পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার “তিতাস উপজেলা শাখা’র” উদ্যোগে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৫ইং অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৮মার্চ) বিকাল চারটায় উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তিতাস উপজেলা শাখার আহবায়ক আশরাফ অভীক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে “হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ” এর প্রশিক্ষক হাফেজ মাওলানা ক্বারী হামিদুল্লাহসহ বিজ্ঞ বিচারকমন্ডলীরা সেরা কোরআনে হাফেজ প্রতিযোগী নির্বাচনে অত্যান্ত দক্ষতা ও বিচক্ষনতার সাথে কাজ করেন এবং প্রতিযোগীদের কোরআন থেকে তেলাওয়াত শুনে সেরাদের মধ্যে সেরা প্রতিযোগী নির্বাচন করেন।
এতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন তিতাস থানা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তিতাস উলামা পরিষদের সেক্রেটারি মাওলানা নাছির উদ্দিন, হাফেজ মাওঃ ক্বারী মোঃ সালাহউদ্দিন, হাফেজ মাওলানা রেদোয়ান হোসাইন, বাতাকান্দি সরকার সাহেব আলি আবুল হোসেন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজমুল ইসলাম, মাছিমপুর আর আর ইনস্টিটিউট এর শিক্ষক মো. বাশার, সাজ্জাত হোসাইন, বৈষম্য বিরোধী তিতাস শাখা’র সদস্য সচিব মো. আবু সাঈদ আসিফ, সহ-মুখপাত্র শরিফুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক বিল্লাল হোসাইন, জেলা কমিটির আহবায়ক সদস্য নূর মোহাম্মদ ও আমিন নূর প্রমুখ।
সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ফয়সাল আহমেদ, যুগ্ম আহবায়ক ফারহান সাদিক সৌরভ, পাভেল মাহামুদ, মেহেদী, যুগ্ম সদস্য সচিব নাইম হাসান, আবির, পলাস ও জাতীয় নাগরিক কমিটির তিতাস শাখার প্রধান সাঈদ আহমেদ সরকারসহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তিতাস উপজেলা শাখার অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিযোগিতায় অনূর্ধ্ব ১৫ হাফেজ ও শিশু-কিশোর ৭০ জন অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সকাল ৮টা থেকে প্রতিযোগীদের নিবন্ধন শুরু হয়। নিবন্ধন শেষে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। দুপুরে প্রতিযোগিতা শেষে অনুর্ধ্ব-১৫ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১০ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন, হাফেজ এবাদুল হক, দ্বিতীয় হন হাফেজ নিহালুর রহমান ও তৃতীয় হন হাফেজ আইমন সরকার।