মোঃ আলমগীর (সেলিম)
পদ্মা ব্রিজ হতে জাজিরা নাওডোবা হয়ে শরীয়তপুর এলাকা পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প এর সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ, লুটপাট ও দালাদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করার জন্য হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সংস্থার কর্মীগণ অভিযোগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে। অভিযোগে তিনি যাহা উল্লেখ করেছেন।
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি মোসাঃ রিজিয়া, সাং-৮০/৩, উত্তর যাত্রাবাড়ী, থানা যাত্রাবাড়ী, ঢাকা আমি এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, আমি একজন মানবাধিকার কর্মী দেশ ও জনস্বার্থে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনা করি। সময় সময় সরকারের মহুতি উদ্যোগ গুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাঠ পর্যায়ে নানাবিধ অপরাধ তথ্য অনুসন্ধান করে তাহা নির্মূলের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রনালয় এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় থানার পুলিশ সদস্যদের কাছে লিখিত আবেদন ও অভিযোগ পত্র পাঠিয়ে থাকি এবং গণ মাধ্যমকেও দেশের উন্নতির লক্ষ্যের স্বার্থে নানাবিধ তথ্য দিয়ে সহায়তা করে আসছি।
মহোদয়, মাঠ পর্যায়ে নানাবিধ অপরাধ অনুসন্ধানকালে গত ২৩/০৫/২০২৪ইং তারিখ শরিয়তপুর কাজিরহাট এলাকায় গিয়ে লোকজনের কাছ হতে জানতে পারি শরিয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ২০-৩০ জন দালালগংরা পদ্মা ব্রিজ হতে নাওডোবা দিয়ে জাজিরা হয়ে শরিয়তপুর এলাকার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প এর সরকারি বরাদ্দ অর্থের লোটপাটকারী দালাল তাদের মধ্যে- ১। ইলিয়াস আহমেদ, পিতা-হাজী মোঃ ইব্রাহিম মাদবর, গ্রাম: হাজী ছবদের মাদবর কান্দি, থানা-জাজিরা, জেলা: শরিয়তপুর, (মোবাইল- ০১৭১৮-৪৮৯৭৫৭), ২। আব্দুস সামাদ মাঝি, পিতা-আবু আলী মাঝি, গ্রাম: মাধুঢালী কান্দি, নাওডোবা, থানা-জাজিরা, জেলা-শরিয়তপুরগংরা শরিয়তপুরের প্রভাবশালী দালাল ইলিয়াস সহ অজ্ঞাতনামা তাদের দলে রয়েছে আরো ২০-৩০ জন দালাল সদস্য।
এদের কাজ হচ্ছে তাদের অন্যান্য সহযোগী দালালদের নিয়ে পদ্মা ব্রিজ হতে শরিয়তপুর পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ৭ ধারা মোতাবেক- এলএ কেইস নং-১২/২০২০-২১ জারির নম্বর-৬০/৬১ ও ক্রমিক নং-৬১ এর ৪০নং ডুবিসায়বর মৌজার বি.আর.এস খতিয়ানে ৫২১ ও ৫২২ নং দাগ ০.০৪০ একর ও ০.০৪০০ একর যাহার অবস্থান সহ অন্যান্য দাগ প্রকল্পের আওতাধীন সরকারি অধিগ্রহণ সম্পত্তির ক্ষতিগ্রস্থ নাল ও ডোবা, জমি, বসতবাড়ি, ভিটা, ঘর, দোকান-পাট, এর ন্যায্য মূল্য সরকারি ভাবে জমির প্রকৃত মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে।
ঐ সকল জমির মালিকগণদের নানা ধরনের ভয়-ভীতি ও ভুল বুঝিয়ে উক্ত দালাল সিন্ডিকেট ইলিয়াস বাহিনী সরকারি অধিগ্রহণ সম্পত্তির নামমাত্র দাম দিয়ে কিনে শরিয়তপুর জেলা প্রশাসক এর এলএ শাখার অসাধু কর্মকর্তাদের গোপন যোগ সাজশে মোটা অঙ্কের অর্থ গোপনে ঘুষ দিয়ে অল্প দামের জমি, নির্মানাধীন ঘর, দোকানপাট, মালামাল কাগজপত্রে সঠিক দামের চেয়ে ২০ গুণ দাম বানিয়ে জেলা প্রশাসক এর অসাধু কর্মকর্তা ও বর্হিরাগত দালালরা পরস্পর যোগ সাজশে সঠিক তদন্ত ছাড়া জেলা প্রশাসকের চোখ ফাঁকি দিয়ে সরকারি প্রকল্পের অর্থ নানা ফন্দি ফিকির করে পাল্লা দিয়ে লুটপাট করিতেছে। আর মূল মালিকদের কাছ হতে নামমাত্র একটি দাম চুকিয়ে ঐ দামের বেশি যাতে সরকারী অর্থ পাওয়ার পর দাবী করতে না পারে এজন্য মূল মালিকদের কাছ হতে দালালরা গোপনে ৫০ টাকা দামের ৩টি স্ট্যাম্প ১৫০ টাকার দলিলে লিখিত ৭ ধারা মোতাবেক বিলের চুক্তিপত্র বিক্রয় দলিলে মূল মালিকদের কাছ হতে নামমাত্র একটি দাম ধরে দলির করে আটকে নেয়। সরকারি বিল হলে জেলা প্রশাসকের অফিস হতে অফিস কর্মকর্তা ও দালাল চক্র ইলিয়াসগণরা টাকা তুলে নেয়। এরকম অনেক তথ্য এলাকায় পাওয়া গেছে। যাহা দালালদের চুক্তিনামা দলিল থেকে দরদামের তথ্য পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানতে পারি- এক সময় উক্ত দালালরা মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে দিন মজুর হিসেবে কাজ করত। অভাব অনটনের সংসার চালাতেও তাদের অনেক কষ্ট হতো। পদ্মা সেতু হওয়া শুরু হতে মাদারীপুর ও শরিয়তপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে সরকারি অধিগ্রহণ এর দালালী করে সরকারি প্রকল্পের অর্থ কৌশলে আত্মসাৎ পূর্বক এখন তারা কোটি কোটি টাকার মালিক। যা গোপন তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। উক্ত বিষয় জানার পর আমার সাথে যাওয়া অনুসন্ধান কর্মীরা গোপনে ও প্রকাশ্যে খোঁজ খবর নিয়ে উক্ত ঘটনার বিষয় সত্যতা পাওয়ার পর সরকারি অর্থ রক্ষায় দেশ ও জনস্বার্থে অত্র অভিযোগ দায়ের করিলাম।
মোসাঃ রিজিয়া উল্লেখিত বিষয় তদন্ত পূর্বক সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের জমির উপর ঘর-বাড়ি স্থাপনার ক্ষতিপূরণের সঠিক মূল্য ব্যতীত লুটপাট করা বাড়তি অর্থ স্থগিত করে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে লুটপাট করা দালালদের বাড়তি অর্থ সরকারি কোষাগারে নেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযোগের বিষয় অভিযুক্ত ইলিয়াসের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।