসাদ হিসাবে গাঁজা বা মারিজুয়ানা বিভিন্নভাবে দেওয়া হয়। এই ঐতিহ্যময় সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা হয় গাঁজা দ্বারাই জ্ঞান লাভ করা হয়।
মন্দির কমিটির এক সদস্য গঙ্গাধর নায়ক বলেন, গাঁজা এখানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ধ্যানচর্চার মোক্ষম মাধ্যম হিসেবে ধরা হয় গাঁজাকে। এর ব্যবহার এখানে রীতির মধ্যেই পড়ে।
তিনি আরও বলেন, সন্ন্যাসীরা এবং ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে, গাঁজা আধ্যাত্মিক জগতের জ্ঞানকে উন্মুক্ত করে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com