বিশেষ প্রতিবেদকঃ
যাত্রাবাড়ী থানাধীন কুতুবখালী হোল্ডিং নং ২১৪/২/৪ দক্ষিন যাত্রাবাড়ী প্রাইম আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী রাত যাপন করার জন্য একটি রুম ভাড়া নেন। ১৬/০৩/২০২১খ্রিঃ রাত অনুমানিক ১১:৪০ মিনিটের সময় কাউন্টার হতে চাবি নিয়ে ৬ষ্ট তলার ৬০৮ নং রুমে যাওয়ার জন্য সিড়ি বেয়ে ৬ষ্ঠ তলায় উঠেন। তিনি দেখতে পান ৫০১ নাম্বার রুম হতে আঃ রহমান (৩৯)কে যাত্রাবাড়ী থানার এস আই মহোসিন লোকটিকে টেনে হেচরে বের করে বলে যে তোর কাছে অবৈধ কৃমির ঔষধ পাওয়া গেছে।
ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী বলেন, চাবি নিয়ে আমার রুমের দরজার তালা খোলার সময় এসআই মহোসিন আমার সাথে থাকা জামা কাপর রাখা ব্যাগটি তল্লাশী করতে চাইলে আমি ব্যাগটি তল্লাশী করতে দেই, তখন এস.আই মহোসিনের সঙ্গীয় আনসার সদস্য ব্যাগটি তল্লাশীর নামে তাহার পেন্টের পকেটে হাত দিয়ে হাত বের করে মুঠ করে আমার ব্যাগের ভিতর কিছু একট রাখার চেষ্টা করে। তখন আমি তার হাত দেখতে চাইলে ঐ মূর্হতে এস.আই মহোসিন তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালমন্দ শুরু করে। এক পর্যায়ে আনসারের হাতে দেখতে পাই চার পাঁচ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট যাহা আমার ব্যাগে রাখার চেষ্টা করে ছিল। তখন আমি পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের উক্ত বিষয়টি জানাইবো বলিলে মহোসিন আমার উপর আর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আমি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের “সোগাও মারিনা”। আমি একাই একশ।
ব্যবসায়ী বলেন, আনসার সদস্য ইয়াবা ট্যাবলেট গুলো তার নিজ পকেটে রেখে পুনরায় আমার ব্যাগ তল্লাশী করে। তখন হোটেলে বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের সাথে থাকা টচলাইট দিয়ে আমার ব্যাগ তল্লাশী করে ব্যাগে থাকা ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা আনসার সদস্য ও এস.আই মহোসনি নিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে
আমাকে তাহারা হোটেল থেকে নামিয়ে নিয়ে আসে। হোটেল থেকে নামানোর সময় সিড়িতে নিয়ে এস.আই মহোসিন আমাকে নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলে এইসব নিয়ে যদি আমি কোন বাড়াবাড়ি করি
তাহলে ভবিষ্যতে আমাকে মিথ্যা মামলা দেয়া সহ বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করবে।
ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী বলেন, ঘটনার বিবরণ তাৎক্ষনিক মোবাইল ফোনে ও যাত্রাবাড়ী থানায় গিয়ে পৃথক ভাবে ইন্সেপেক্টর (আপরেশন) ও ইন্সেপেক্টর (তদন্ত) সাহেবকে আবগত করি।