1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

দেশের নতুন সর্বনাশ ঘটাতে সেই সিডি শাহীন এখন ঢাকায়

  • আপডেট সময় বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১, ৬.১৭ এএম
  • ৯৩৮ বার পড়া হয়েছে
দেশের নতুন সর্বনাশ ঘটাতে সেই সিডি শাহীন এখন ঢাকায়

সিএনএম ২৪ডটকমঃ

পর্ণো ভিডিও তৈরির মাধ্যমে শত নারীর সর্বনাশ ঘটিয়ে কানাডায় পালিয়ে যাওয়া কুখ্যাত সিডি শাহীন আবার বাংলাদেশে হাজির হয়েছেন। ঢাকার অভিজাত এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে তিনি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সর্বত্র। উত্তরায় ইসরাইলী গুপ্তচর খ্যাত জনৈক শোয়েব চৌধুরীর শেল্টারে অবস্থান নেওয়া শাহীন আবারও পুরনো নেশায় উন্মত্ত হয়ে উঠেছেন। একের পর এক আসর জমিয়ে তরুণিদের বাছাই করে ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। এরপর শুরু হয়েছে পর্ণো ভিডিও তৈরির অপকর্ম। নিজে এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিদের মাধ্যমে প্রেম ভালবাসার ছলনাতেও অনেক মেয়েকে জড়ো করা হচ্ছে।
পাশাপাশি অতীতে তার পর্ণো ভিডিও’র মাধ্যমে প্রতারিত নারীদের মাধ্যমেও শিকার ধরার ফাঁদ পেতেছে শাহীন। এ অপকর্মে সাহায্য করতে অস্বীকার করলে তাদের সংসার ভেঙ্গে দেয়ারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সিডি শাহীনের আগমন ও তৎপরতার খবরে ঢাকায় ভুক্তভোগী নারীদের মাঝে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সময়টা ২০০১ সালের অক্টোবর-নভেম্বর। তখনও ফেসবুক, ইউটিউব কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আজকের মতো সবার দোরগোড়ায় পৌঁছেনি। তখন সুমন, পিন্টু, অভিদের উত্তরসুরী হিসেবে হঠাত আবির্ভাব ঘটে শাহীন ওরফে সিডি শাহীনের।বেশ কয়েকজন কলেজ, ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া তরুণিদের নিয়ে তৈরি ব্লুুফিল্মের সিডি বেপরোয়া বাজারজাত হতে থাকে। সিডির গায়ে লিখে দেয়া হতো ‘বাংলাদেশি পর্ণ’। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে এমনকি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ধুমছে কেনাবেচা চলতে থাকে সিডিগুলো।এ ব্যাপারে গোয়েন্দা অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর কাহিনী।
জানা যায়, উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের ১/এ রোডের ২৩ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদের ছেলে নূরউদ্দিন মাহমুদ শাহীনই হচ্ছে এসব বাংলা ব্লুফিল্ম তৈরির মূল হোতা।তিনি প্রেমের ছলনায় বিভিন্ন তরুণিকে তার দামি গাড়িতে তুলে সরাসরি নিজের বাসায় নিয়ে আসতেন এবং অন্তরঙ্গভাবে মেলামেশার দৃশ্যাবলী একাধিক গোপন ক্যামেরায় ভিডিও করে তা বাংলা পর্ণ নামে সিডি আকারে বাজারজাত করতেন।ব্যাপক ছড়িয়ে পড়া এসব সিডির কারণেই রাতারাতি নূরউদ্দিন মাহমুদ শাহীন ”সিডি শাহীন” নামে দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়ে যায়।
এভাবে বহু নারীর সর্বনাশ ঘটানোর বিষয় নিয়ে ওই সময় পত্র পত্রিকায় ব্যাপকভাবে ফলাও প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় নড়েচড়ে বসে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ।তারা সিডির সূত্র ধরে হাজির হন সিডি শাহীনের পৈতৃক নিবাসে।সেখানে বিশেষ কৌশলে সাজানো গোছানো শাহীনের অভিশপ্ত কক্ষটির নানা নমুনা সংগ্রহ করেন এমনকি দামি কার্পেটটি পর্যন্ত আলামত হিসেবে জব্দ করেন ডিবি কর্মকর্তারা।
পরবর্তীতে বাংলা পর্ণ সিডি’র দৃশ্যাবলী পর্যবেক্ষণ করে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন যে, সিডি শাহীনের বিশেষ কায়দায় সাজানো গোছানো এ কক্ষটিতেই বহু নারীর সর্বনাশ ঘটিয়ে বাংলা ব্লুফিল্ম বানিয়েছে শাহীন। এবার শুরু হয় শাহীনকে পাকড়াও করার অভিযান। কিন্তু ঢিমেতালে সেই অভিযানকালেই সিডি শাহীন তার তৈরি করা সব ব্লুফিল্ম সঙ্গে নিয়েই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।সরাসরি চলে যান কানাডায়।সেখানেও দীর্ঘদিন অবস্থানকালে বাংলাদেশি ব্লুফিল্ম বিক্রি বিতরণ করেই তিনি মোটা অঙ্কের অর্থ কামিয়ে জীবন চালাতে থাকেন। আর তার প্রতারণার শিকার শতাধিক নারীর জীবনে নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার।তাদের কারো জীবনে সুখ সংসার রচনা হয়নি, জীবন কেটেছে সীমাহীন অবজ্ঞা অবহেলা আর তাচ্ছিল্যে।
এ দেশিয় নারীদের সর্বনাশ ঘটানো সেই সিডি শাহীনের হঠাতই ঢাকায় আবির্ভাব ঘটেছে।গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি ঢাকার উত্তরাতেই এসে ঘাঁটি গেড়েছেন, আবারও শুরু করেছেন একই অপকর্ম।
এবার আরো আধুনিক সব প্রযুক্তির সাহায্যে আরো উন্নত ফর্মুলায় বাংলাদেশি ব্লুফিল্ম তৈরির নেশায় উন্মত্ত হয়ে উঠেছেন তিনি।এরইমধ্যে উত্তরা, বারিধারা, গুলশান, বনানীসহ রাজধানীর অভিজাত এলাকাসমূহে ডিজে পার্টি, কেটি পার্টি ইত্যাদি নামে বেহায়াপনার রমরমা আসর বসিয়ে টার্গেটকৃত তরুণিদের বাছাই করছেন।তাদের নিয়েই অন্ধকার কোনো কুঠুরিতে আবার তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশি পর্ণো।তার নতুন এই টিমে বাংলাদেশে অবস্থানকারী নিগ্রো যুবকদেরও রাখা হয়েছে।তাদেরকে পর্ণ হিরো বানিয়ে এর বিপরীতে বাংলাদেশি স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি পড়ুয়া কিছু তরুণিকে পর্ণ নায়িকা হিসেবে নতুন ব্লুফিল্ম তৈরি হচ্ছে।এসব ব্লুফিল্ম ছড়িয়ে দেয়া হবে সারা বিশ্বে। সেখানে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কতোটা হেয় হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বাংলাদেশি মেয়েদের নিয়ে ব্লুফিল্ম বানিয়ে দেশে বিদেশে বাজারজাতকারী যে ব্যক্তির ব্যাপারে ডিবিসহ প্রশাসন এতই সক্রিয় ছিল সেই কুলাঙ্গার প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশে ঢুকলো কেমন করে? তাহলে ফ্লাশব্যাক বা অপরাধ ডাটা কোথাও কি সংরক্ষিত হয় না? তা পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব আদৌ কেউ পালন করেন কী?

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com