কৃষ্ণ কেশ
জাহাঙ্গীর বারী
তাহার সুবিন্যস্ত কৃষ্ণ কেশ,
মোর হিয়া কাড়িয়া নিলো বেশ।
কৃষ্ণ কেশের দীঘল বেণী,
সেথায় বইছে যেন ভালোবাসার ত্রিবেণী।
তাহার সুবিন্যস্ত কেশের সিঁথিতে স্বর্ণালি টায়রা,
রূপবতী কন্যা উড়াইয়াছে প্রেম পায়রা।
তাহার আরক্তিম অধরের স্মিত হাসি,
করিলো মোরে সর্বনাশী।
তাহার কপোলের স্মিত হাসির টোল,
ফুটিয়াছে যেন সরোবরের শতদল।
তাহার কৃষ্ণ ভ্রু যুগল,
করিয়াছে মোরে পাগল।
তাহার পরিহিত নীলিমা বরণের নীল শাড়ি,
উচ্ছলতায় রাখিলো মোরে ভরি।
তাহার কর্ণ যুগলে ঝুমকো দুল,
লাগিতেছে চমৎকৃত মৃদুল।
তাহার বিস্তৃত ঘর্মাক্ত ললাট,
যেন আবীর রাঙা গোধূলির দিগন্তের তল্লাট।
তাহার চঞ্চল চরণ যুগলে দুরন্ত মল,
মেতেছে মল জাগাইয়া তুলিতেছে ঝন্কারের কোলাহল।
তাহার কোমরে রৌপ্যের নন্দিত বিছাহার,
নেত্র যুগল প্রকম্পিত হইয়া যায় বারংবার।
দৃষ্টি গোচরে তাহার সারা দেহখানা,
মমনে জাগানিয়া তাহার প্রতিচ্ছবি মেলিয়াছে ডানা।